আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
"পুরুষকে আল্লাহ এমনভাবেই সৃষ্টি করেছেন—তার ফিতরাতেই বহুগামিতা রয়েছে।
জান্নাতের পুরস্কার গুলো দেখেন,
– পুরুষের জন্য জান্নাতে একাধিক স্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
– নারীর জন্য অলংকার, গয়নার প্রতিশ্রুতি
অর্থাৎ, এটা স্বাভাবিক যে স্বর্ণ-গহনায় আসক্ত,পুরুষ নারী-সঙ্গ চায়। (বৈধভাবে, সুন্দরভাবে)
উল্টোটা অস্বাভাবিক যে, নারী একাধিক স্বামী পছন্দ করবে আর পুরুষ স্বর্ণ-গহনায় আসক্ত হবে। এটা বিকৃতি আর এই বিকৃতি শয়তানের কাজ।"
- এটা একজনের লেখার অংশ৷ এই লেখাটায় কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী কতটুকু সত্যতা আছে?

1 Answer

0 votes
by (674,220 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে একাধিক বিয়ে সম্ভলিত একটি প্রশ্নের জবাবে আমরা লিখেছিলাম যে,
একজন পুরুষ সর্বোচ্ছ চারজন মহিলা বিবাহ করতে পারবে এটা আল্লাহ তা'আলার বিধান। এটা আপনার বোনের পচন্দ-অপচন্দের বিষয় নয়। আল্লাহর হুকুমের আনুগত্যশীল থাকা উনার একান্ত কর্তব্য। এতে অনেক হেকমত নিহিত রয়েছে। যা আমাদের জন্য বুঝা প্রায় অসম্ভব।সচরাচর যে হেকমতটা আমরা বুঝি,তা হল,
দেখুনঃ
আদীকাল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বদা মহিলাদের সংখ্যাই বেশী।এবং কিয়ামত পূর্ব পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে।এমনকি কিয়ামতের পূর্বে একজন পুরুষের গায়ে ৫০জন মহিলা হবে। অর্থ্যাৎ তখন ৫০ডাবল বেশী হবে নারী। এখন যদি আপনার বোন শুধু নিজের চিন্তা করে নিজ স্বামীর জন্য অন্য মহিলাকে অপচন্দ করে,তাহলে অন্যান্য অসহায় নিরাশ্রয় মহিলাদের কি অবস্থা হবে।বা আল্লাহ না করুক যদি উনার স্বামীর কিছু হয়ে যায় তাহলে অভিবাহিত পুরুষ সহজেই উনাকে বিবাহ করতে আগ্রহী হবে না। এটাই স্বাভাবিক। তখন কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে তাকে বিবাহ দেওয়া হবে।তখন এই বিবাহিত পুরুষের কাছে বিবাহ দেওয়াই উনার ইজ্জত-আব্রু রক্ষার উত্তম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।তাই শুধু নিজের চিন্তা না করে একজন মহিলার জন্য অপর  এক অসহায় বোনের চিন্তা করা উচিৎ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2863

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত লিখার উদ্দেশ্য ভালো। তবে শব্দ চয়ন ও বাগধারার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা বিদ্যমান। বহুগামিতা শব্দ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়, সুতরাং পবিত্র ভাবে মূল বিষয়বস্তু উল্লেখ করা উচিত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...