আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
edited by
শায়েখ, আমি একজন পুরুষ ব্যবসায়ী। মরক্কোর নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক 'Takshita' এবং তুরস্কসহ আরো অন্যান্য মুসলিম দেশের নারীদের পোশাক যেগুলোতে ইসলামী সংস্কৃতির ছাপ ফুটে ওঠে সেগুলো বাংলাদেশে এনে বিক্রি করার চিন্তা করছি। এই পোশাকগুলো শুধু 'ঘরের ভিতরে পরার পোশাক' (বিশেষত স্বামীর সামনে পরার পোশাক) হিসেবে প্রচার করা হবে। বিজ্ঞাপনে প্রথমদিকে অপারগতার কারণে মহিলা মডেল থাকলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে মহিলা মডেল ব্যবহার করা বন্ধ করে দিব। এবং ম্যানিকিওর ব্যবহার করলেও শরীরের ছাপ যেন বোঝা না যায় সেই ব্যবস্থা নিব। এই পেশাটির ব্যাপারে শরিয়াহর বিধান কী হবে? যদি কোনো নারী এটাকে ঘরের বাইরে পরেন তার গুনাহের দায়ভার কি আমার হবে?

শায়েখ, উল্লেখ্য 'বাঙালি মুসলিম নারীর পোশাক এবং বাঙালি হিন্দু নারীর পোশাক আলাদা'- এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমার এমন পদক্ষেপ। যেহেতু, বোরকা-নিকাবের মতো ঘরের বাইরের পোশাক নিয়ে অনেকে কাজ করছেন, এজন্য ওদিকে কাজ করতে চাচ্ছি না।

শায়েখ এছাড়া নারীদের প্রাকৃতিক কসমেটিকস ও পারফিউম ঐ দেশগুলো থেকে ইমপোর্ট করে এনে এদেশে বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে। এর বিধান কী?

শায়েখ, এছাড়া উক্ত দেশগুলির মুসলিম পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলিও বাংলাদেশে জনপ্রিয় করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে শারঈ বিধান কি হবে?

শায়েখ, আমি শরিয়াহসম্মতভাবে ব্যবসা করতে চাই। দয়া করে আমাকে আরো কিছু নসিহাহ করবেন।

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি পোষাকের ব্যবসায়া করতে পারেন। শরীয়ত বিরোধী কাজে যারা ব্যবহার করবে, তাদের গোনাহ হবে। তবে এ্যাড এর জন্য ছবি ব্যবহার করা যাবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...