আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
edited by
আস-সালামু আলাইকুম।
পরীক্ষার ভয় থেকে মুক্তির উপায় বলেছিলেন সেগুলো হলোঃ

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/106077/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,

فَإِنْ تَوَلَّوْا فَقُلْ حَسْبِيَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ
‘এসত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে বলে দাও, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তার উপরেই আমি ভরসা করি’ (তওবা ৯/১২৯)।
আল্লাহকে যথেষ্ট ভাবাই তো তাওহীদ ও তাওয়াক্কুল।

সকল কাজে আল্লাহর উপর নির্ভর করা।

সুখে-দুঃখে, সম্পদে-বিপদে সর্বাবস্থায় আমাদেরকে আল্লাহর উপর নির্ভর করতে হবে। এই নির্ভরতা কোনমতেই ঐসব জাহেল মূর্খদের মত হবে না যারা সুযোগ-সুবিধা ও উপায়-উপকরণ হাতের নাগালে পেলে আল্লাহকে ভুলে বসে থাকে এবং উপায়-উপকরণ নিয়ে মেতে থাকে; আর সুযোগ-সুবিধা ও উপায়-উপকরণ হাতছাড়া হয়ে গেলে তখনই কেবল আল্লাহর উপর ভরসা করে।

,

আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ।
মুমিন বান্দা যতই তার রবের উপর ভরসা করবে ততই তার প্রতি সুধারণা পোষণ করবে। সে জেনে রাখবে যে, মালিকের উপর যে ভরসা করে মালিক তার জন্য যথেষ্ট, তার আর অন্য কিছু প্রয়োজন নেই।

এতে করে তার অন্তর অস্থিরতায় ভুগবে না এবং দুনিয়া তার হাতে এল কিংবা হাতছাড়া হ’ল বলে কোন পরোয়া করবে না। কেননা তার নির্ভরতা তো তার মালিক আল্লাহর উপর।
,

হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ বলেন,

أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِىْ بِىْ
‘আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেমন ধারণা করে আমি তার নিকট তেমনই’।

সুতরাং সুধারণা যেমন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের দিকে আহবান জানায়, তেমনি আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুলের মাঝেও অবশ্যই সুধারণা থাকে।

,

https://ifatwa.info/59465/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল-ভরসা বাড়াতে হবে, তাহলে ধীরে ধীরে মনের ভয় দূর হবে।

,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কিছু দোয়া, এগুলো পড়বেন।

মাঝে মাঝেই এই দোয়াগুলি পড়বেন, মাঝে মাঝে শরীরে বা ভয়ের সময়ে ফুক দিবেন।

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

অর্থাৎ ‘‘মহান ও মহা-ধৈর্যশীল আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। মহান আরশের রব ‘আল্লাহ’ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আসমানসূমহ ও জমিনের রব এবং মহান আরশের রব ‘আল্লাহ’ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই।”

ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদাপদকালে উক্ত দোয়া বলতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৩৪৬)

بِسْمِ اللّهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِه شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيمُ

অর্থাৎ ‘‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমীনের কোন কিছুই কোন ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।”

,

উসমান ইবনে আফ্ফান রাযি. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোন বান্দা প্রতিদিন সকালে ও প্রতি রাতের সন্ধ্যায় তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। (তিরমিযী,হাদীস নং ৩৩৮৮)

اَللّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
অর্থাৎ ‘‘ হে আল্লাহ! আমরা তোমাকেই তাদের মুখোমুখী করছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমারই কাছে আশ্রয় চাচ্ছি ।”

,

আবু মুসা আল-আশআরী রাযি.থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করতেন তখন দোয়া টি বলতেন (আবূদাউদ,হাদীস নং ১৫৩৭)

,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখবেন। এমন অহেতুক টেনশন করার কোনো প্রয়োজন নেই এবং পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবেন।

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

কিন্তু বর্তমানে এই কারণে না, বর্তমানে পড়তে ও পরীক্ষা দিতে ভয় লাগছে, ইসলামিক পরামর্শ দিন। এই আমল গুলো করলে হবে?

আগের ফাতওয়া লিংকঃ https://ifatwa.info/122255/

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
অতপর কুরআন আয়ত্ব করতে আয়াতের শেষাংশে এ দোয়া করতে বলেছেন-
‘আর বলুন- হে আমার প্রভু! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দিন।’ (সুরা ত্বাহা : আয়াত ১১৪)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেয়া এ উপদেশ ও দোয়াই মানুষের মুখস্ত শক্তি বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
এখন মানুষের উচিত, যে কোনো পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো না করে, বরং ধীরস্থিরভাবে মহান আল্লাহর সাহায্য নিয়ে তা আয়ত্ব করার প্রচেষ্টা করা আর আল্লাহর কাছে একান্ত মনে এ দোয়া করা-
উচ্চারণ : ‘রাব্বি যিদনি ইলমা।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আমার জ্ঞান (মুখস্ত বা স্মরণ শক্তি) বাড়িয়ে দিন।’
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের নসিহত ও দোয়ার মাধ্যমে মুখস্ত শক্তি বাড়িয়ে তোলার তাওফিক দান করুন।(পরামর্শক্রমে মু,আব্দুল অদুুদ)

قَالَ رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي
মূসা বললেনঃ হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
এবং আমার কাজ সহজ করে দিন।
وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي
এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন।
يَفْقَهُوا قَوْلِي
যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
(সীরা ত্বাহা-২৫--২৮)

প্রত্যেক ফরয নামাযের পর এবং প্রত্যেক সকাল সন্ধা আপনি এই দু'আ পড়বেন।

স্বরণশক্তি বাড়ানোর প্রথম ও প্রদাণ আ’মল হচ্ছে, গোনাহকে পরিত্যাগ করা। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/17720


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত আমলগুলো করলেও হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...