আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
اسلام عليكم ورحمه الله وبركاته
আমার বয়স ২২ বছর। আমি একজন মেয়ে। বর্তমানে আমি জেনারেল লাইনের পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিয়েছি,পড়াশোনা অনার্স প্রথম বর্ষ পর্যন্ত।  বাদ দেওয়ার পিছনে একটা কারণ হচ্ছে এই পড়াশোনা ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দের জন্য,তাছাড়া আমি প্রচুর মাত্রায় ওয়াসওয়াসার সমস্যায় ভুগি এবং সংশয়ের মধ্যে আছি।

এজন্য আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় যে বিয়ের জন্য তো ঈমান থাকতে হবে। তো আসলে আমার নিজেকে মনে হয় যে ঈমানহীন মুনাফিক একজন মানুষ কারণ আমার ওয়াসওয়াসার পরিমাণটা অনেক বেশি, অনেক বেশি। মনে হয় যে সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা,ধর্মটা সত্যি কিনা। এটা সেটা।না পারছি এগুলো  নিতে না পারছি বিশ্বাস মজবুত করতে।
যাই হোক বিষয়টা হচ্ছে আমার বিয়ের ব্যাপারে দেখা হয়েছিল মূলত ১৭ বছর দিকে একটা জায়গায়,আমাদের বাসা না থাকার কারণে উনারা পিছায়, তারপর এক জায়গায় দেখে যায় এরকমই কারণ এবং আমি পিছিয়ে পিছিয়ে থাকতাম বিয়ের ব্যাপারে আমার এখানে প্রস্তাব আনা হলেও বুঝতাম যে দ্বীনদার না সেজন্য আমি পিছিয়ে থাকতাম আর আমাদের বাসাও করা হয়নি তখন।

তো বর্তমানে কিছুদিন আগে আমার একটা প্রস্তাব আসছিল,হাইস্কুলের টিচার এবং দেখে সবকিছু ঠিক ছিল মোটামুটি কিন্তু আমার একজন ফুফা দেখে এসে রিপোর্ট দেয়ার এতে আমার বাবা একবারে সবকিছু উল্টে দেয় তারপর আমাকে বলে যে তোমার যদি ভালো লাগে তুমি যাও। আমরা আছি, তো পরবর্তীতে আমি তো বাবার অনুমতি ছাড়া এভাবে যেতে পারি না যেহেতু বাবা আগাচ্ছে না। পরে আবার শেষে ছেলের বাবা দেখতে চায়, তো পরে আমি তো না করি কারণ আমি বুঝতে পারি যে আসলে এই পরিবার পর্দা সম্পর্কে তো ভালো বোঝে না।
আর বর্তমানে হচ্ছে আজকেও আমাকে এক জায়গা থেকে দেখে যায়,তাদের খুবই পছন্দ হয়েছে আমাকে। ছেলের মা,খালার। আমাদেরকে আগে থেকেই চিনে। ছেলের পরিবারের লোকজন বলেছিল যে আমাদেরকে আগে দেখে আসার জন্য তো আব্বু তো হচ্ছে যাবে না কারণ হচ্ছে ছেলেকে ছবিতে দেখে আমার বাবার পছন্দ হয়নি আর ছেলে বলেছিল প্রজেক্টে চাকরি করে কিন্তু এখন হচ্ছে সেটা প্রজেক্ট, কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা ব্যবসা করে আর কি। এখন আমার বাবা আসলে আঘাতে চায় না আগে থেকেই।ছেলে মোটামুটি ধার্মিক।
আমার বাবা চাচ্ছে সুন্দর, সরকারি চাকরিজীবী আর বাবা বলে যে সরকারি হলে মরলেও লাভ বাঁচলেও লাভ। এখন আমি কি করবো আসলে বুঝতে পারছি না, আমার পরিবার আমার বাবা বিষয়টা দেখতেছেন না। আমার বাবা বলেছে তুমি সব দায়িত্ব নিয়ে নিবা ছেলের কি দায়িত্ব নাই মানে আমি কেন পর্দা করাবে কি করাবে না এগুলো কেন আগে থেকেই বলি আজকে বলতেছে যে বিয়ে করবে সে পর্দায় রাখলে রাখবে না রাখলে নাই সেটা সে বুঝবে এরকম কথা। আমার বাবা বলে সরকারি চাকরিজীবী দেখি দেখলে তো সমস্যা নেই,এদিকে আমার বয়স যে হচ্ছে তার খেয়াল নেই । আজকে এসব নিয়ে বাসায় অনেক রাগারাগি করে ফেলেছি আমার আর ভালো লাগছে না।আমার বাবা কবে দেখবেন কি দেখবেন আমি জানি না আমার বয়স বাড়তেছে, পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিয়েছি কিন্তু আমার বাবার এসব বিষয়ে কোনো গুরুত্বই নাই। এতদিন ওরকম সরকারি চাকরিজীবী আসে নাই এখন কোত্থেকে আসবে ওই রকম জানি না। আমার বিয়ে করাটাও অনেক বেশি প্রয়োজন এ বিষয়টা যদি আমি তাদেরকে বুঝাতে পারতাম। আমি আসলে কি করবো বুঝতে পারছি না আমার ঈমানের হালত তো খুব খারাপ। বাবার অমতে আমি তো আগাতেও পারি না আমাকে বলে তুমি গেলে যাও। আমাকে একটু যদি পরামর্শ দিতেন।
আমার আর বিয়ের এসব ঝামেলা ভালো লাগছে না। আমি এখানে রাজি হবো কিনা বুঝতেও পারছিনা, ছেলের বয়স ৩০ এর কাছাকাছি কিন্তু এখনো কোন চাকরি করছে না।

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পিতা এবং দাদা সাথে মা তারাই একমাত্র আপনার নিঃস্বার্থ হিতাকাঙ্ক্ষী। সুতরাং মাতাপিতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সামনে অগ্রসর হওয়ার প্রত্যেকেরই উচিত।
قال: "فإن زوجهما الأب أو الجد" يعني الصغير والصغيرة "فلا خيار لهما" بعد بلوغهما لأنهما كاملا الرأي وافرا الشفقة فيلزم العقد بمباشرتهما كما إذا باشراه برضاهما بعد البلوغ " (الهداية ج١:ص:١٩٣)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্তমান বয়স ২২ বছর। এতো বেশী হয়নি। আপনার আপনার বাবার পরামর্শ অনুযায়ী আগামীর সিদ্ধান্ত নিবেন।এটাই কল্যাণকর হবে। হালাল ইনকাম এবং পর্দার গুরুত্ব নিয়ে বাবাকে নরম ভাষায় বুঝাবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...