আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামুআলাইকুম।রিলেশনশিপ যে হারাম।এটা আমি জানতাম না।শয়তানের ধোঁকায় পরে আমি রিলেশনশিপে যাই।পরে আমি জানতে পারি যে  হারাম এটা।তখন গোপনে বিয়ে হয়।আমরা দুজনেই বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম।এর মধ্যে আমরা কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হই।চূড়ান্ত পর্যায়ে যা হয় তা হয়নি তবে যা হয়েছে তা সমপর্যায়েই বলা চলে।যেহেতু আমরা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম,একেক মাযহাবের একেক মত তাই আমরা বিয়েটাকে পরবর্তীতে বাতিল ধরি যেহেতু বাবার অনুমতি ছিলো না।হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বিয়েটা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে আমি হেদায়েত পাই এবং রিলেশন থেকে বের হয়ে আসি যেহেতু জানতাম যে ওটা হারাম। হেদায়েত পাওয়ার পর  আমি ফেসবুকে দেখি যে এমন মেয়েকে বিয়ে কেউ করে না।যদিও আমি আল্লাহর জন্য সব ছেড়ে দিয়েছিলাম কিন্তু এগুলো ফাইট করার মতো আমার ইমান ছিলো না।আমি ঘুরেফিরে সেই রিলেশন কন্টিনিউ করতে যেতাম কারণ আমার উপায় নাই।কিন্তু ততদিনে সে অন্য রিলেশনে যায় এবং আমার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যেহেতু বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী বিয়ে হয়নি এবং হানাফি ফিকহ অনুযায়ী হয়েছে বিয়ে,তাই আমি সন্দেহ যেন না থাকে তাই তালাক নিয়ে নেই। আমি এখনো জানিনা আমি তালাকপ্রাপ্তা নাকি আমি যিনাহ করেছি।তবে আমি যিনাহটাকেই ধরে নিয়ে অনুতপ্ত থাকি।আমি আমার মনের অবস্থা কাউকেই বোঝাতে পারব না।আমি কখনো বিয়েই করতে চাইনা।কিন্তু একজন মেয়ের মাহরাম ছাড়া চলাটা অনেক কঠিন।আমার কোনো ভাইও নেই।বাবারও বয়স হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একজন মানুষকে আমি ঠকাবো আমি ভাবতেও পারি না।আবার বিয়ে করাও আমার জন্য জরুরি। আমি এসব কাউকে কখনো বলতেই পারব না।আমি এত্ত খারাপ একজন মানুষ। নিজের প্রতি ই নিজের ঘৃণা লাগে। এদিকে বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। বাবা মা ও চাচ্ছে।কিন্তু আমি তো জানি আমি কত বড় পাপ করে ফেলেছি।পাত্রকেও তো এসব বলতে আমার রুচি কুলোবে না।এতটাই জঘন্য আমি।এখন কি করব আমি?সারাজীবন বিয়ে না করেই থাকতে হবে আমাকে?কেউ বিয়ে করবে না আমায়?আমি তালাকপ্রাপ্তা বা যিনাহ যাই হোক,এটা আমি কাউকেই কখনো বলতে পারব না।আর আমি যে হিদায়াত পেয়ে আল্লাহর জন্য গুনাহ ছাড়লাম এটার জন্য আল্লাহ আমাকে রিওয়ার্ড দিবেন না?নাকি একই লুপে বার বার আটকে যাওয়ার কারণে রিওয়ার্ড ক্যান্সেল হয়ে যাবে?আমার আসলে কি করা উচিত কি করব কিছু বুঝতে পারছি না।বিয়ের কথা ভাবলেই কেমন পাগল পাগল লাগে।কি হবে আমার।কি করব আমি?একটু বলবেন প্লিজ?আর আপনাদের কথা তো অনেক মানুষ শুনে। মানুষদের বলে দিবেন কারো অতীত গুনাহ নিয়ে এত বেশি কাউকে হীনমন্যতায় যেন তাদের না ফেলে।সবার মানসিক অবস্থা এক না।তাদের এই হীনমন্যতাবোধ দেয়ার কারণেই মানুষ ছেড়ে আসা গুনাহ আবার করতে যায়।অবশ্য এটা আমার পাপেরই শাস্তি।

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনারা শরয়ী সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল করে থাকেন,এবং পাত্রর কু'ফু পাত্রীর সমপর্যায়ের হয়ে থাকে, তাহলে আপনার বিয়ে বিশুদ্ধ হয়েছিলো। পরবর্তীতে যেহেতু আপনি তালাক নিয়েছেন, তাই আপনি তালাকপ্রাপ্তা। যেহেতু বিয়েটা হারাম রিলেশন করে হয়েছিলো, তাই এই বিয়ে ও হারাম রিরেশনকে সর্বদা লুকিয়ে রাখবেন। ভবিষ্যত স্বামীর কাছেও লুকিয়ে রাখবেন। এবং অতীতের গোনাহের জন্য তাওবাহ করবেন।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...