ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পূর্বে একাধিক বিয়ে সম্ভলিত একটি প্রশ্নের জবাবে আমরা লিখেছিলাম যে,
একজন পুরুষ সর্বোচ্ছ চারজন মহিলা বিবাহ করতে পারবে এটা আল্লাহ তা'আলার বিধান। এটা আপনার বোনের পচন্দ-অপচন্দের বিষয় নয়। আল্লাহর হুকুমের আনুগত্যশীল থাকা উনার একান্ত কর্তব্য। এতে অনেক হেকমত নিহিত রয়েছে। যা আমাদের জন্য বুঝা প্রায় অসম্ভব।সচরাচর যে হেকমতটা আমরা বুঝি,তা হল,
দেখুনঃ
আদীকাল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বদা মহিলাদের সংখ্যাই বেশী।এবং কিয়ামত পূর্ব পর্যন্ত এ ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে।এমনকি কিয়ামতের পূর্বে একজন পুরুষের গায়ে ৫০জন মহিলা হবে। অর্থ্যাৎ তখন ৫০ডাবল বেশী হবে নারী। এখন যদি আপনার বোন শুধু নিজের চিন্তা করে নিজ স্বামীর জন্য অন্য মহিলাকে অপচন্দ করে,তাহলে অন্যান্য অসহায় নিরাশ্রয় মহিলাদের কি অবস্থা হবে।বা আল্লাহ না করুক যদি উনার স্বামীর কিছু হয়ে যায় তাহলে অভিবাহিত পুরুষ সহজেই উনাকে বিবাহ করতে আগ্রহী হবে না। এটাই স্বাভাবিক। তখন কোনো বিবাহিত পুরুষের সাথে তাকে বিবাহ দেওয়া হবে।তখন এই বিবাহিত পুরুষের কাছে বিবাহ দেওয়াই উনার ইজ্জত-আব্রু রক্ষার উত্তম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।তাই শুধু নিজের চিন্তা না করে একজন মহিলার জন্য অপর এক অসহায় বোনের চিন্তা করা উচিৎ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2863
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত লিখার উদ্দেশ্য ভালো। তবে শব্দ চয়ন ও বাগধারার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা বিদ্যমান। বহুগামিতা শব্দ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়, সুতরাং পবিত্র ভাবে মূল বিষয়বস্তু উল্লেখ করা উচিত।