ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) অনিচ্ছাবশত ফজরের নামাজ কাযা হয়ে যাবার পর ইশরাকের নামাজ আদায় করা যাবে ফজরের কাযা আদায় করে।
(২) ফরজ নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ পাঠে ভুল হয়ে গেলে, নামাজ আদায় হয়ে যাবে বা আবার আদায় করা লাগবে না। কেননা দুরুদ শরীফ পাঠ করা ফরয বা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নত।
(৩)
ফরয নামাযের মত অনির্দিষ্ট করে নফল নামাযের শুরু এবং শেষ সীমানাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ বর্ণনা করেননি।
তবে হযরত আলী রাযি থেকে এর সময় সীমা বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
عن عاصم بن ضمرة، قال: سألنا عليا عن صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم من النهار؟ فقال: إنكم لا تطيقون ذاك، فقلنا: من أطاق ذاك منا، فقال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا كانت الشمس من هاهنا كهيئتها من هاهنا عند العصر صلى ركعتين، وإذا كانت الشمس من هاهنا كهيئتها من هاهنا عند الظهر صلى أربعا، وصلى أربعا قبل الظهر وبعدها ركعتين، وقبل العصر أربعا، يفصل بين كل ركعتين بالتسليم على الملائكة المقربين، والنبيين، والمرسلين، ومن تبعهم من المؤمنين، والمسلمين
পূর্বদিগন্তে সূর্য যখন এ পরিমাণ উদয় হয়েছিলো,যতটুকু পশ্চিম দিগন্তে আসরের সময় থাকে,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ দুই রাকাত নামায পড়তেন।এবং পূর্বদিগন্তে সূর্য যখন এ পরিমাণ উদয় হয়েছিলো,যতটুকু পশ্চিম দিগন্তে যোহরের সময় থাকে,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ চার রাকাত নামায পড়তেন।এছাড়া রাসূলুল্লাহ সাঃ যোহরের ফরযের পূর্বে চার রা'কাত ও পরে দু'রাকাত এবং আছরের পূর্বে চার রা'কাত সুন্নত পড়তেন।প্রত্যেক দু'রাকাতের পর ফিরিস্তার, আম্বিয়া,এবং পরবর্তী উম্মতের উপর সালাম তথা তাশাহুদ পড়তেন।(সুনানু-তিরমিযি-৫৯৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1929