মুসলিম নারীরা হাদীস, তাফসীর, ফিকহ ও কিয়াসে দক্ষ হলে তারা ইসলামি শরিয়তের মাসআলা-মাসায়েল ব্যাখ্যা করতে পারে।
উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহ.) বলেন:
"আমি কোনো নারীকে আয়েশা (রা.)-এর চেয়ে বেশি ফিকহ জানা, চিকিৎসা শাস্ত্রে পারদর্শী এবং কবিতায় অভিজ্ঞ দেখিনি।"
[আদ-দারিমি, মুয়াক্কাদা ১/৫০]
ইমাম যুহরি (রহ.) বলেন:
"যদি সাহাবীদের কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হতো, তারা আয়েশার (রা.) কাছে আসত এবং তার কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাইত।"
[ইবনু আব্দুল বার, আল-ইস্তিজকার]
ইমাম যাহাবী বলেন:
"যেসব নারী ফতোয়া দিয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুফতিয়া হলেন আয়েশা (রা.)। বহু সাহাবী তাঁর কাছ থেকে মাসআলা জেনেছেন।"
[সিয়ার আলামুন্নুবালা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ١٣٥]
আতাব ইবনু আবি রাবাহ বলেন:
"আয়েশা (রা.) ছিলেন সবচেয়ে বড় আলিমা। মানুষের মধ্যে তারচেয়ে বেশি ফিকহ জানা কেউ ছিল না।"
[তিরমিযী, সূরাহ নিসা তাফসীর]
আয়েশা (রা.) সাহাবীদের ভুল সংশোধন করতেন:
মুসলিম শরীফে আছে, একবার হজে কেউ বলল—
"যদি কারো কাছে সুগন্ধি লাগানো কাপড় থাকে, সে তা খুলে ফেলবে না।"
আয়েশা (রা.) বলেন: "না, রাসূল ﷺ আমাদের হুকুম দিয়েছেন ইহরামের সময় তা খুলে ফেলতে।"
[সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৮৭]
পুরুষদের মতো প্রকাশ্যে মজলিসে নারীরা ফতোয়া দিতে পারবেনা। শরিয়তে এতে সীমাবদ্ধতা দিয়েছে।
নারী মুফতী হয়ে নারীদের ফতোয়া দিবে। গায়রে মাহরাম পুরুষদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেনা।