আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বয়স ২৮ বছর। আমি ছাত্রাবস্থা থেকেই ৬টা টিউশান করে আমার পরিবারে অর্থনৈতিকভাবে, অবদান রেখেছি (নিজের।শরীরের সর্বোচ্চ ক্ষতিসাধন করে)। এখন বর্তমানে একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছি। ২০১৯ সালে, আমার বাবা তার চাকরিটা হারায়, ফলশ্রুতিতে আমাকে পুরো সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনার সময় আমার বাবার চাকরির প্রতি কোনো আগ্রহ না দেখে আমি বাধ্য হয়ে বাবাকে চাকুরি খুজতে বলায় আমার বাবা মা দুজনই আমাকে মেরে বাসা থেকে বের করে দিত উদ্যত হয়। তখন, আমি আমার জন্য ছেলে দেখার কথাও বলেছিলাম। এবং, আমার মা বাবা আমার চরিত্র নিয়ে বাজে ইঙ্গিত প্রদান করেন। আজ পাঁচ বছর ধরে আমি বলেই যাচ্ছি কিন্তু তাদের কোনো ইচ্ছা নেই। বলে রাখা ভালো, আমার জমানো সব টাকা একবার আমাদের গ্রামের ঘর ঠিক করে আমাকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিবে বলে নিয়ে নিজের জন্য গয়না বানিয়েছেন। আমি প্রতিদিন ১২/১৩ ঘণ্টা বাইরে থেকে এসে আমার বাবা মা এর ইচ্ছা আমি বিসিএস এর প্রস্তুতি নিবো। আমার কোনো সেভিংস নেই আমার ছোট ভাই এর একজন কিছুদিন আগেও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিলো এবং এইচএসসি (২০২৩) পাস করে এখন সে দিনমজুরের কাজ করে মাসে হয়তো ১ হাজারের মতন খরচ দেয় বাসায়। এ ব্যাপারে আমার ভাইকে কিছু বোঝাতে গেলে আমার মা প্রচন্ড উগ্র আচরণ করেন। আমার সর্বকনিষ্ঠ ভাই মা বাবা আমি কাউকেই গালিগালাজ আর মার থেকে রেহাই দেয়নি। আমাকে একবার মেরেছিল আর তাতে আমার মা খুব খুশি হয়েছিলেন। আমি প্রচন্ড অসুস্থ বলে  আমার বাবাকে বলেছিলাম ডাক্তার দেখানোর কথা....সাথে সাথেই সে আমার মুখে লাথি তুলে বলেন যে, আমাকে এভাবে উনি লাথি দিয়ে ডাক্তারের কাছে নিবেন। তারপরেও আমি ওনার সাথে কথা বলি কারণ ৩দিনের বেশি কথা না বললে কি হবে তা তো জানি।
# আমার বাবা বামধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, তার মাজার প্রীতি মারাত্মক পর্যায়ের এবং এ নিয়ে তাকে বোঝাতে গেলে আমাকে আইসিস জঙ্গী ডাকেন। আমি পারিবারিক ভাবে কোনো দ্বীনি শিক্ষা পাইনি এবং আল্লাহর দয়ায় আমি হেদায়েত প্রাপ্ত হয়ে নিকাব পরার কারণে আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি কোনো জঙ্গি সংস্থার সাথে যুক্ত আছি কিনা। আমার মা তাবিজে বিশ্বাস করেন, ঘরে আগে চুলায় মরিচ, পান এগুলো পড়াতেন। আমি পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছিলাম যেন এগুলো না করে ইমান নষ্ট হবে। আমার।মা বাবা মাঝে মাঝে নামাজ পড়েন। বলেন, ওনাদের নামাজ পড়তে কষ্ট হয়, কিছু একটা আটকে রাখছে তাদের। গতকাল, বাসায় অনেক ঝামেলা হয়, আমিও অনেক তর্ক আর বেয়াদবি করে ফেলেছি। তাদের ভাষ্যমতে, আমাকে তারা পড়াশোনা করিয়েছিলেন এজন্য আমি তাদের ইনকাম করে খাওয়াতে বাধ্য।
এখন, আমাকে উত্তম নাসিহাহ দান করুন।
এখন আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা গরিব/ফকির হলে কার উপর তার নাফক্বাহ ওয়াজিব?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায়,
প্রথমে তার পিতার উপর তারপর স্বামীর উপর তারপর সন্তানের উপর।এদের মধ্যে যদি কেউ জীবিত না থাকে অথবা নাফক্বাহ দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর  উক্ত মহিলার  নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
وَتَجِبُ نَفَقَةُ الْإِنَاثِ الْكِبَارِ مِنْ ذَوِي الْأَرْحَامِ، وَإِنْ كُنَّ صَحِيحَاتِ الْبَدَنِ إذَا كَانَ بِهِنَّ حَاجَةٌ إلَى النَّفَقَةِ كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ 
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলার নাফক্বাহ ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর ওয়াজিব হবে,যখন তার নাফক্বাহর প্রয়োজন হবে।।যদিও সে শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে না কেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3712



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পিতা যেহেতু উপার্জন সক্ষম তাই উনার উপর আপনার ভরণপোষণও ওয়াজিব। যাইহোক, মাতাপিতার সাথে অযথা তর্কে লিপ্ত না হয়ে বরং তাদেরকে সহযোগিতা করবেন। যথাসম্ভব তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। পর্দাসম্সত ভাবে উপার্জনের কোনো পদ্ধতি থাকলে, সেভাবে উপার্জন করে তাদেরকে সহযোগিতা করবেন। এবং তাদের হেদায়ত ও দ্বীনদার পাত্রের সাথে নিজের বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করতেই থাকবেন। বিশেষত তাহাজ্জুদ নামায পড়ে দু'আ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...