ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু যর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (لَيْسَ مِنْ رَجُلٍ ادَّعَى لِغَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُهُ إِلا كَفَرَ، وَمَنْ ادَّعَى قَوْمًا لَيْسَ لَهُ فِيهِمْ نَسَبٌ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি নিজ পিতা ব্যতীত অন্য কাউকে বাবা সাব্যস্ত করবে,সে যেন ছোট কুফরী করল,এবং যে ব্যক্তি নিজেকে অন্য কোনো বংশের বলে দাবী করবে,সে যেন তার জায়গা জাহান্নাম কে বানিয়ে নেয়। (সহীহ বোখারী-৩৫০৮,সহীহ মুসলিম-৬১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/7645
মানুষের প্রয়োজন তিন প্রকারের হতে পারে।
(১)জরুরত (এমন প্রয়োজন যা না হলে নয়) :
এমন এক ধরনের প্রয়োজন, যা ছাড়া জীবন হুমকির মুখে পড়ে যায়। যেমন, মরুভূমিতে ক্ষুধার্ত একজন মানুষ, যার কাছে কোনো খাবার নেই। (এই পরিস্থিতিতে মানুষটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে হারাম বস্তুও ভক্ষণ করতে পারবে)।
আল্লামা হামাওয়ী রাহ জরুরতের ব্যাখ্যা এভাবে করেন যে,
الضرورۃ بلوغہ حدا إن لم یتناول الممنوع ہلک أوقارب۔ (حموي علی ہامش الأشباہ، مطبع دیوبند ۱/ ۱۴۰، کراچی ۱/ ۱۱۹، مطبع زکریا دیوبند ۱/ ۲۵۲)
মর্মার্থঃ জরুরত হল মানুষ এমন এক পর্যায়ে পৌছে যাওয়া যে, যদি সে নিষিদ্ধ জিনিষ সমূহ না করে, তাহলে সে ধ্বংস হয়ে যাবে বা ধ্বংসের নিকটবর্তী হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ জরুরত বশত আপনি প্রথমেই সৎ মায়ের আলোচনা আনবেন না। তবে কিছুটা এগুনোর পর যখন পাত্র পাত্রীর একান্ত দেখা সাক্ষাৎ হবে, তখন কানে কানে পাত্রকে বিষয়টা অবগত করবেন। মিথ্যা বলার কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। আপনি সৎ মাকে নিজের মায়ের মত মনে করবেন। নিজ মায়ের আত্মীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে নিবেন।বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের সাথে যোগাযোগ না রাখলে গোনাহ হবে না। মনে রাখবেন, আপনার প্রস্রাব পায়খানা পরিস্কার করে যেই মহিলা আপনাকে লালন পালন করেছে, ঐ মহিলা থেকে আপন এই পৃথিবীতে আপনার আর কেউ-ই হবে না।