আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,
১. কোন বই পড়ে তারপর সেখান হতে অন্যদের শিক্ষা দিলে কি সেই বইয়ের নকল করা হবে? কারণ কোন নিয়ম সংগা ত বই থেকেই মুখস্থ করা হয়। আর একই বিষয় এ অনেক বই পড়লে ত সব বইয়ের reference বলা যায় না। মানে, আমার প্রশ্ন হল, কোন বিষয় যেকোনো স্থান থেকে শিখে তারপর অন্যকে শিখালে কি কোন বই বা তার লেখক বা শিক্ষক এর নকল হবে?

২. বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন বের হয়না, কিন্তু ছাত্ররদের যা মনে থাকে তাই বিভিন্ন বইয়ে পরবর্তী বছরের জন্য ছাপানো হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু কখনো আপত্তি করেনি।এমনকি পাঠ্যবইতেও থাকে। তাহলে এই বিগত বছরের প্রশ্ন পড়লে কি  সমস্যা আছে?
৩. ভারচুয়াল রিয়েলিটি কি প্রতারণার শামিল হবে?যেমনঃ একজন জানে যে সে আসল গাড়ি চালাচ্ছে না শুধু সেটার অনুভূতি পাচ্ছে প্রযুক্তির সাহায্যে আর এর ব্যবহার দ্বারা পলেন গাড়ি অপারেশন করা সহজে শেখা যায় কিন্তু তা বাস্তব না থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে নকল করা যেমন হারাম তেমনি নকলে সহযোগিতা করাও হারাম। 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

তাছাড়া এটি একটি খিয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা। আর আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَخُونُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ وَتَخُونُوا أَمَانَاتِكُمْ وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা জেনে-শুনে খেয়ানত করো না আল্লাহ ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতের ক্ষেত্রে।” (সূরা আনফাল: ২৭)

নকল করা এটা ধোকাবাজির অন্তর্ভুক্ত। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

,
(০১)
কোন বই পড়ে তারপর সেখান হতে অন্যদের শিক্ষা দিলে সেই বইয়ের নকল করা হবেনা।
এটা অবৈধ নয়। 
জায়েজ আছে।
,
তবে রেফারেন্স মনে থাকলে বলে দেওয়া ভালো। 
,
(০২)
বিগত বছরের প্রশ্ন পড়লে সমস্যা নেই।
তবে শুধু তার উপরেই ভরসা করা ঠিক নয়।
,
(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসলেই যদি সেটা শেখা যায়,তাহলে তা দেশীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ না হলে জায়েজ আছে।
 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...