আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা মাকরুহ জেনেও যদি এই কাপ ব্যবহার করি তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হবেন?প্যাডে তো দেখা যায় টুকটাক অসুবিধা হয় যেমন অনেক প্যাড লাগায় খরচ আছে , মাঝেমধ্যে চুলকানি হয়। আবার কাপড় ব্যবহারের দেখা যায় ধোয়ার সময় পানি এবং সময় দুটোই নষ্ট হয়। কিন্তু মেনস্ট্রুয়াল কাপে এসব নেই।তাই ব্যবহার করতে চাচ্ছিলাম আরকি।

1 Answer

0 votes
by (647,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/87141/ নং ফতোয়াতে এসেছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصِّيَامَ وَالصَّلاَةَ قَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ " إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي فَإِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي وَصَلِّي فَإِنَّ ذَلِكِ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَوِيتِ عَلَى ذَلِكِ " . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهُوَ أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ "

হামনা বিনত জাহশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি খুব ভীষণভবে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলাম। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই বিষয়ে ফতওয়া জানতে এলাম। তাঁকে আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন যয়নাব বিনত জাহাশের ঘরে পেলাম। বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো ভীষণভাবে ইস্তিহাযা আক্রান্ত। এ বিষয়ে আপনি কি করতে বলেন? এ তো আমাকে সালাত ও সওম থেকে ফিরিয়ে রাখছে। তিনি বললেনঃ তোমাকে আমি তুলা ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এতে রক্ত শুষে নিবে। আমি বললামঃ রক্তের পরিমান এর থেকেও বেশি। তিনি বললেনঃ তবে তা দিয়ে লাগমের মত বেধে নাও। আমি বললামঃ না, রক্তের পরিমাণ তো আরো বেশি। তিনি বললেন তবে এর নীচে আর একটি কাপড়ের পট্টি লাগিয়ে নাও। বললাম, রক্ততো আরো বেশি। স্রোতের মত তা ধেয়ে বেরুচ্ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাকে আমি দু’টো বিষয়ের কথা বলছি। এ দু’টোর যে কোন একটি করতে পারলে তোমার জন্য যথেষ্ট। আর উভয়টি করতে তোমার শক্তি হলে তুমিই ভাল জান কোনটি তুটি গ্রহণ করবে। শোন, এ হলো শয়তানের গুতো।

যা হোক, ছয়দিন বা সাতদিন আল্লাহর জ্ঞানে বা তোমার জন্য নির্ধারিত সেদিনগুলো হায়েয হিসাবে ধরবে পরে তা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে গোসল করে নিবে। যখন তুমি দেখবে যে, তুমি পাক হয়ে গেছ এবং পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছ তখন চব্বিশ দিন বা তেইশ দিন সালাত ও সিয়াম পালন করবে। আর এ-ই তোমার জন্য যথেষ্ট। সাধারণভাবে মহিলারা হাযেয ও তুহরের (পাক থাকার) নির্ধারিত দিনগুলোতে যা করে তুমিও সেদিনগুলোতে তা করবে।

আর পাক থাকার নির্ধারিত দিনগুলোতে তোমার জন্য যুহরের সালাত পিছিয়ে এবং আছরের সালাত কিছুটা এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের একবার গোসল করেলে দুই ওয়াক্তের সালাত আদায় করা সম্ভব হলে তা করবে। এমনিভাবে মাগরিবের সালাত পিছিয়ে এবং ’ইশার সালাত এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের জন্য একবার গোসল করে দু’টো আদায় করো এবং ফজরের সময় গোসল করে তা আদায় করা সম্ভব হলে তদ্রম্নপভাবে সালাত ও সিয়াম পালন করবে। হ্যাঁ, তোমার শক্তিতে কুলালে তা-ই করো। আর দুটো বিষয়ের মধ্যে এই বিষয়টই আমার নিকট অধিক পছন্দের। 
(তিরমিজি ১২৮. ইবনু মাজাহ ৬২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কুরসুফ রাখার স্থান হল, মাসিকের রাস্তার প্রবেশ মূখ। কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে কুরসুফ প্রবেশ করানো মাকরুহ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতেও মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা মাকরুহ হবে।

ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন-

(ويكره وضعه) وضع جميعه (فى الفرج الداخل)لأنه يشبه النكاح بيدها محيط-

সমস্ত কুরসুফ কে লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।কেননা ইহা হস্তমৈথুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

মাজমু'আতু রাসাঈলে ইবনে আবেদীন-১/৮৪-৮৫

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উলামায়ে কেরামগন যেহেতু মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা মাকরুহ বলেছেন,সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেন্সট্রুয়াল কাপ করার অনুমতি নেই।

তবে এক্ষেত্রে যেহেতু কুরআনে বা হাদীসে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা নেই,আর এটি শরয়ী দৃষ্টিকোন হতে হারামও নয়,তাই আশা করি এটি ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হবেন,এমনটি নিশ্চিত ভাবে বলা যাবেনা।

তদুপরি ইস্তিগফার পাঠ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...