ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রুপার মূল্যকে যাকাতের মানডন্ড ঘোষণা করার ধরুণ যদিও আজকাল অনেক হাজতমন্দের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়,এবং অনেক হাজতমন্দকে যাকাত দেয়া যায় না,তথাপিও এই রূপ্য মূল্যকে সাধারণ মালের যাকাতের নেসাবের জন্য মানডন্ড হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।এবং এর উপরই ফাতাওয়া হয়েছে।এজন্য উলামায়ে কেরাম হিলা বা কৌশলগত ভাবে বলেন যে,যদি কেউ এই পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে, এবং তার স্ত্রী বা বালেগ সন্তানের এই পরিমাণ সম্পদ না থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী বা বালেগ সন্তানাদিদের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২৭৬)
যেহেতু রুপ্য মূল্যকে মানডন্ড হিসেবে মুতাআখখিরিন (তিনশত হিজরী পরবর্তী হানাফি ফকিহ) উলামায়ে কেরামগণ ফাতাওয়া দিয়ে গেছেন।তাই এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানডন্ড করা যাবে না। কেননা ইসলাম সর্বদা এটাই চায় যে কারো কাছে যেন অলস টাকা না থাকে, বরং এই সামান্য টাকাকে পুঁজি করে সে যেন তার জীবিকা উপার্জনের পথ খুজে নেয়। এ বিষয়টা বোধগম্য করার লক্ষ্যেই উলামায়ে কেরামগণ অল্পমূল্যের নেসাব তথা রূপাকে মানডন্ড ঘোষণা করে যাকাত ওয়াজিব করেছেন।
[এ বিষয়টাকে ইমাম আবু হানিফা রাহ এর প্রসিদ্ধ উক্তি "লাঙল যার জমি তার" এর মতই। অর্থাৎ ইমাম আবু হানিফা বর্গাচাষ পদ্ধতিকে সমর্থন দিতেন না, কেননা এক্ষেত্রে মানুষ কাজ-কর্ম পরিত্যাগ করে বর্গাচাষের নির্ধারিত হিস্সার উপর নির্ভর করে বসবে । যদিও মানুষের প্রয়োজনের বিষয় বিবেচনা করে পরবর্তীতে সাহেবাইনের মতামতের উপর বর্গাচাষ এর বৈধতার ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে।]
যেহেতু রূপার নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর যাকাত আসবেই। সেজন্য ফুকাহায়ে কেরামগণ এ ব্যক্তির ব্যাপরে পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে, সে যেন তার নিকটাত্মীয় (স্বামী-স্ত্রী এবং পিতা-সন্তান সম্পর্কীয় ব্যতীত) কাউকে দিয়ে দেয় যাদের কে তার প্রায় দেখভাল করতে হয়। দেখুন-
https://www.ifatwa.info/366
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
৩০ হাজার টাকার ঋণ বলতে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন? আপনি কি কারো কাছে ঋণ পান, না আপানর কাছে কেউ ঋণ পায় ? সেটা আপনার ঐ বক্তব্য থেকে পরিস্কার হয়নি। যাই হোক আমরা ধরে নিচ্ছি যে, আপনার কাছে কেউ একজন ৩০ হাজার টাকা ঋণ পায়, অন্যদিকে আপনার কাছে সাড়ে ৪ ভড়ি স্বর্ণ রয়েছে, উক্ত পরিস্থিতিতে আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না। কিন্তু আপনি যদি কারো কাছে ৩০ হাজার টাকা ঋণ পেয়ে থাকেন, তাহলে যেহেতু আপনার কাছে মওজুদ ঐ সাড়ে ৪ ভড়ি স্বর্ণ দ্বারা রূপার নেসাব পূর্ণ হয়ে যায়, তাই আপনার উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২৭৭)