পারিবারিক সমস্যা।

Question

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
২০২৩ এর আগস্ট মাসে আমার বিয়ে হয়েছে। তখনো আমার পড়া কমপ্লিট হয়নি বলে আমার আব্বু-আম্মু আমার স্বামীকে বলেন পড়ালেখা শেষ হলে আমাকে ওনার বাসায় নিতে। তার আগ পর্যন্ত আমি বাবার বাসায় থাকবো। এমনই কথা হয়েছিল বিয়ের সময়।
অপরদিকে আমার স্বামীরও বিয়ের কিছুদিন পরে চাকরি বদল ও ট্রেইনিং থাকায় তিনিও রাজি হন। তবে প্রত্যেক সপ্তাহে আমাদের বাসায় সাপ্তাহিক ছুটির দুইদিন থাকতেন।

বর্তমানে আমার পড়া শেষ, তবে আমার স্বামীর আগামী ৬ মাস বাধ্যতামূলক ট্রেইনিং আছে। এদিকে আমি প্রেগন্যান্ট।
আমার আম্মু আমার স্বামীর প্রতি সপ্তাহে আসাটা পছন্দ করছে না। এটা বুঝতে পেরে আমি ও আমার স্বামী ট্রেইনিং থাকা সত্বেও একমাস আগে বাসা নিতে চেয়েছি আমি প্রেগন্যান্ট অবস্থাতেই। কিন্তু আমার আব্বু-আম্মু তখন ওনাকে বাসা নিতে নিষেধ করে দেন, যেহেতু আমি প্রেগন্যান্ট। উনি ট্রেইনিং এ থাকা অবস্থায় সারাদিন একা থেকে আমার সমস্যা হতে পারে বলে।

আমার স্বামীও তাদের কথায় রাজি হয়। কিন্তু কিছুদিন যেতেই আমার আম্মু আবার বিরক্ত হচ্ছে। এবং মনে করছে আমরা বাসাটা নিতেই পারতাম৷ ওরা নিষেধ করলেও তো আমরা ভালো মনে করলে বাসাটা নিয়েই নিতে পারতাম। এগুলো প্রায়ই আমাকে বলে৷ এই কথাগুলো আমাকে কষ্ট দেয়। মনে হয়, আমি জোর করে এখানে থাকছি। আমার সব খরচ আমার স্বামী বহন করা সত্বেও আমার স্বামীর কোনো সম্মান নেই এই বাসায়। তাছাড়া এতোদিন উনি এখানে আসতেন আমার কাছে। এখন আমি প্রেগন্যান্ট থাকা সত্বেও ওনাকে আসতে নিষেধ করলে ওনারও কষ্ট হয়, যেহেতু উনি এই প্রথম বাবা হতে যাচ্ছেন, ইনশাআল্লাহ।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এমতাবস্থায় আমার ও আমার স্বামীর কি করা উচিত?
আমরা আলাদা বাসা নিলেও উনি ট্রেইনিং থেকে প্রত্যেকদিন বাসায় আসতে পারবেন কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। অর্থাৎ কোনো কোনো দিন ট্রেইনিং সেন্টারে রাতে থাকতে হতে পারে। তখন আমাকে রাতে একা থাকতে হবে বাসায়। আমার প্রেগন্যান্সিতে একা থাকার একটা ভয় আছে।

১) এমতাবস্থায় আমাদের কি আলাদা বাসা নিয়ে নেওয়া উচিত? নাকি,
২) আমার স্বামীকে আমার আম্মু-আব্বুর বাসায় অনেকদিন পর পর একবার আসতে বলা উচিত? নাকি,
৩) আম্মুর বিরক্তি সহ্য করে আগামী ৮ মাস এখানেই কোনোভাবে কাটিয়ে দেওয়া উচিত, আমার স্বামীকে আসতে নিষেধ না করে?

দয়া করে আমাকে উত্তম পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

জাযাকাল্লাহু খইরান। <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250711_210413_489.sdocx-->

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

নবীজী সা বলেনঃ
ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺧْﺒِﺮْﻧِﻲ ﺑِﻔَﻮَﺍﺿِﻞِ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﻋُﻘْﺒَﺔُ ﺻِﻞْ ﻣَﻦْ ﻗَﻄَﻌَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﻂِ ﻣَﻦْ ﺣَﺮَﻣَﻚَ ﻭَﺃَﻋْﺮِﺽْ ﻋَﻤَّﻦْ ﻇَﻠَﻤَﻚَ
অনুবাদঃ হে উক্ববাহ!
যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে তুষ্ট করো, যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তার সাথে উত্তম ব্যবহার (ক্ষমা) করো। (মুসনাদে আহমদ- ১৭৩৩৪ নং হাদীস) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/27748

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার আম্মুর বিরক্তি সহ্য করে আগামী ৮ মাস এখানেই কোনোভাবে কাটিয়ে দিবেন। আপনার স্বামীকে আসতে বারণ করবেন না। মায়ের হেদায়েতের জন্য দু'আ করবেন। স্বামীকে কিছু খরচাপাতি করার জন্য বলবেন তাহলে দেখবেন মা খুশী হবেন।