আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১)আজকাল টি শার্ট,  গেঞ্জি, প্যান্ট এগুলো ছেলে, মেয়ে উভয়ের জন্য পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের গুলোকে লেডিস টি শার্ট এমন নাম দেওয়া হয়েছে। অনেক মেয়েরা বাসায় বা বোরকার ভিতরে পরার জন্য নিচ্ছে। কোন কোন আলেমদের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, বাসায় এগুলো পরা যাবে বলা হয়েছে। এগুলো কি তাহলে পুরুষদের সাথে মিল আছে এরূপ পোশাক হবে না?

২)মেয়েরা বাসায় একাকী (অন্য কারও সামনে নয়) বা শুধু স্বামীর সামনে টি শার্ট, গেঞ্জি,প্যান্ট কি পড়তে পারবে?

২) বোরকার নিচে কি টি শার্ট, গেঞ্জি, প্যান্ট কি পড়তে পারবে?

৩) মাহরাম পুরুষ এবং অন্য নারীদের সামনে কি এগুলো পরা যাবে?

৪) অনেকে গেঞ্জি পরে তার উপরে চাদর বা উড়না পরে বাসায় মাহরাম পুরুষ ও মহিলাদের সামনে যায়। সেটা কি জায়েয হবে?

৫) স্বামীর মনোরঞ্জন এর জন্য কি এগুলো পড়া জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (645,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

পোশাক আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। 
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-

يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.

হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা আরাফ : ২৬
,
পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে। 
তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ  
নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারণকারী পুরুষের উপর আর পুরুষের বেশধারণকারিনী নারীর উপর লানত করেছেন।-বুখারী, হাদীস :  ৩৮৮৫

বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।-আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২

পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত  জানুনঃ

https://www.ifatwa.info/3405 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ
"আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যাহ(১১/২৬৮) "এ বর্ণিত রয়েছে,
ﻻ ﺧﻼﻑ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ ﻓﻲ ﺃﻧﻪ ﻳﺤﺮﻡ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﺃﻥ ﻳﺘﺸﺒﻬﻮﺍ ﺑﺎﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ
ﺍﻟﺤﺮﻛﺎﺕ ﻭﻟﻴﻦ ﺍﻟﻜﻼﻡ ﻭﺍﻟﺰﻳﻨﺔ ﻭﺍﻟﻠﺒﺎﺱ ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻦ ﺍﻷﻣﻮﺭ ﺍﻟﺨﺎﺻﺔ ﺑﻬﻦ ﻋﺎﺩﺓ ﺃﻭ ﻃﺒﻌﺎً
ভাবার্থঃ-পুরুষের জন্য মহিলার সাদৃশ্য গ্রহণ হারাম।চায় উক্ত সাদৃশ্য গ্রহণ উঠা-বসা ও নড়াচড়ায় হোক বা লাবণ্যময়ী কথাবার্তায় হোক বা সুন্দর্য্যতা কিংবা পোশাক-আশাকে হোক, মোটকথা অভ্যাগত বা জন্মগত মহিলাদের সাথে নির্দিষ্ট ও বিশেষিত কোন কিছু সাদৃশ্য গ্রহণ সবকিছুই হারাম ও নাজায়েযের অন্তর্ভূক্ত।
আরো বর্ণিত রয়েছে,
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া,১৯/৩১৮)
(দারুল ইফতা," জামেয়া ফারুক্বিয়া করাচী" কর্তৃক সত্যায়িত ও সংশোধিত এবং
২৫ ভলিউমে প্রকাশিত)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে লেডিস টি শার্ট,প্যান্ট পড়া যাবেনা।

★এক্ষেত্রে বোরকার নিচে গেঞ্জি পরিধান করা যাবে। বাসায় গেঞ্জি পরিধান করতে পারবে।
এক্ষেত্রে মাহরাম পুরুষদের সামনে ওড়না না দিয়ে শুধু গেঞ্জি পরিধান করে যাওয়া শালীনতার খেলাফ কাজ হবে।

আরো জানুনঃ- 

মেয়েদের জন্য এই সব টি শার্ট,প্যান্ট পরিধান করা কোনোক্রমেই জায়েজ হবেনা।

তারা বাসায়েও এসব পরিধান করতে পারবেনা।

এগুলোর দরুন পুরুষদের সাথে সাদৃশ্যতা চলে আসে।

(এক্ষেত্রে রুমের মধ্যে শুধুমাত্র স্বামীর সামনে নিজেকে আকর্ষনীয় দেখানোর জন্য স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে কখনো কখনো অর্থাৎ সাময়ীক সময়ের জন্য এসব পোশাক পড়ার অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন।)

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...