ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
কবিরা গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী না তানযিহি?
فَالْحَاصِلُ أَنَّهُ يُكْرَهُ لِهَؤُلَاءِ التَّقَدُّمُ وَيُكْرَهُ الِاقْتِدَاءُ بِهِمْ كَرَاهَةَ تَنْزِيهٍ، فَإِنْ أَمْكَنَ الصَّلَاةُ خَلْفَ غَيْرِهِمْ فَهُوَ أَفْضَلُ وَإِلَّا فَالِاقْتِدَاءُ أَوْلَى مِنْ الِانْفِرَادِ وَيَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ مَحَلُّ كَرَاهَةِ الِاقْتِدَاءِ بِهِمْ عِنْدَ وُجُودِ غَيْرِهِمْ وَإِلَّا فَلَا كَرَاهَةَ كَمَا لَا يَخْفَى -
ভাবার্থ-মোটকথা,পূর্বে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের জন্য ইমামতি করা মাকরুহে তানযিহি এবং তাদের পিছনে নামায পড়া মুক্তাদিদের জন্যও মাকরুহ তানযিহি।যদি ঐ সমস্ত ইমামগণ ব্যতীত অন্য কোনো মসজিদে নামায পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়,তাহলে সেখানেই নামায পড়া উত্তম হবে।নতুবা একা নামায পড়ার চেয়ে তাদের পিছনেই নামায পড়া উত্তম।ঐ সমস্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত তাদের চেয়ে উত্তম ব্যক্তিবর্গ কে ইমাম হিসেবে পাওয়া গেলে তখনই তাদের পিছনে নামায মাকরুহ।নতুবা এদের পিছনেই নামায পড়া জায়েয(মাকরুহ ব্যতীত)।(বাহরুর রায়িক১/৩৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকর্তা দ্বীনী ভাই!
প্রথম কথা হল,কবিরাহ গোনাহে বরাবর লিপ্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লে নামায যদিও আদায় হয়ে যাবে।তথাপি তাদের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ।মাকরুহ- তানযিহি না তাহরিমী? সেটা নিয়ে আমাদের হানাফি পূর্ববর্তী ও পরবর্তি কিতাব সমূহে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া যায়।তাই এ সম্পর্কে এতটুকুই বলা যায় যে,তা পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।যদি দেখা যায় যে,পরিস্থিতি চুড়ান্ত পর্যায়ের আশঙ্কাজনক তখন মাকরুহে তাহরিমী হবে।নতুবা তানযিহি।ফিতনার আশংকা না থাকলে এমন ইমামকে অপসারণ করাই উচিৎ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/291
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ইমাম সাহেবের যতগুলো বদ অভ্যাসের আলোচনা করেছেন, এর মধ্যে গিবত ব্যতিত বাদবাকি কোনোটাই কবিরা গোনাহ না। তাই নির্দ্বিধায় আপনি ঐ ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়তে পারবেন।আপনার নামায হয়ে যাবে।
(২)
পেশার পায়খানার পর পানি নেওয়ার সময় হাতের আংগুল সুবিধামত ব্যবহার করা যাবে।এমনভাবে রাখা উচিত যাতে পবিত্রতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।