ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দিয়ানাতান এবং কাযাআনের ব্যখ্যা করতে যেয়ে ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: المفتي يفتي بالديانة) مثلا إذا قال رجل: قلت لزوجتي أنت طالق قاصدا بذلك الإخبار كاذبا فإن المفتي يفتيه بعدم الوقوع والقاضي يحكم عليه بالوقوع؛ لأنه يحكم بالظاهر، فإذا كان القاضي يحكم بالفتوى يلزم بطلان حكمه في مثل ذلك، فدل على أنه لا يمكنه القضاء بالفتوى في كل حادثة، وفيه نظر فإن القاضي إذا سأل المفتي عن هذه الحادثة لا يفتيه بعدم الوقوع؛ لأنه إنما سأله عما يحكم به، فلا بد أن يبين له حكم القضاء فعلم أن ما في البزازية لا ينافي قولهم يحكم بفتوى غيره. (ردالمحتار ج:٥،ص:٣٦٥)
যদি কোনো স্বামী বলে, আমি আমার স্ত্রীকে বলেছি যে, 'তুমি তালাক', এমতাবস্থায় তার উদ্দেশ্য ছিল, তালাকের মিথ্যা খবর দেয়া। এমন পরিস্থিতিতে মুফতি সাহেব, তালাক না হওয়ারই ফাতওয়া দিবেন। তবে কাযী বা বিচারক কোর্টে তালাক হওয়ার-ই ফয়সালা দিবেন। কেননা বিচারকের দায়িত্ব হচ্ছে, বাহ্যিক বিষয়াবলি লক্ষ্য করেই বিচারকার্য সমাপ্ত করা। এখন কাজী সাহেব যদি ফাতাওয়া অনুযায়ী বিচারকার্য করেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কাজীর জন্য শরীয়ত নির্ধারিত বিচার ব্যবস্থার উল্টো ফয়সালা হয়ে যাবে। কাজেই প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি সর্বক্ষেত্রে ফাতাওয়া দ্বারা বিচারকার্য করা সম্ভবপর নয়। এই প্রশ্নের জবাবে বলা হবে যে, কাজী সাহেব যখন মুফতি সাহেবের কাছে এই মাসআলার ব্যখ্যা তলব করবেন বা জিজ্ঞাসা করবেন, তখন মুফতি সাহেব কাজী সাহেবের জন্য নির্ধারিত যে ফয়সালা শরীয়তে রয়েছে তথা কাযাআন, সেটাই তিনি কাজী সাহেবকে বলে দিবেন।কেননা মুফতির উপর জরুরী হচ্ছে, তিনি কাজী সাহেবকে বিচারিক বিষয়ই তথা কাযাআন হুকুমই বলে দিবেন। (রদ্দুল মুহতার-৫/৩৬৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাকের স্বীকারোক্তি দ্বারা কাযাআন তালাক হলে সেটি বায়েন হবে? নাকি রেজয়ী হবে? তা নির্ভর করবে শব্দের ব্যবহারের উপর। যদি কেনায়া শব্দ বা কঠিন শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাহলে বায়িন তালাক পতিত হবে। পক্ষান্তরে যদি কেনায়া বা কঠিন শব্দ ব্যবহার করা না হয়, তাহলে বায়িন তালাক পতিত হবে না।