আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
প্রশ্নকারীর পরিচিতি ও ভূমিকা:
আমি একজন স্বাধীন ব্যক্তি, কোনো কোম্পানির মালিক নই। সম্প্রতি একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কোম্পানির হয়ে আমি একটি নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করছি, যা হলো:
গ্রাহকরা যখন কোম্পানিতে একাউন্ট খুলেন, তখন তারা একটি একাউন্ট ওপেনিং ফি প্রদান করেন।

এই ফি আমাদের টিমের ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়।

আমরা এই অর্থ হিসাব করে কোম্পানির নির্ধারিত অংশ কোম্পানিকে ফেরত পাঠাই, এবং বাকি অংশ আমাদের প্রসেসিং ও সাপোর্ট খাতে ব্যবহার করি।

আমি বা আমাদের টিম কোনোভাবেই গ্রাহকের ইনভেস্টমেন্ট, মাইনিং অপারেশন, বা প্রফিট বিতরণে জড়িত নই।
কোম্পানির কার্যক্রম সংক্ষেপে:
কোম্পানিটি একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কোম্পানি।

একাউন্ট খোলার পর, গ্রাহকরা চাইলে কোম্পানির প্লাটফর্মে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ইনভেস্ট করেন।

কোম্পানি সেই অর্থ ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব মাইনিং ফার্মে মাইনিং করে।

মাইনিং থেকে অর্জিত লাভের একটি অংশ গ্রাহকদের প্রফিট হিসেবে প্রদান করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কী?
ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং হলো এমন একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রক্রিয়া, যেখানে শক্তিশালী কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে ডিজিটাল মুদ্রা (যেমন Bitcoin, Ethereum ইত্যাদি) উৎপাদন এবং লেনদেন যাচাই করা হয়।
মাইনিং প্রক্রিয়ার প্রধান কাজগুলো হলো:
✅ লেনদেন যাচাই (Transaction Verification):
 ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে সম্পন্ন হওয়া প্রতিটি লেনদেন একটি পাবলিক ব্লকচেইনে রেকর্ড হয়। এই লেনদেনগুলো বৈধ কি না তা যাচাই করা হয় মাইনিং কম্পিউটারের মাধ্যমে।
2. ✅ গাণিতিক সমস্যা সমাধান (Proof of Work):
 ব্লকচেইনে প্রতিটি ব্লক যোগ করতে একটি গাণিতিক সমস্যা সমাধান করতে হয়। যারা এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়, তারা নতুন কয়েন রিওয়ার্ড হিসেবে পায়।

3. ✅ নতুন কয়েন উৎপাদন (Block Reward):
 এই প্রক্রিয়ায় সফল হলে নতুন কয়েন তৈরি হয় এবং সেই রিওয়ার্ড মাইনারদের মধ্যে ভাগ হয়।

❓ আমার প্রশ্ন:
আমি শুধু একাউন্ট ওপেনিং ফি গ্রহণ করি, মাইনিং বা প্রফিট সংক্রান্ত কোনো কাজে জড়িত নই।
 এই প্রেক্ষাপটে জানতে চাই:
✅ এই ওপেনিং ফি গ্রহণ করা শরিয়ত অনুযায়ী হালাল কি না?

✅ এই প্রক্রিয়ায় আমার অংশগ্রহণ জায়েয কি না?
 মন্তব্য:
আমি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হালাল-হারাম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাই, যেন সন্দেহ বা সন্দেহজনক কিছু এড়িয়ে চলতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিটকয়েন জাতীয় সকল প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি সম্পর্কে উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল,এ জতীয় কারেন্সিরর ক্রয়-বিক্রয় লেনদেন সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1710

হারাম কাজে সহযোগিতা করার বিধান সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92143

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কিপ্টোকারেন্সিকে মুদ্রা হিসেবে প্রচলন করা এবং এর প্রসার প্রচার করা কখনো বৈধ হবে না। তবে যদি এটাকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এবং কেউ টাকা দিয়ে এটাকে কিনে নেয়, অথবা কেউ কোনো কাজের বিনিময় কিপ্টোকারেন্সি দ্বারা গ্রহণ করে তারপর সেটাকে মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেয়, তাহলে তখন সেটা নাজায়েয হচ্ছে না। তাই প্রশ্নে বর্ণিত কাজকে যদিও হারাম বলা যাচ্ছে না, তথাপি সেটাকে উত্তমও বলা যাবে না। বরং বলা যায় মাকরুহে তানযিহি হিসেবেই বিবেচিত হবে। হ্যা, সুদি কাজে সহযোগিতা করার দিকে লক্ষ্য কররে নাজায়েজ ও হারাম হওয়ার দিকটিই অগ্রাধিকার যোগ্য। সুতরাং এমন কাজ ও পেশাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। তাছাড়া হালাল হারাম উভয়ের সম্ভাবনা থাকলে হারামকে প্রদান্য দেওয়াই উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
যাযাকাল্লাহ সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য। আমি এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে অনুতপ্ত। তাওবা করতেছি। এখন থেকে এই কাজের সাথে আর সম্পৃক্ত থাকব না ইনশাআল্লাহ। এখন আমার আরেকটি সম্পূরক প্রশ্ন আছে। আমি বিগত সময়ে এখান থেকে কিছু ইনকাম করেছি, এখন এই ইনকাম কি দান করে দিতে হবে নাকি আমি ভোগ করতে পারব। উল্লেখ্য যে, বিগত সময়ে এখান থেকে কত টাকা ইনকাম করেছি সেটার সঠিক হিসাবও লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়নি। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ফতোয়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...