আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
(১)উস্তায,

ফরজ গোসলের পর নাপাকির ছিটা শরীরে লাগল পরে ওইটা পরিষ্কার করে অজু করে নিলে হবে?


(২) শায়খ আমি ভাবছিলাম একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার কথা এখন ঐখানে আগে পড়েছিলাম তখন শিক্ষক আসলে দাঁড়ানোর নিয়ম ছিল কোনো sir আসলে না দাঁড়ানোর জন্য একদিন এক sir রাগও হলো আমার উপর । এখন আলিমে যদি ভর্তি হই আলিমেও একই নিয়ম নাকি জানিনা তবে একই নিয়ম হলে দাঁড়ানো হালাল হবে আমার জন্য? আমি দরকার হলে শুধু পরীক্ষা দিবো إن شاء الله عز و جل ।

আমি ভাবছিলাম আলিমে রেগুলার ক্লাস করার কথা কিন্তু শিক্ষক আসার পর দাঁড়ানো বাধ্যতামূলক থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানে পড়া যাবে?


(৩) শায়খ আমরা একটা দ্বীনি মজলিস দারস একজন আলেম নিবেন إن شاء الله عز و جل. এটা শুরু করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি এখন একজন ভাই একটা নিয়ম রাখার কথা বলছিলেন নিয়ম টা হলো কোনো ভাই যদি( যারা এই ফাউন্ডেশনের সদস্য) এই দারসে কোনো কারণ বলা ছাড়া না আসেন তাহলে জরিমানা দিতে হবে এই জরিমানার টাকা টা যদি দান করে দেওয়া হয় এই নিয়ম রাখা হালাল হবে? এটা তাদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য। যদি তারাও সন্তুষ্ট হয়েই দেয় ফাউন্ডেশনের নিয়ম হিসেবে যেহেতু নিয়ম ভঙ্গ করেছে এই কথা ভেবে সন্তুষ্ট হয়েই জরিমানা দিলে
নেয়া যাবে?


(৪) বাথরুমে থাকাকালীন সময় বড়ভাই জিজ্ঞেস করলে ভিতরে কে? কতক্ষন লাগবে? এইসব প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়া

 যাবে?

1 Answer

0 votes
by (645,180 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এক্ষেত্রে উক্ত স্থান ধুয়ে পাক করলেই হবে। পুনরায় অজু করতে হবে না।

(০২)

হাদীস শরীফে  এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَفَّانُ، أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمْ يَكُنْ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكَانُوا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَقُومُوا لِمَا يَعْلَمُونَ مِنْ كَرَاهِيَتِهِ لِذَلِكَ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সহাবায়ে কিরামের নিকট রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেয়ে অধিক প্রিয় ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। কিন্তু তবুও তাদের অবস্থা এই ছিল যে, যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আগমন করতে দেখতেন তার সম্মানার্থে তাঁরা দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা পছন্দ করেন না।
(তিরমিযী ২৭৫৪, সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ৩৪৬ নং হাদীসের আলোচনা দ্রঃ, আল আদাবুল মুফরাদ ৯৪৬, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৩৭৮৪, আহমাদ ১২৩৭০, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৫৮৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৩৫৮।)
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ أَبِي الْعَنْبَسِ، عَنْ أَبِي الْعَدَبَّسِ، عَنْ أَبِي مَرْزُوقٍ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَكِّئًا عَلَى عَصًا فَقُمْنَا إِلَيْهِ فَقَالَ: لَا تَقُومُوا كَمَا تَقُومُ الْأَعَاجِمُ، يُعَظِّمُ بَعْضُهَا بَعْضًا 

আবূ উমামাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে আমাদের নিকট আসলেন। আমরা তাঁর সম্মানে উঠে দাঁড়ালে তিনি বললেনঃ তোমরা দাঁড়াবে না, যেরূপ অনারবরা একে অপরকে সম্মান দেখানোর জন্য দাঁড়ায়।
(আবূ দাঊদ ৫২৩০, ইবনু মাজাহ ৩৮৩৬.মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৫৫৮১, মুসনাদে আহমাদ ২২১৮১, শু‘আবুল ঈমান ৮৯৩৭,) 
.
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
শিক্ষকের সম্মানার্থে দাড়ানো জায়েজ আছে,অনেকের মতে মুস্তাহাবও।

তবে শর্ত হলো শিক্ষকের মনে এই ব্যাপারে অহংকার না আসা এবং প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে না দাঁড়ানোর উপর শাস্তির বিধান না থাকা।      

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের প্রতিষ্ঠানে না দাঁড়ালে শাস্তির বিধান না থাকলে সেক্ষেত্রে আপনি দাঁড়াতে পারবেন।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি শরীয়াহসম্মত নয়।
এভাবে কাহারো থেকে আর্থিক জরিমানা আদায় করা নাজায়েজ।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়াতে শরীয়তের দিক হতে সমস্যা নেই।

তবে বিজ্ঞ ডাক্তারগন ইস্তেঞ্জা খানায় কথাবার্তা বলতে নিষেধ করে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...