ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুমিনদের শিশু জান্নাতী পিতা-মাতার সাথে জান্নাতে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ ۚ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ
অর্থাৎ, যারা বিশ্বাস করে আর তাদের সন্তান-সন্ততি বিশ্বাসে তাদের অনুগামী হয়, তাদের সাথে মিলিত করব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধ। (তুরঃ ২১)।
ঐ শিশুরা শুধু জান্নাতে যাবে তাই নয়, বরং পিতা-মাতা দোযখ যাওয়ার হকদার হলে, মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করে তাদেরকে বেহেশতে আনার চেষ্টা করবে।
নবী (ﷺ) বলেন, “সেই সত্তার শপথ; যার হাতে আমার প্রাণ আছে! গভচ্যুত (মৃত) শিশু তার নাভির নাড়ী ধরে নিজের মাতাকে বেহেস্তের দিকে টেনে নিয়ে যাবে---যদি ঐ মা (তার গর্ভপাত হওয়ার সময়) ঐ সওয়াবের আশা রাখে তবে।” (সহীহ ইবনে মাজাহ ১৩০৫নং)।
অন্য এক বর্ণনা অনুযায়ী, সে তার পিতা-মাতার কাপড় ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবে। ( সিঃ সহীহাহ ৪৩২নং)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গর্ভপাতের সন্তান যদি ৪ মাস পরের হয়ে থাকে, তাহল সেই গর্ভপাতের সন্তান সুপারিশ করে তার মাতাপিতাকে সে জান্নাতে নিয়ে যাবে। পক্ষান্তরে ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে, সেই গর্ভপাতের সন্তান কোনো সুপারিশ করবে না।
عن معاذبن جبل قال: قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم في حدیث:والذي نفسي بیدہ إن السقط لیجر أمہ بسررہ إلی الجنة إذا احتسبتہ(مشکوة شریف ص ۱۵۳ بحوالہ: مسند احمد وسنن ابن ماجہ)
وعن علي قال:قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم:إن السقط لیراغم ربہ إذا أدخل أبویہ النار، فقال: أیھا السقط المراغم ربہ! أدخل أبویک الجنة فیجرھما بسررہ حتی یدخلھما الجنة(حوالہ بالا ،بحوالہ: سنن ابن ماجہ)،
وذکر العلقمي في حدیث:”سموا أسقاطکم فإنھم فرطکم“الحدیث،فقال؛ فائدة:سأل بعضھم ھل یکون السقط شافعاً؟ ومتی یکون شافعاً؟ ھل ھو من مصیرہ علقة أم من ظھور الحمل أم بعد مضي أربعة أشھر أم من نفخ الروح؟والجواب:أن العبرة إنما ھو بظھورہ خلقة وعدم ظھورہ کما حررہ شیخنا زکریا(شامی ۳: ۱۳۱،مطبوعہ: مکتبہ زکریا دیوبند)۔