আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
edited ago by
হুজুর, আমার মামাতো বোনের সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে। অবস্থা এমন যে সবকিছু ঠিকঠাক। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হবে। (ছোট বেলা থেকেই আমার সাথে আমার মামাতো বোনের বিয়ে হবে এরকম একটা কথা চলে আসছে)
এখন আমার মনের মধ্যে অনেক আগের একদিনের কথা মনে হচ্ছে। প্রায় ৬-৭ বছর আগের কথা। বিষয়টা লজ্জার কিন্তু বলতে হচ্ছে, আল্লাহ আমাকে মাফ করুক।

১.আমি, আমার মামাতো বোন আর মামি এক খাটে আড়ে শুয়ে ছিলাম। আমার মামাতো বোন মাঝখানে ছিল। আমার বয়স তখন ১৩-১৫। ঐদিনের ঘটনা আমার অধিকাংশই মনে আছে।তো আমি নিজ ইচ্ছায় মামাতো বোনের পায়ের অংশে পা দিয়ে উপর নিচ করেছিলাম আস্তে আস্তে যেন মামি বুঝতে না পারে। (তখন শীতকাল মোটা বড় বিদেশি কম্বল গায়ে ছিল এক কম্বলের নিচে ছিলাম সবাই। কম্বল অনেক বড় ছিল। ফাঁকা থাকার সুযোগ ছিল।)

এখন আমার মনে হচ্ছে ঐসময় ভুল করে মামির গায়ে পা লাগে নি তো?

মামির গায়ে পা লেগেছিল এরকম কোনোকিছু আমার মনে নেই। বরং আমি প্রায় একদম নিশ্চিত যে মামির গায়ে পা লাগে নি। (মামির গায়ে পা লাগেনি এটা আরও নিশ্চিত হওয়ার কারণ আমরা মামাতো বোন ওই সময় ছোট প্যান্ট পরে শুয়ে ছিলো (ওর বয়স তখন ৮-১১ এর মধ্যে বয়সটা আমি নিশ্চিত না কারন কত সালে এটা ঘটেছে এটা আমি একদম নিশ্চিত না) তো আমি পা দিয়েছিলাম ওর খালি পায়ে এটা আমার মনে আছে) এবং আমার মামাতো বোনের পায়ে পা দেওয়ার সময় আমার উত্তেজনা অনুভব হয়েছিল কিনা এবিষয়ে কিছু মনে নেয়।

তবে তার কিছু পরে( এরকম অবস্থায় আরকি) আমার ছোট মামা বাসায় আসলে আমার মামি ছোট মামাকে ভাত দিতে চলে গেলে আমার মামাতো বোন আমার উপরে আসে (তখন আমরা দুইজনেই ছিলাম ঘরে লাইট বন্ধ ছিল) এবং প্যান্টের উপর দিয়ে কিছু করার ফলে আমার বীর্য বের হওয়ার যে ফিল এরকমটা হয়েছিল। যদিও আমি হাত দিয়ে দেখি নি । তবে আমার মনে হয় বের হয়ে ছিল। (যদিও তখন এবিষয়টা অতটা বুঝতাম না ) মামি আসার আগেই আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত যায়। এবং যার যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি।

২. আমার মামাতো বোনের পায়ে পা দেওয়ার সময় যদি ভুল করে মামির গায়ে পা লেগেও থাকে তো আমি মামির প্রতি কোনো খারাপ মানসিকতা নিয়ে কখনোই পা দেয় নি, কাম ভাব তো অনেক দুরের কথা। আমি আমার মামাতো বোনের গায়ে পা দেওয়ার জন্যই পা দিয়ে ছিলাম। এবিষয়টা একদম নিশ্চিত।

তাছাড়া আমার মামাতো বোনের গায়ে পা দেওয়ার সময় আমার উত্তেজনা অনুভব হয়েছিল কিনা তা আমার মনে নেয়। আর ওই সময় মামির গায়ে পা লাগলে ( ইনশাআল্লাহ লাগে নি) উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছিল কিনা তাও মনে নেয়।

৩. আমার আরও একটা বিষয়ে মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে যে, আমার তরফ থেকে তো কোনো হুরমত সাব্যস্ত হয়নি ইনশাআল্লাহ। কিন্তু মামির দিক দিয়ে যদি কখনো হয়ে থাকে?( অন্য কোনো সময় ) তাহলে কি হবে?

