আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার বাচ্চাটা হার্টবিট না আসায় মিসক্যারিজ হয়ে গেছে আমার।বাচ্চাটা প্রায় ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত বেড়ে আর বাড়েনি।ধীরে ধীরে ছোট হতে শুরু করে। সেসময় তার হার্টবিট আদৌ আসছিলো কিনা জানিনা।আলট্রা আরো পরে করা হয়েছিলো।তখন দেখি বাচ্চার গ্রোথ নাই+হার্টবিট ও নাই‌

ওর সাথে কি আমার আখিরাতে দেখা হবার সুযোগ আছে?ও কি জান্নাতে চলে গেছে আমার পাখিঠা?

নাকি ১২০ তম দিনের আগে যে রুহ আসেনা এজন্য আখিরাতেও ওকে পাবো না?

1 Answer

0 votes
by (670,230 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুমিনদের শিশু জান্নাতী পিতা-মাতার সাথে জান্নাতে যাবে। মহান আল্লাহ বলেন,
وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ ۚ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ
অর্থাৎ, যারা বিশ্বাস করে আর তাদের সন্তান-সন্ততি বিশ্বাসে তাদের অনুগামী হয়, তাদের সাথে মিলিত করব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করব না। প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধ। (তুরঃ ২১)।

ঐ শিশুরা শুধু জান্নাতে যাবে তাই নয়, বরং পিতা-মাতা দোযখ যাওয়ার হকদার হলে, মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ করে তাদেরকে বেহেশতে আনার চেষ্টা করবে।

নবী (ﷺ) বলেন, “সেই সত্তার শপথ; যার হাতে আমার প্রাণ আছে! গভচ্যুত (মৃত) শিশু তার নাভির নাড়ী ধরে নিজের মাতাকে বেহেস্তের দিকে টেনে নিয়ে যাবে---যদি ঐ মা (তার গর্ভপাত হওয়ার সময়) ঐ সওয়াবের আশা রাখে তবে।” (সহীহ ইবনে মাজাহ ১৩০৫নং)।

অন্য এক বর্ণনা অনুযায়ী, সে তার পিতা-মাতার কাপড় ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবে। ( সিঃ সহীহাহ ৪৩২নং)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/115989

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গর্ভপাতের সন্তান যদি ৪ মাস পরের হয়ে থাকে, তাহল সেই গর্ভপাতের সন্তান সুপারিশ করে তার মাতাপিতাকে সে জান্নাতে নিয়ে যাবে। পক্ষান্তরে ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে, সেই গর্ভপাতের সন্তান কোনো সুপারিশ করবে না।

عن معاذبن جبل قال: قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم في حدیث:والذي نفسي بیدہ إن السقط لیجر أمہ بسررہ إلی الجنة إذا احتسبتہ(مشکوة شریف ص ۱۵۳ بحوالہ: مسند احمد وسنن ابن ماجہ)
وعن علي قال:قال رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم:إن السقط لیراغم ربہ إذا أدخل أبویہ النار، فقال: أیھا السقط المراغم ربہ! أدخل أبویک الجنة فیجرھما بسررہ حتی یدخلھما الجنة(حوالہ بالا ،بحوالہ: سنن ابن ماجہ)،
وذکر العلقمي في حدیث:”سموا أسقاطکم فإنھم فرطکم“الحدیث،فقال؛ فائدة:سأل بعضھم ھل یکون السقط شافعاً؟ ومتی یکون شافعاً؟ ھل ھو من مصیرہ علقة أم من ظھور الحمل أم بعد مضي أربعة أشھر أم من نفخ الروح؟والجواب:أن العبرة إنما ھو بظھورہ خلقة وعدم ظھورہ کما حررہ شیخنا زکریا(شامی ۳: ۱۳۱،مطبوعہ: مکتبہ زکریا دیوبند)۔


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...