আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি ইসলামিক পরামর্শ অনুযায়ী আমার স্বামীর কাছে তালাক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাকে নিয়ে অনেক ঘুরিয়েছে, তালাক দেবে কি না সেটা নিয়ে ঘোলা পানি করেছে।


একপর্যায়ে সে আমাকে মেসেজে লিখে পাঠায়:

"তোমাকে আমি তালাক দিলাম। আজ থেকে তুমি হারাম, সব শেষ হয়ে গেল।"


আমি তখন তাকে বলি:

"আরও দুইবার স্পষ্ট করে বলো।"

সে তখন উত্তর দেয়:

"আমি তো ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছি।"


আমি তখন ধরে নিই যে তালাক হয়ে গেছে।

কিন্তু আমার OCD থাকার কারণে মন থেকে সন্দেহ কিছুতেই যাচ্ছে না।


এরপর আমি আসরের নামাজের পর আবার তাকে ফোন দিই।

সে তখন অনেক রেগে গিয়ে আমাকে অভিশাপের মতো কথা বলে,

কিন্তু "তালাক" শব্দটি স্পষ্ট করে বলে না।

শুধু বলে:

"তোমাকে হারাম বলেছি, ইঙ্গিত দিয়েছি।"


এরপর আমি আবার কষ্ট করে বলি:

"আরও স্পষ্ট করে বলো।"

তখন সে বলে:

"যা তো, একসাথে দুই তালাক!"

এরপর আমি ফোন রেখে দিই।


তবুও আমার সন্দেহ যায় না।

তাই রাতের দিকে আমি আবার তাকে কল দিই।

সে তখন বলে:

"আমি আপনাকে তালাক দিলাম" — এই কথাটি সে কয়েকবার বলে।

তখন আমার কিছুটা শান্তি আসে।


কিন্তু পরে রাতে আবার সে আমাকে কল দিয়ে বলে:

"আমি তো এক তালাকই দিয়েছি মাত্র।"

— কিন্তু এই হিসাব আমার সঙ্গে মেলে না।

আমি আমার স্বামীকে বলি,

“তুমি আজ সকালে যে তালাকের মেসেজ পাঠিয়েছিলে, সেটা কি সত্যিই তুমি নিজে টাইপ করেছিলে? আর তুমি তো ‘হারাম’ জাতীয় বাক্যও অনেক বলেছিলে। তারপর আসরের সময়ও তুমি আমাকে অনেকবার বলেছিলে। এই হিসাব অনুযায়ী, আমাদের অনেক আগেই তালাক হয়ে গেছে।”

আমি আবার তাকে বলি,

“তুমি জানো আমি OCD-তে ভুগি। আমার সবকিছু নিয়ে সন্দেহ হয়, এটাই আমার সমস্যা।”


সে তখন হেসে বলে,

“আমি এত বোকা না, আমি তোমাকে কোনোদিন ছাড়ব না, কোনোদিন না। তোমাকে আমার দরকার।”


আমি কান্না করে বলি,

“আমাকে ছেড়ে দাও। আমাকে এই সন্দেহ আর মানসিক কষ্টে ফেলো না। তুমি তো জানো আমি OCD-তে ভুগি, অহেতুক আমার সন্দেহ হয়। তুমি যদি এরকম বলো, আমার সন্দেহ আরও বেড়ে যাবে।”

এই কথা বলার পর সে আমাকে, আমার বাবা-মা সহ অনেক গালিগালাজ করে।


একপর্যায়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে সে বলে:

“তুমি কান্না কোরো না, তুমি সত্যিই হারাম হয়ে গেছ।”

আমি তখন বলি,

“তুমি তো আগেই বলেছিলে...”

