আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

• আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:

উস্তাদ, আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো সিজিপিএ সহ বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে বুয়েট-এ মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছি এবং এখন পর্যন্ত পর্দা ও মাহরাম সম্পর্কিত বিধান মেনে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছি — আলহামদুলিল্লাহ।

•উস্তাদ, আমার জিজ্ঞাসা হলো: 
মাস্টার্স থিসিস চলাকালীন আমাকে ক্লাসের সামনে প্রেজেন্টেশন দিতে হবে এবং কোনো পুরুষ সুপারভাইজার থাকলে তাঁর সাথে কথোপকথন বা দিকনির্দেশনা নিতে হবে। যেহেতু তাঁরা শিক্ষক এবং বয়সে, পদমর্যাদায় অনেক বড় — এমন পরিস্থিতিতে শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি কি পর্দার খেলাপ হবে?

যদিও একজন মহিলা সুপারভাইজার নির্বাচন করলে কিছু সমস্যা এড়ানো যায়, তবুও ডিফেন্স বা প্রেজেন্টেশনের দিন মিশ্র শ্রোতার (পুরুষ ও মহিলা) সামনে কথা বলতে হবে, উস্তাদ।

উস্তাদ, আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি — একদিকে পড়ালেখা অনেকদূর এগিয়েছে, অন্যদিকে পর্দা রক্ষা নিয়ে আমার মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় মাস্টার্স শেষ করা কি শরয়ী দৃষ্টিতে (কুরআন ও হাদিস এর আলোকে) অনুমোদনযোগ্য হবে, নাকি এখানেই থেমে যাওয়াই উত্তম হবে উস্তাদ?

উস্তাদ, আপনার সঠিক পরামর্শ বা ফতোয়া পেলে অত্যন্ত উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ।

উক্ত প্রশ্নে কোনো ভুল, সীমাবদ্ধতা বা শিষ্টাচারগত ত্রুটি হয়ে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি উস্তাদ। আফওয়ান।

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (677,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি নিজ ঈমান আমলের হেফাজত এবং পর্দা পুশিদা রক্ষা করে মাস্টার্স সম্পন্ন করা সম্ভবপর হয়, তাহলে আপনি মাস্টার্স সম্পন্ন করবেন। এবং নিজ শিক্ষাকে সম্পূর্ণ পর্দায় থেকে দ্বীনি কাজে ব্যয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...