বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নাভীর নীচে এবং নাভীর উপরে হাত বাধা সম্পর্কে উভয় ধরণের রেওয়ায়ত বর্ণিত রয়েছে।
আপনি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকলে সে মাযহাবের ব্যখ্যা অনুযায়ী আ'মল করবেন।এটাই স্বাভাবিক। এবং সেটাই আপনার জন্য সুন্নাহ।
আর যদি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ না করে থাকেন।অথবা হানাফি মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে নামাযে নাভির নিচেই হাত বাধবেন।নাভীর নীচে হাত বাধার বিশুদ্ধ প্রমাণ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন।
চান্দ আহম আছরী মাসাঈল-১৫০
.............বিস্তারিত জানুন- ১১৭৭
(২)নারীরা মিঠির সাথে মিশে সিজদাহ দিবে।
নারী পুরুষের নামাযের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৯৮
(৩)বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে যে টাকা দেয়া হয়,সেটার নামই মহর।আর উক্ত মহর যে কাগজে লিখে রাখা হয়,সেই বিয়ে রেজিষ্টেশনের নাম কাবিন নামা।
সুতরাং মোহরানা আর কাবিন নামা প্রায় একই।
মহর বা কাবিন নগদে দেয়াই সুন্নত।হ্যা বাকীও রাখা যায়।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
"ولم يكن الصحابة يكتبون "صداقات" لأنهم لم يكونوا يتزوجون على مؤخر ؛ بل يعجلون المهر ، وإن أخروه فهو معروف ، فلما صار الناس يتزوجون على المؤخر والمدة تطول ويُنسى : صاروا يكتبون المؤخر ، وصار ذلك حجة في إثبات الصداق ، وفي أنها زوجة له"
সাহাবায়ে কেরাম মহর বা কাবিন নামা লিখে রাখতেন না।কেননা তারা নগদ মহর দিয়ে দিতেন।আর তারা কখনো মহরকে বাকী রাখলে সেটা সবার জানা থাকতো।অতপর পরবর্তী সময়ে যখন লোকজন বাকী মহর দ্বারা বিয়ের প্রচলন শুরু করলো,অনেক সময় পরিশোধের সময়ও বেশ দীর্ঘ থাকতো,এক্ষেত্রে ভূলে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই স্বাভাবিক ছিলো,তখন তারা মহরকে লিখে রাখতেন।এবং এই কাগজ বা দলীলই বিয়ে ও মহরের সাক্ষী হতো।(মাজমুউল ফাতাওয়া-৩২/১৩১)