আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
ছেলেরা হাত কোথায় বাধবে? ছেলেদের বুকে হাত বাধার আমল কতটুকু যুক্তিসংগত?

মেয়েরা সিজদাহ কেমন করে দিবে? মেয়েদের সালাত আদায় এর সহিহ পদ্ধতি জানতে চাই।
কাবিন আর মোহরানা কি এক জিনিস?  প্রচলিত কাবিনে বাকি আর নগদ বিষয়ে জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নাভীর নীচে এবং নাভীর উপরে হাত বাধা সম্পর্কে  উভয় ধরণের রেওয়ায়ত বর্ণিত রয়েছে।
আপনি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকলে সে মাযহাবের ব্যখ্যা অনুযায়ী আ'মল করবেন।এটাই স্বাভাবিক। এবং সেটাই আপনার জন্য সুন্নাহ।
আর যদি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ না করে থাকেন।অথবা হানাফি মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে  নামাযে নাভির নিচেই হাত বাধবেন।নাভীর নীচে হাত বাধার বিশুদ্ধ প্রমাণ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন।
চান্দ আহম আছরী মাসাঈল-১৫০
.............বিস্তারিত জানুন- ১১৭৭
(২)নারীরা মিঠির সাথে মিশে সিজদাহ দিবে।
নারী পুরুষের নামাযের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৯৮


(৩)বিয়ের সময় স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে যে টাকা দেয়া হয়,সেটার নামই মহর।আর উক্ত মহর যে কাগজে লিখে রাখা হয়,সেই বিয়ে রেজিষ্টেশনের নাম কাবিন নামা।
সুতরাং মোহরানা আর কাবিন নামা প্রায় একই।

মহর বা কাবিন নগদে দেয়াই সুন্নত।হ্যা বাকীও রাখা যায়।

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
"ولم يكن الصحابة يكتبون "صداقات" لأنهم لم يكونوا يتزوجون على مؤخر ؛ بل يعجلون المهر ، وإن أخروه فهو معروف ، فلما صار الناس يتزوجون على المؤخر والمدة تطول ويُنسى : صاروا يكتبون المؤخر ، وصار ذلك حجة في إثبات الصداق ، وفي أنها زوجة له"
সাহাবায়ে কেরাম মহর বা কাবিন নামা লিখে রাখতেন না।কেননা তারা নগদ মহর দিয়ে দিতেন।আর তারা কখনো মহরকে বাকী রাখলে সেটা সবার জানা থাকতো।অতপর পরবর্তী সময়ে যখন লোকজন বাকী মহর দ্বারা বিয়ের প্রচলন শুরু করলো,অনেক সময় পরিশোধের সময়ও বেশ দীর্ঘ থাকতো,এক্ষেত্রে ভূলে যাওয়ার সম্ভাবনাটাই স্বাভাবিক ছিলো,তখন তারা মহরকে লিখে রাখতেন।এবং এই কাগজ বা দলীলই বিয়ে ও মহরের সাক্ষী হতো।(মাজমুউল ফাতাওয়া-৩২/১৩১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 259 views
...