আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
39 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামুআলাইকুম,

আজকে বিকেলে You tube এ আমার সন্তানের সাথে ১টি ইসলামিক কার্টুন দেখার পর আমার মনে হলো উক্ত কার্টুনের মধ্যে উল্লেখিত ঘটনাটি , আমার জীবনে কিছু  মাস আগে ঘটে যাওয়া একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, যদিও এতদিন আমি ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না, তখন ব্যাপারটি স্বাভাবিক মনে হলে ও, এই মুহুর্তে আমি অত্যান্ত উদ্বিগ্ন এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোন সঠিক ব্যাখ্যা জানাটা আমার জন্য খুবই  জরুরি হয়ে পড়েছে।

আমি  আমার জীবনে  ঘটে যাওয়া ঘটনাটি কিছুটা বিস্তারিত-ভাবে বর্ননা করছি-

এক সময় ব্যাবসায়িক খাতিরে আমার স্বামীর সাথে আমার মামার অত্যান্ত ভালো একটা সম্পর্ক ছিল।  আমার স্বামী  কোন এক ঘটনার প্রোরপ্রেক্ষিতে আমার মামার উপর অনেক রাগান্বিত হন। আমার স্বামী, আমার মামার সাথে সকল ধরনের সম্পর্ক (ব্যাবসায়িক, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবেন বলে আশ্বস্ত হন। আমি তাকে এই বলে বুঝাই যে, "আত্মীয়ভার সম্পর্ক ছিন্নকারী কখনো জান্নাতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।" সালামের বিনিময়ে হলেও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়, আর বিভিন্নভাবে বোঝানোর আপ্রান চেষ্টা করি, এক পর্যায়ে তিনি আমার উপর  রাগান্বিত হয়ে বলেন যে তোমার মামার সাথে তুমি কোন সম্পর্ক  রাখতে পারবা না, এমনকি তোমার পরিবারের কেউ যদি তোমার মামার সাথে সম্পর্ক রাখে, তাহলে তাদের সাথেও তুমি সম্পর্ক রাখতে পারবা না। আর যদি রাখ,  তোমার সাথে আমার কোন প্রকার সম্পর্ক থাকবে না।

এ কথা শোনার পর আমি তার রাগ কমানোর জন্য ১ দিন আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখি। আর তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে, আমার পরিবার কখনোই আমার মামার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে  না, কারন এটা হারাম। আর আমিও আমার পারবারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারব না, পরের দিন থেকে আমার পরিবারের সাথে, এখন পর্যন্ত আমার সম্পর্ক স্বাভাবিক  আছে।আমি তাকে অনেক বোঝানোর পর তিনি বলেন যে ঠিক  আছে, যদি  তোমার ছোট ভাইয়ের বিয়েতে তোমার মামাকে তোমার পরিবার  দাওয়াত না দেয়, তাহলে  আমার মাথা ঠান্ডা  হবে।   পরিস্থিতি সামলাতে  আমি বলি যে ঠিক আছে, আমার ভাইয়ের বিয়েতে আমার মামা আসবে না,  আর যদি আসেও আমি জাব না।  তখন তিনি বলেন যে, আর যদি তোমার পরিবার তাদের তোমার ভাইয়ের বিয়েতে দাওয়াত দেয়, তোমার মামাও বিয়েতে আসে তখন তোমার পরিবারের সাথে আমাদের সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন থাকবে। আর তুমি যদি তখন তাদের সাথে  সম্পর্ক রাখ  তখন তোমার সাথে আমি কোন সম্পর্ক রাখব না।কয়েক দিনের ব্যবধ্যানে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা স্বাভাবিক হয়ে হয়ে যায়। আমার উপরে তার রাগ কমে যায়

তার ২য় শত আরোপের পর। এতদিন ব্যাপরটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা ছিল না। কিন্তু আজকে  তালাক সম্পর্কিত কার্টুনটি দেখার পর কিছু প্রশ্ন আমার মনে উদয় হয়।

১:আমার স্বামীর বারন স্বত্বেও আমি আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলাম, যদিও, সপ্তাহ খানেক পর আমাদের দাম্পত্য জীবন আগের মতই স্বাভাবিক হয়ে যায় , ইসলামী দৃষ্টিতে তার  শর্ত ভঙ্গ করার কারনে, আমাদের দাম্পত্য স্বম্পকে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে কিনা?

২: আমার ভাই য়ের বিয়েতে যদি আমার মামাকে দাওয়াত দেওয়া হয়, আমি তখন যাবনা।যেহেতু আমি তাকে কথা দিয়েছি।দাওয়াত দাওয়ার পরেও  যদি আমি  আমার পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখি,তখন  তার শর্তের কারনে আমাদের দাম্পত্য জীবনে ইসালামিক শরীয়ত  মোতাবেক কোন প্রভাব বিস্তার করবে কিনা?
৩:আমার মামার সাথে চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন কারা বিক ঠিক হবে?

৪:সর্বোপরি আমার এখন কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
ago by (671,580 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)إِذَا-যখন
(৩)إِذْمَا-যখন
(৪)كُلُّ-সব
(৫)كُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1237


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরনমতে,
আপনি যদি আপনার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখেন, এবং আপনার পরিবার আপনার মামার সাথে সাথে রাখে, তাহলে এক তালাক অটোমেটিক পতিত হয়ে যাবে। একবারই তালাক হবে। পরবর্তীতে কথা বললে আর তালাক হবে না।


(১)আপনার স্বামীর বারন স্বত্বেও আপনি যদি আপনার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে তালাক পতিত হবে।

(২) দাওয়াত দাওয়ার পরেও যদি আপনি আপনার পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখেন, তখন তালাক পতিত হবে। যেহেতু পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তাই পূর্বের তালাকের আওতাধীন থাকবে।

(৩) মামার সাথে চিরতরে সম্পর্ক ছিন্ন করা ঠিক হবে না।তবে আপাতত অন্য কোনো রাস্তাও নেই।

(৪) স্বামীর শর্ত মোতাবেক চলাফেরা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 364 views
...