বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্ত্রী যদি পূর্বে বলে থাকেন যে, যাই মহরানা ধার্য্য করা হবে, তাই মেনে নিতে, এবং পরবর্তীতে আপসের মধ্যে বিষয়টা বুঝে নিবেন। এখন যদি স্ত্রী মহরানা নিয়ে আপসের মধ্যে কোনোপ্রকার আলোচনা না করেন তাহলে এটা তো ধোকা হয়ে যাবে।
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাইহোক স্ত্রী ধোকা দিলে স্ত্রীর গোনাহ হবে। স্বামীর সামনে সুযোগ রয়েছে, সে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মহরানা পরিশোধের সুযোগ পাবে। স্বামী আপ্রাণ চেষ্টার পরও যদি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মহরানা পরিশোধ করতে না পারে , তাহলে স্বামীকে জবাবদিহিতা করতে হবে না যেহেতু সে স্ত্রীর কথায় সম্মত হয়েছিলো।