আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। আমি উমরা সফরের নিয়তে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমার এক আত্মীয় খুবই অভাবে আছেন। আর্থিক সংকট বেশি হয়ে গিয়েছে।  যদিও আমাকে বলেনি কাউকে বলবেও না খুবই আত্নসম্মানী। আমি বুঝতে পারছি বিষয়টি। এখন আমার কাছে উমরা সফরের টাকা ছারা আর কোনো টাকা নেই। তার কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি চাচ্ছি টাকাটা অজ্ঞাতনামে তার বিকাশে পাঠাবো। আমি ক এমনটা করতে পারব?

নাকি উমরার নিয়ত করলে সেটা সেই খাতেই ব্যায় করতে হবে?

যদিও টাকাটায় তার প্রয়োজন সব পূরণ হবে না তবে সামান্য লাঘব হলেও হবে।

যাঝাকুমুল্লহু খইরন ফিদ-দুনইয়া ওয়াল আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عن ابن عباس رضي الله عنهما، عن النبي صلى الله عليه وسلم، فيما يروي عن ربه عز وجل قال: قال: «إن الله كتب الحسنات والسيئات ثم بين ذلك، فمن هم بحسنة فلم يعملها كتبها الله له عنده حسنة كاملة، فإن هو هم بها فعملها كتبها الله له عنده عشر حسنات إلى سبع مائة ضعف إلى أضعاف كثيرة، ومن هم بسيئة فلم يعملها كتبها الله له عنده حسنة كاملة، فإن هو هم بها فعملها كتبها الله له سيئة واحدة
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হাদীসে কুদসী স্বরূপ) তাঁর প্রতিপালক হতে বর্ণনা করে বলেন যে, আল্লাহ্ ভাল-মন্দ লিখে দিয়েছেন। এরপর সেগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন সৎ কাজের ইচ্ছা করল, কিন্তু তা বাস্তবে করল না, আল্লাহ্ তাঁর কাছে এর জন্য পূর্ণ সাওয়াব লিখবেন। আর সে ভাল কাজের ইচ্ছা করল এবং তা বাস্তবেও করল তবে আল্লাহ্ তাঁর কাছে তার জন্য দশ গুণ থেকে সাতশ’ গুণ পর্যন্ত এমন কি এর চেয়েও অধিক সাওযাব লিখে দেন। আর যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করল, কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত করল না, আল্লাহ্ তাঁর কাছে তার জন্য পূর্ণ সাওয়াব লিখবেন। আর যদি সে মন্দ কাজের ইচ্ছা করার পর বাস্তবেও তা করে, তবে তার জন্য আল্লাহ্ মাত্র একটা গুনাহ লিখেন। (সহীহ বোখারী-৬৪৯১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উমরাহ করা নফল ও সুন্নত একটি আমল। যেকোনো নফল কাজের নিয়ত ও ইচ্ছা করার পর বিশেষ কোনো কানণে উক্ত নফল ইবাদতকে পরিহার করা যায়। সুতরাং উমরাহর নিয়তে টাকা জমানোর পর সেই টাকাকে অন্য কাজে ব্যয় করা যাবে। কাউকে ধার দেয়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...