আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি বিবাহিত এবং আমার দেড় বছরের একটা বাচ্চা আছে। আমি যখন থেকে দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করেছি সবসময় আল্লাহর কাছে চেয়েছি যেন আমাকে একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী দান করেন। যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে ওনার দ্বীনদারিতা দেখে আমি নিজে ওনাকে পছন্দ করেছিলাম। যদিও আমার পরিবার রাজি ছিল না তবুও ওনারা মেনে নিয়েছেন আমার কথা ভেবে। মেনে না নেয়ার কারন হচ্ছে আমি ঢাকায় পড়াশোনা করেছি ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে। আমার স্বামী তিনি একদমই নিরক্ষর। আমার আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা নেই কিন্তু তিনি খুড়িয়ে হাটেন। তিনি আমার থেকে উচ্চতায়ও অনেক কম। আমাদের কুফু মিলে না একদমই। এসব বিষয় নিয়ে আগে সমস্যা না থাকলে এখন মানুষের নানান ধরনের কথায় আমি তার সাথে কোথাও যেতে খুবই লজ্জাবোধ করি। তিনি আমাদের বাসায় আসেন এটা আমার এখন পছন্দই হয় না। মাঝে মাঝে আমি খুবই অপরাধরোধে ভুগি কেন তাকে বিয়ে করেছি। এসবের বাহিরে যেয়ে আমি ওনাকে যেমন দ্বীনদার ভেবেছিলাম তিনি আসলে তেমন নন। তিনি দাড়ি রেখেছেন নামায তিন চার ওয়াক্ত পড়েন সুন্নতি পোশাক পরেন তবে সেটা নিজের অনুভুতি থেকে না। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবো এমন চিন্তা নেই।আসলে তিনি যেহেতু পড়াশোনা জানেন না তাই ইসলামিক বিষয়ে পড়াশোনা করে কোন জ্ঞান অর্জন তিনি করতে পারেন না।যার মুখে যা শুনেন সেটাই করেন।সেটা আসল নাকি বিদয়াত তিনি এসব ভাবেন না।কারো মুখে শুনেছি তাই করছি এমন।ওনার চিন্তাভাবনা এবং আমার চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি যদি উত্তর বলি তিনি বলেন দক্ষিণ। আমি অনেক চেষ্টা করেছি ওনাকে বাংলা + কুরআন শেখানোর কিন্তু তিনি নারাজ। আমি ভালো মতো কোন কথা বললেও তিনি খারাপ ভাষায় কথা বলে উঠেন। এমনকি মানুষের সামনেও। এই কাজটা উনি মানুষের সামনেই বেশি করেন। আমার বাবা মা তুলে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। ওনার পরিবারের সাথে মিলে আমাকে খুবই হেনস্তা করেন। এজন্য আমি আমার বাবার বাসায় থাকছি। ওনাদের বাসায় গেলে ওনার মা, বোন,ভাই এবং আশেপাশের মানুষ দিয়েও আমাকে কথা শোনান।ওনার ছোট ভাই আমাকে কিভাবে আঘাত করা যায় যেই চিন্তায় থাকে।যেমন একদিন আমি ঘুমিয়েছিলাম সে এসে তোষক আমার মুখের উপর চেপে ধরেছে। আমি যখন বাসার মানুষদের বললাম ওনাদের কথা ছিল যে সে দুষ্টুমি করেছে।একটা ভালো দিক হচ্ছে যে তিনি কাজে আমাকে সাহায্য করেন।তবে সেটার খোটাও তিনি পরে দেন। ওনার মা আমাকে পছন্দ করে নিয়েছেন কিন্তু তিনিও এখন মানুষের কানপড়ায় আমাকে দেখতে পারেন না। দ্বীনি কোন পরিবেশই আমি পাই না। পর্দার অবস্থা তো নাজেহাল।এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি চাই নি আল্লাহর কাছে। আমার এখন মনে হয় এই মানুষটার সাথে আমি আড়াই বছর থাকতে পারছি না সারাজীবন আমি কিভাবে থাকবো। ভাবলে যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। এখন আমার কথা হচ্ছে আমি কি আল্লাহর কাছে চাইতে পারবো যে আল্লাহ আমাকে কল্যানের সাথে ওনার থেকে মুক্ত করে প্রকৃতঅর্থে আল্লাহভীরু কাউকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দান করেন।

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সকল বিষয়ে-ই আল্লাহর নিকট দু'আ করতে হবে।আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করতে হবে।হযরত আনাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أنس - رضي الله عنه - قال: قال رسول الله: " «ليسأل أحدكم ربه حاجته كلها، حتى يسأله شسع نعله إذا انقطع» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, মানুষ যেন সকল বিষয়ে তার রবের নিকট দু'আ করে,এমনকি যদি তার জুতার ফিতা ছিড়ে যায়, তখনও যেন সে এ সম্পর্কে (প্রথমে) আল্লাহর নিকট সাহায্য চায়(অতঃপর ফিতা লাগানোর চেষ্টা করে)। (মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৫১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর কাছে সর্ব বিষয়ে দু'আ করতে হবে। সকল বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। দ্বীনদার স্বামী ও দ্বীনদার পরিবেশ নিজ ঈমান আমল রক্ষার জন্য অতীব জরুরী। সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে আপনার মনোভাব তুলে ধরতে পারেন। আল্লাহ অবশ্যই আপনার কথা শুনবেন। আপনার সমস্যার সমাধান করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...