হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهِيَتِهِ لِذَلِكَ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সহাবায়ে কিরামের নিকট রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে অধিক প্রিয় ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। কিন্তু তবুও তাদের অবস্থা এই ছিল যে, যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আগমন করতে দেখতেন তার সম্মানার্থে তাঁরা দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা পছন্দ করেন না।
(তিরমিযী ২৭৫৪, সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ৩৪৬ নং হাদীসের আলোচনা দ্রঃ, আল আদাবুল মুফরাদ ৯৪৬, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৩৭৮৪, আহমাদ ১২৩৭০, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৫৮৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩৫৮।)
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الْعَدَبَّسِ، عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا فَقُمْنَا إِلَيْهِ فَقَالَ: لَا تَقُومُوا كَمَا تَقُومُ الْأَعَاجِمُ، يُعَظِّمُ بَعْضُهَا بَعْضًا
আবূ উমামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়ালে তিনি বললেনঃ তোমরা দাঁড়াবে না, যেরূপ অনারবরা একে অপরকে সম্মান দেখানোর জন্য দাঁড়ায়।
(আবূ দাঊদ ৫২৩০, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৬.মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৫৮১, মুসনাদে আহমাদ ২২১৮১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৩৭,)
.
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শিক্ষকের সম্মানার্থে দাড়ানো জায়েজ আছে,অনেকের মতে মুস্তাহাবও।
তবে শর্ত হলো শিক্ষকের মনে এই ব্যাপারে অহংকার না আসা এবং প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে না দাঁড়ানোর উপর শাস্তির বিধান না থাকা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে না দাঁড়ালে শাস্তির বিধান না থাকলে সেক্ষেত্রে আপনি দাঁড়াতে পারবেন।