আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম আমি ওইদিন বলেছিলাম কিভাবে আমর হাজবেন্ড বিয়ের আগে আমাকে ইমোশনাল ভাবে weak করতে বলেছিল ও এতিম, ও আর কেউ নাই আমি ছাড়া, ও ল নিয়ে পরে আবার ওর বাড়ি ঢাকা । কিন্তু ও তখন আমাকে বলেছিল যে আমি ওর সাথে থাকতে হলে অনেক কষ্ট করতে হবে , আসলে তখন আমি ওর মায়া পরে যায় বাট এটাও চাচ্ছিলাম যে হারাম থেকে বের হতে । হয়তো বের হয়ে যেতাম কিন্তু ওইদিন ফোন এ ও যে মিথ্যা বিয়ে করলো যেমন আমাকে বলল যে বল আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও বলি তখন বলে বিয়ে ঠিক হয় গেছে আমর পাশে 2 জন বন্ধু আসে ওর তোমার আওয়াজ শুনসে তাই বিয়ে হয় গেছে আমি যেহেতু জেনারেল লাইন তাই আমি জানতাম না । আর ও আমাকে বলে আল্লাহ কে নারাজ করে  তালাক  তুমি তালাক নিবা । আর তারপর যখন। বিয়ে হইসে নাকি হয়নাই এটা নিয়ে সন্দেহ ছিল তখন সরাসরিই 2 জন স্কাহি আর সামনে ইজাব কবুল করি কারন আমি ভাবী যদি আসলে হয় আর তালাক চাই এটা তে আল্লাহ নারাজ হবে আবার ভাবসি যদি না হয় তাহলে জিনা তাই । কিন্তু বিয়ের পর জানি ওর বাসা রংপুর তাবার ওর বাবা মা আসে । ও ল নিয়ে না এরাবিক নিয়ে পড়ছে । ইভেন আমি গত এক বছর কোনো শান্তি পাই নাই আমর মা বাবা কখনও মেনে নিবে না । এইদিকে ওর কাছে তালাক চাইলে ও আমাকে বলে আল্লাহ আমার বিচার করবে । আমি লাইফ এ হ্যাপি হবো না।  এখন তালাক চাওয়া কি জায়েজ হবে ? কারণ ও তো এমনে বলসে যে তোমার কষ্ট হবে আমর সাথে থাকতে । কিন্তু তাও আমি ছিলাম । বাট যদি ফোন এর ঘটনা টা না ঘটত আমি বের হতে আসতাম। এছাড়া ও আমাকে অনেক মিথ্যা বল সে অনেক। ইভেন আমি তালাক চাওয়া পর আল্লাহ কে কসম করেও ও এক ঘুরাচ্ছে আর অভিশাপ দিচ্ছে।  আমি একটা শান্তি লাইফ চাই আর আমি পারছিনা । এমনি আমার ocd র সমস আসে । আসলে কি আল্লাহ আমার বিচার করবে?

1 Answer

0 votes
by (642,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, যেসব কারণে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে তা হলোঃ-

★যদি কোনো বাস্তবসম্মত কারণে উভয়ের পক্ষে একসঙ্গে বসবাস করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে।

★যদি স্বামীর মাঝে দৈহিক এমন ত্রুটি থাকে, যার কারণে দাম্পত্যজীবনের স্বাভাবিকতা খুবই দুরূহ হয়ে যায়। যেমন—পাগল হওয়া, যৌন অক্ষম হওয়া, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়া। 
বলা বাহুল্য, স্বামীর মাঝে উক্ত ত্রুটিগুলো থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখা সম্ভব নয়।

★স্বামী স্ত্রীর আবশ্যকীয় জরুরত তথা ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম হলে। কেননা, এটা স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। 

★শরিয়ত নির্দেশিত কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া বা জুলুম করা।

এটা শারীরিকভাবেও হতে এবং মানসিকভাবে হতে পারে। যেমন—স্ত্রীকে মারধর করা, গালাগাল করা, স্ত্রীকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে বাধা প্রদান করা, বেপর্দা কিংবা হারাম কাজে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করা। 

★স্বামীর মধ্যে দ্বিনদারির প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ের হলে। যেমন—নামাজ না পড়া, মদ পান করা, পরকীয়া কিংবা চারিত্রিক অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে ভুলভাল বুঝিয়ে আপনার অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ না করেই আপনাকে ইমোশনাল বানিয়ে বিয়ে করেছে, আপনার ভবিষ্যত জীবন অনেকটা অন্ধকারে। 
সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি তালাক চাইতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...