(মামি কখনো কোনো খারাপ নজরে আমার দিকে তাকায় নি, আমার প্রতি মামির কোনো খারাপ মানসিকতা আছে বলে কখনোই মনে হয় না । তিনি আমাকে তার ছেলের মতোই দেখে কারন তার কোনো ছেলে নেই , আমার আম্মাকে এবিষয়ে বললে উনি বলেন যে তোর মামি তো তোকে তার ছেলের মতো দেখে )

তো এখন আমার প্রশ্ন হলো মামির সাথে কি হুরমতে সাব্যস্ত হবে? আমার মামাতো বোনের সাথে আমার বিয়ে জায়েজ হবে?

এ নিয়ে অনেক পেরেশানিতে আছি। একবার ভাবলাম যে ইনশাআল্লাহ মামির গায়ে পা লাগে নি, বিয়ের ব্যাপারে এগিয়ে যায় । কিন্তু মনের সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এদিকে আমার আব্বু আমার কাছে শুনছে বারবার সবকিছু ঠিকঠাক করে ফেলবে কিনা, কারন আমি সহ আমরা সবাই বিয়ের ব্যাপারে রাজি। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হবে এরকম সময় আমার এসব মনে হচ্ছে। দয়া করে দ্রুত জবাব দিয়েন।

1 Answer

0 votes
ago by (675,300 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।
যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মামীর শরীরে হাত লেগেছিল কি না? তা নিশ্চিত নয়। তাই মামাতো বোনকে বিয়ে করতে কোনো বাধা নেই। অতীতের গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (3 points)
edited ago by
১.হুজুর আমার ৩ নম্বর প্রশ্নটার ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। (মানে ৩নং পয়েন্টটা আমি একবারে লিখিনি কিছু পরে এডিট করে দিয়েছিলাম তো আপনি ওইটা পড়ে উত্তর দিয়েছেন কিনা এব্যাপারে একটু সন্দেহ হচ্ছিল) 

মনে হচ্ছে যদি মামির দিক থেকে কখনো কোনো সমস্যা হয়ে থাকে?  তাহলে তো বিয়ে জায়েজ হবে না। 
যদিও ওরকম কোনো কিছু কখনো ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না।

এবিষয়ে মামির কাছে শোনা লাগবে নাকি না শুনলেও হবে?
 

এবিষয়ে কি করবো? প্লিজ একটু জানান

২. হুজুর আমার আরও একদিনের ঘটনা মনে পড়েছে সেটা হলো আমি যখন নানা বাড়ি ছিলাম তখন একদিন পুকুরে গোসল করে নানাবাড়ি এসেছিলাম উলঙ্গ অবস্থায়। তারপর উঠান দিয়ে নামাজে যাব বলে নানাদের কলে ঔঅবস্থায় ওযু করতে গিয়েছিলাম।  

তখন আমি ছোট ছিলাম এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু  আমার বয়স কতো ছিল এটা স্পষ্ট মনে  নেয়। তবে সর্বোচ্চ হলে তখন আমি ২য় বা ৩য় শ্রেণিতে পড়ি,  আমার বয়স এটা স্পষ্ট মনে নেয়। তবে সর্বোচ্চ হলে হয়ত ১০-১১ বছর হবে বলে মনে হয়।  
তখন মামি আমাকে ওই অবস্থায় দেখেছিল কিনা তাও মনে নেয়।

এবিষয়ের বিধান কি। হুরমত কি সাব্যস্ত হবে? 

এই দুইটা ঘটনা ছাড়া ইনশাআল্লাহ আর কোনো এরকম কোনো ঘটনা নাই।  
তাহলে কি বিয়ে জায়েজ হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...