আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
reopened by
আমি দ্বীনের পথে চলতে, দ্বীনকে জানতে খুবই আগ্রহী কিন্তু আমার পরিবার চায়, আমি যেন দুনিয়াবি পড়াশোনায় অধিক আগ্রহী হই। এতে আমার মনে হচ্ছে  পরিবারের প্রতি আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে ।প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে বলছি সম্পর্কগুলো যেন ভালো থাকে। তবুও পরিবার থেকে পাওয়া কষ্টগুলো কোনোমতেই ভুলতে পারছি না। এখন সম্পর্কগুলো ভালো রাখতে আমার করণীয় কি??

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোনাহের কাজে মাতাপিতা স্বামী সহ পৃথিবীর কারো কোনো বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা জায়েয হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

অন্যত্র বর্ণিত আছে
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)...........বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি দ্বীনের পথে চলতে চান, আপনার ফ্যমিলির লোকজন আপনাকে দ্বীনের পথের চেয়ে দুনিয়াবী পথের দিকে অগ্রসরমান দেখতে চায়, সেজন্য যদি তাদের সাথে আপনার সু-সম্পর্কে ঘাটতি চলে আসে, তাহলে আসতে দিন। আপনার জন্য দ্বীনের রাস্তাকে পরিত্যাগ করা কখনো জায়েয হবে না। এই দ্বীনের রাস্তায় চলতে গিয়ে কত নবী রাসূল এবং সালাফে সালেহীন নিজ কওমের মধ্যে হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন। তবুও তারা দ্বীনের রাস্তাকে পরিত্যাগ করেননি। দ্বীনের ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করা যাবে না। আপনি তাদের সাথে আপনার সামর্থ্যানুযায়ী সু-সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন। এবং দ্বীনের পথে অগ্রসরমান থাকুন। তারপরও যদি দেখা যায় যে, তাদের সাথে সম্পর্কে ভাটা পড়ছে,তাহলে এতে আপনার কোনো দোষ নাই, এ সম্পর্ক নষ্টের গোনাহ আপনার হবে না। বরং শরীয়তের দৃষ্টিতে আপনি সর্বদাই প্রশংসিত হিসেবেই বিবেচিত হবেন। সিলাহ রেহমি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1577


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...