আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
আমি বিবাহিত এবং আমার দেড় বছরের একটা বাচ্চা আছে। আমি যখন থেকে দ্বীনের পথে চলার চেষ্টা করেছি সবসময় আল্লাহর কাছে চেয়েছি যেন আমাকে একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী দান করেন। যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে ওনার দ্বীনদারিতা দেখে আমি নিজে ওনাকে পছন্দ করেছিলাম। যদিও আমার পরিবার রাজি ছিল না তবুও ওনারা মেনে নিয়েছেন আমার কথা ভেবে। মেনে না নেয়ার কারন হচ্ছে আমি ঢাকায় পড়াশোনা করেছি ভালো একটা প্রতিষ্ঠানে। আমার স্বামী তিনি একদমই নিরক্ষর। আমার আলহামদুলিল্লাহ কোন সমস্যা নেই কিন্তু তিনি খুড়িয়ে হাটেন। তিনি আমার থেকে উচ্চতায়ও অনেক কম। আমাদের কুফু মিলে না একদমই। এসব বিষয় নিয়ে আগে সমস্যা না থাকলে এখন মানুষের নানান ধরনের কথায় আমি তার সাথে কোথাও যেতে খুবই লজ্জাবোধ করি। তিনি আমাদের বাসায় আসেন এটা আমার এখন পছন্দই হয় না। মাঝে মাঝে আমি খুবই অপরাধরোধে ভুগি কেন তাকে বিয়ে করেছি। এসবের বাহিরে যেয়ে আমি ওনাকে যেমন দ্বীনদার ভেবেছিলাম তিনি আসলে তেমন নন। তিনি দাড়ি রেখেছেন নামায তিন চার ওয়াক্ত পড়েন সুন্নতি পোশাক পরেন তবে সেটা নিজের অনুভুতি থেকে না। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করবো এমন চিন্তা নেই।আসলে তিনি যেহেতু পড়াশোনা জানেন না তাই ইসলামিক বিষয়ে পড়াশোনা করে কোন জ্ঞান অর্জন তিনি করতে পারেন না।যার মুখে যা শুনেন সেটাই করেন।সেটা আসল নাকি বিদয়াত তিনি এসব ভাবেন না।কারো মুখে শুনেছি তাই করছি এমন।ওনার চিন্তাভাবনা এবং আমার চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি যদি উত্তর বলি তিনি বলেন দক্ষিণ। আমি অনেক চেষ্টা করেছি ওনাকে বাংলা + কুরআন শেখানোর কিন্তু তিনি নারাজ। আমি ভালো মতো কোন কথা বললেও তিনি খারাপ ভাষায় কথা বলে উঠেন। এমনকি মানুষের সামনেও। এই কাজটা উনি মানুষের সামনেই বেশি করেন। আমার বাবা মা তুলে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। ওনার পরিবারের সাথে মিলে আমাকে খুবই হেনস্তা করেন। এজন্য আমি আমার বাবার বাসায় থাকছি। ওনাদের বাসায় গেলে ওনার মা, বোন,ভাই এবং আশেপাশের মানুষ দিয়েও আমাকে কথা শোনান।ওনার ছোট ভাই আমাকে কিভাবে আঘাত করা যায় যেই চিন্তায় থাকে।যেমন একদিন আমি ঘুমিয়েছিলাম সে এসে তোষক আমার মুখের উপর চেপে ধরেছে। আমি যখন বাসার মানুষদের বললাম ওনাদের কথা ছিল যে সে দুষ্টুমি করেছে।একটা ভালো দিক হচ্ছে যে তিনি কাজে আমাকে সাহায্য করেন।তবে সেটার খোটাও তিনি পরে দেন। ওনার মা আমাকে পছন্দ করে নিয়েছেন কিন্তু তিনিও এখন মানুষের কানপড়ায় আমাকে দেখতে পারেন না। দ্বীনি কোন পরিবেশই আমি পাই না। পর্দার অবস্থা তো নাজেহাল।এমন একজন মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে আমি চাই নি আল্লাহর কাছে। আমার এখন মনে হয় এই মানুষটার সাথে আমি আড়াই বছর থাকতে পারছি না সারাজীবন আমি কিভাবে থাকবো। ভাবলে যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। এখন আমার কথা হচ্ছে আমি কি আল্লাহর কাছে চাইতে পারবো যে আল্লাহ আমাকে কল্যানের সাথে ওনার থেকে মুক্ত করে প্রকৃতঅর্থে আল্লাহভীরু কাউকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দান করেন।