আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
(প্রায় বছর খানেক আগে হযরত ইমদাদুল হক হুজুরের সাথে আমার অবস্থার বিষয়ে কথা হয়েছিল। হুজুর আমাকে বলেছিলেন আমি ওসওয়াসায় আক্রান্ত)

আজকে হুজুরের কাছে আমার জীবন ঘনিষ্ঠ প্রশ্ন করতে চাই। হুজুরের কাছে অনুরোধ প্রশ্নটির উত্তর দেওয়ার জন্যে। হুজুর ব্যস্ত মানুষ, প্রয়োজনে সময় নিয়ে উত্তর দেন। আমি পেরেশান অবস্থায় হুজুরের কাছে অনুরোধ করছি  আমার প্রশ্নটি এড়িয়ে যাবেন না।

আমি আমার বিবি আর এক বছরের বাচ্চা সহ ঢাকায় থাকি। গত কাল রাত্রে আমার বিবি আমার সাথে রাগ করে, আজকেও আমার বিবি আমার সাথে ঠান্ডা মেজাজে কথা বলে না। আমি তখন রাগ করে উচ্চ গলায় বলি যে, বাসায় কোন কাজ নেই এরজন্য আমার সাথে খারাপ আচরণ করো, তোমার খারাপ আচরণ আমার সহ্য হয় না। সে বাসার কাজ করে না এই কথা শুনে আরো রাগারাগি করে এবং আমার বাবা মার বিষয়ে কথা বলে। যখন আমার বাবা মার বিষয়ে কথা বলে তখন আমি ওর গালে চড় দিছি। চড় তেমন জোরে লাগে নি। পরে আমার বিবি কান্না শুরু করে এবং সে বলে আমার ভাত সে খাবে না অর্থাৎ আমার সংসার সে করবে না। সে বোরখা পরে, এবং মেয়েকে কোলে নেয়। (তখন আমি খাটে বসা ছিলাম, খাটে থেকে উঠি এবং চিন্তা করি, আমি কি বলবো এখন"  আমি চিন্তা করি আমি কি মেয়েকে ধরবো শুধু, তাহলে তো আমার বিবি ভাবতে পারে, আমি কি ওর সিদ্ধান্ত কে বাধা দেই নি?)
এগুলো আমি ভাবতেছি এবং আমার বিবির সামনে দাড়াইছি। আমার বিবি আমাকে বলে,  "কি মেয়ে নিয়ে যাইতে দিবা না? মেয়েকে রাখো।"


("তখন আমি আমার বিবি কে হাতের দিকে ধরে বলি চুপ করে ঘরে বসো, কারণ আমি চাই না যে, আমার বিবির সাথে আমার সম্পর্ক নষ্ট হোক।" আমি তখন ভাবতেছিলাম আমার বিবি যে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং সংসার নিয়ে কথা বলে এইটা ওর বাবা অথবা ওর বাসার লোক জানুক, তারা যেন ওকে শাসন করে, যাতে ও আমার সাথে ভালো আচরণ করে)


আমার বিবিকে ঘরে বসতে বলার পর পরই ও খটের উপর বসে এবং আমার উক্ত এই ভাবনা থেকেই, আমার বিবি খাটে বসার পর আমি ফোন হাতে নিয়ে বলি তোমার বাবাকে ফোন দেই, তোমার বাবা আসুক। (ও খাটে বসা এবং আমি ওর বাবার কথা বলার মাঝখানে, ও সংসার না করতে চাওয়ার মত আবারো কিছু বলছে কিনা, আমার মনে নেই। সম্ভবত আমার স্ত্রী খাটে বসার পরও আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, "ওর মত স্বামীর দরকার নেই, মাইর খেয়েও কি সংসার করতে হবে নাকি, ছেলের কি অভাব নাকি" ইত্যাদি। তারপর আমি ওর বাবার কথা বলেছি) কিন্ত ওর বাবার কথা শুনার পর আরো রাগারাগি করে। এরপর আমি চুপ ছিলাম। 

আমি মাঝে মাঝে মাসাআলা পড়ি, 

>এখনে আমার বিবি আমার সাথে সংসার করতে না চাওয়ার একটু পরেই যে আমি ওর বাবকে ফোন দিতে চাইলাম, ওর বাবাকে আসতে বলতে চাইলাম, এইটা কি মুজাকারা তা* এর অন্তর্ভুক্ত কিনা? (যদিও আমি তা* এর নিয়তে ওর বাবা কথা বলি নি। ওর বাবা ওকে শাসন করবে এর ফলে ও আমার সাথে খারাপ আচরণ করবে না এইটা ভেবে ওর বাবার কথা বলেছি) 

> নাকি,আমি ওসওয়াসায় আক্রান্ত বিবেচনায় মুজাকারা তা* পতিত হবে না?
এখন আমার কি করণীয়?

নিচে আমার বিভিন্ন সময়ে করা কিছু প্রশ্নের লিংক দেওয়া আছে, মেহেরবানি করে দেখবেন আমি ওসওয়াসায় আক্রান্ত বিবেচিত কিনা?
https://ifatwa.info/120259/
https://ifatwa.info/118621/
https://ifatwa.info/98749/
https://ifatwa.info/98649/
https://ifatwa.info/118628/
https://ifatwa.info/98774/
https://ifatwa.info/91550/
https://ifatwa.info/97731/
https://ifatwa.info/97038/
https://ifatwa.info/94074/
https://ifatwa.info/91415/
https://ifatwa.info/89527/
https://ifatwa.info/99119/
এছাড়াও আমার আরো ওসওয়াসা আসে, *অফিসে কাজ করার সময় বিভিন্ন সংখ্যা বলা বা লেখার সময়। * আমার সাথে অফিসের কলিগরা কাজের কথা বলার সময়, তাদের অনেক কথায় আমার চিন্তা হয়, তাদের কথায় কি আমার শর্তযুক্ত তা* বুঝায় কিনা)

1 Answer

0 votes
ago by (670,170 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...