সে আবার বলে:

“সত্যি কসম করে বলছি, আমি তোমাকে এক তালাক দিয়েছি।”


কিন্তু সে বারবার একেক কথা বলে।

শেষপর্যন্ত সে আমাকে ফোনে তিন তালাক দেয়।


কিন্তু এরপর যখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, সে বলে:

“কসম করে বলছি, আমি তখন এক তালাকই দিয়েছিলাম।”

আমি বলি,

“তখন তো তুমি আমার সামনে কণ্ঠে তালাক বলেছিলে!”

সে তখন বলে,

“বাদ দাও আর কষ্ট দিও না, তুমি তো এখন শান্তি পেয়েছো, যাও।”

আমি ফোন রেখে দিই।

কিন্তু আমার মনে হিসাবটা মেলে না।


আমি নিজেও একজন সিরিয়াস OCD রোগী।

তাই আমার সন্দেহ কিছুতেই যায় না।

পরে আমি আবার সকালে তাকে কল দিই।


সে তখন আমাকে মেসেজে লিখে তিনবার এই কথাটি টাইপ করে:

“আমি তোমাকে তালাক দিলাম। আমি তোমাকে তালাক দিলাম। আমি তোমাকে তালাক দিলাম।”


কিন্তু তখনও আমার মনে সন্দেহ জাগে—

“সে হয়তো এই মেসেজটা কপি-পেস্ট করেছে! আমাকে আবার ধোঁকা দিচ্ছে! হয়তো এটাই তার কোনো ট্রিক্স!”

তবে সে কসম করে বারবার বলে:

“আমি নিজেই টাইপ করেছি, কোনো কপি-পেস্ট না।”

তবুও আমার মেনে নিতে কষ্ট হয়।


পরে দুপুরে আমি আবার তাকে ফোন দিই।

সে তখন ফোনেই তিনবার “তালাক দিলাম” বলে।

আর মেসেজেও তিনবার লিখে দেয়:

“আমি তোমাকে তালাক দিলাম।”


সে বারবার বলে,

“আমি নিজেই টাইপ করেছি, কপি করিনি।”


আমি এখন শুধু আল্লাহর জন্য বাঁচতে চাই।

নতুনভাবে জীবন শুরু করতে চাই।

সব হারাম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে শুধু আল্লাহর পথে চলতে চাই।

কিন্তু আমার এই anxiety (উদ্বেগ) কিছুতেই যায় না।


আমার মনে হয়:


আমার তালাক হয়নি।


সে হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল উচ্চারণ করেছে — যেমন ‘দিলাম’-এর জায়গায় ‘দিলাম’,


বা ‘তালাক’-এর জায়গায় ‘থালাক’।


আবার মনে হয়: সে হয়তো কপি-পেস্ট করেছে — তখন তালাক হবে না ?


আমাকে দয়া করে বলবেন, আমি বাঁচতে চাই, আমি সত্যি সত্যি বাঁচতে চাই।

আমি নতুন করে শুরু করতে চাই — কিন্তু আমার এই সন্দেহ আর মানসিক চাপ আমাকে ছেড়ে যাচ্ছে না।

আমি চাই আল্লাহর কাছে ফিরে যাই, সব হারাম থেকে মুক্ত হয়ে পরিশুদ্ধভাবে জীবন কাটাই। আমার মূল সন্দেহ বলি, 1. ও হতো যখন আমাকে কল এ বলসে তখন হয়তো আস্তে করে দিলাম না বসলে যেটা আমি না ওয়ার্ড টা সুনি নাই । 2. আমার ভয় হলো যদি ও কপি পেষ্ট করে তাহলে কি তালাক হবে ?3. বা হয়তো একবার লিখসে তালাক কিন্তু বাকি 2 বার ও এক তালাকের নিয়তে কপি পেষ্ট করসে ! ও হাজার বার কসম করলেও আমার সন্দেহ যাচ্ছে না ।এখন কি ওর সাথে আবার কথা বলব তালাক এর কথা? দয়া করে নিজের বোন ভেবে উত্তর দিবেন


-

1 Answer

0 votes
ago by (643,350 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...