আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি আৃার ভাই যখন ছোট ছিলাম তখন থেকে আমি আমার ভাই আর মা এক  রুমে ঘুমাতাম, আর বাবা অন্য রুমে। কিন্তু এখন আমার ভাইয়ের রুম আলাদা হলেও আমার সাথে আমার মা থাকে।  বাবার রুমে থাকে না। আমি প্রাপ্ত বয়স্ত মেয়ে। আমার মনে হয় আমার মা বাবার রুমে যেতে চায় না।  আমার মা কে ঘর বাহির সব সামলাতে হয়,,,যদিও তার চাকরি করার ইচ্ছা নাই। আমার বাবা ঘরে অশান্তি করে। মাকে মারধর করে। রাগের মাথায় আমায়ও উল্টা পাল্টা বলে ফেলে।আর আমার বাবাকে মানুষ হিসেবে কখনই ভালো মনে হয় না,যদিও মেয়ে হিসেবে আমার প্রতি সব দায়িত্ব ই করে।  আমি আমার বাবার সাথে তেমন কথা বলি না,,আমার ইচ্ছে হয় না তার ব্যবহার, মায়ের প্রতি আচরন দেখে।  আমি বলি না তাই সে ও বলে না। এতে কি আমার গুনাহ হবে?

আর  মাঝ রাতে হুটহাট আমার বাবা আমার রুমে চলে আাসে,, কারন মা আমার র্ুমে  থাকে।  তারপর মা বাবার রুমে যায়। আমার ঘুম ভেঙে যায়।  আমার মানসিক ভাবে সাফার করতে হয়। আর আমার ছোট ভাই এর রুম বাবার রুমের পরে,, ওইটা ক্রস করে আমার রুম। তো আমি আসঙ্কা করি আমার ভাই ও এই মানসিক পর্বলেম এ পড়ছে। আমি মা কে অনেক বার অনেক অজুহাত দেখিয়ে আমার রুম ছাড়তে বলেছি,,সে ছাড়ে না। আর আমি জানি ওখানে গেলে সে এবিউস এর স্বীকার হতে পারে যখন তখন,,,ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারবে না,,আর সে অসুস্থ ও।,, তাই আমি খুব জোড় করি না। কিন্তু সমস্যা টা হলো আমার তো মানসিক ইফেক্ট পড়ছে,,, সবচেয়ে বড় কথা একজন বড় মেয়ে হিসেবে,,,মাঝরাতে আামার বাবা আমাকে ও দেখছে,,, আমি তো আমার মতো ঘুমিয়ে থাকি,,,আমার সুবিধা মতো।  আর ওই মুহুর্তে ঘুম ভেঙে গেলেও নিজেকে ঠিক ঠাক করতে পারি না,চোখ বন্ধ রাখা লাগে।,, এতে করে আমি ভোরে উঠে পড়তেও পারতেছি না। মাথায় একটা প্রেসার কাজ করছে,,ঘুমে প্রবলেম হচ্ছে। আমি একটা দুটানায় পড়ে আছি। আমার করনীয় কি আমার অনুগ্রহ করে জানাবেন। খুবই কষ্টে আছি।

1 Answer

0 votes
by (683,010 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাহরাম মহিলাদের দিকে দৃষ্টি দেয়া কতটুকু জায়েয এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বলা হয়,
وأما نظره إلى ذوات محارمه فنقول: يباح له أن ينظر منها إلى موضع زينتها الظاهرة والباطنة وهي الرأس والشعر والعنق والصدر والأذن والعضد والساعد والكف والساق والرجل والوجه،
যৌন উত্তেজিত হওয়ার আশংকা না থাকলে পুরুষ তার মাহরামে আবদিয়্যাহ মহিলার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সৌন্দর্যময় স্থানের দিকে দৃষ্টি দিতে পারবে। সে স্থানগুলো হল- মাথা, চুল,গর্দনা,বুকের উপরি অংশ,কান,বাহু,হাতের কবজি,পায়ের গোড়ালি,পা ও চেহারা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1493

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাহরাম মহিলার দিকে দৃষ্টি নাজায়েয না। হ্যা ফিতনার আশংকা থাকলে তখন ভিন্ন কথা। লজ্জস্থানের ভিতরের অংশ তথা প্রস্রাবের রাস্তার ভিতরের অংশ দেখা গেলে কেবল তখনই হুরমত হবে,নতুবা হুরমত হবেনা। বাবার সাথে সর্বদা সুন্দর ব্যবহার কবের। বাবা মায়ের দূরত্বকে কমানোর চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...