আল্লাহ পাকের মনোনিত দ্বীন ইসলামের হেফাযত তিনি নিজেই করবেন।
যেদিন ইসলাম এবং মুসলিম থাকবে না সেদিন কেয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।
عن أنس بن مالك رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لَا يُقَالَ فِي الْأَرْضِ اللَّهُ الله
অর্থাৎ আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সঃ বলেন- যেদিন দুনিয়াতে কোনো আল্লাহ আল্লাহ বলনেওয়ালা মুমিন থাকবে না সেদিন কেয়ামত সংগঠিত হয়ে যাবে।(সহীহ মুসলিম হাদিস নং- ১৪৮;তিরমিযি হাদিস-২২০৭)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ لَا يَجْمَعُ أُمَّتِي عَلَى ضَلَالَةٍ ، وَيَدُ اللَّهِ مَعَ الْجَمَاعَةِ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ বলেন রাসুলুল্লাহ সঃ বলেছেন আমার সকল উম্মতকে আল্লাহ তায়ালা কখনও ভ্রান্ত (বিকৃত) বিষয়ের উপর ঐক্য করবেন না।
(তিরমিযি হাদিস-২১৬৭;আবু দাউদ হাদিস-৪২৫৩)
عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ كَذَلِكَ
সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ করে কেউ তাদের কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। এমন কি এভাবে আল্লাহর আদেশ অর্থাৎ কিয়ামত এসে পড়বে আর তারা যেমনটি ছিল তেমনটই থাকবে। (সহীহ মুসলিম-ইঃফা,হাদীস নং-৪৭৯৭)
অথচ হিযবুত তাওহীদের দাবী হলো যে ধর্মটি ইসলাম বলে প্রচলিত আমাদের সমাজে এটা আসল ইসলাম নয়।বরং অন্যন্য ধর্মের মত একটি ধর্ম শুধু।
অথচ মুসলিম মাত্রই জানেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতপ্রাপ্তির পর পূর্ববর্তী সকল আসমানী ধর্মও রহিত হয়ে গেছে। একমাত্র ইসলামকেই আল্লাহ তাআলা কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানবজাতির জন্য দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন। খোদ কুরআন কারীমে সেই দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা উচ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন–
اِنَّ الدِّیْنَ عِنْدَ اللهِ الْاِسْلَامُ.
নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র (মনোনীত) দ্বীন। –সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৯
আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন–
وَ مَنْ یَّبْتَغِ غَیْرَ الْاِسْلَامِ دِیْنًا فَلَنْ یُّقْبَلَ مِنْهُ، وَ هُوَ فِی الْاٰخِرَةِ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করতে চাইবে, তা তার কাছ থেকে কিছুতেই কবুল করা হবে না এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। –সূরা আলে ইমরান (৩) : ৮৫
আর হাদীস শরীফে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো একেবারে সুস্পষ্ট ভাষায় শপথ করে বলে গেছেন–
وَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَا يَسْمَعُ بِيْ أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأُمَّةِ يَهُوْدِيٌّ وَلَا نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوْتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِيْ أُرْسِلْتُ بِهِ، إِلّا كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ.
সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, এই উম্মতের ইহুদী বা নাসারা যেই আমার দাওয়াত পাবে, অতঃপর আমার আনীত দ্বীনের ওপর ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করবে, সে হবে জাহান্নামী। –সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৩
★ রাসুলুল্লাহ সল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রহমাতুল্লিল আলামিন বলতে তারা একেবারেই নারাজ হলেও রামকৃষ্ণ,বৌদ্ধ অবতারদের নাম নেয়ার সময় তারা আলাইহিস সালাম বলে থাকে।
★হেযবুত তওহীদের অন্যতম দাবী হচ্ছে-
৬০/৭০ হিজরীর পর থেকে ১৩০০ হিজরির পর পুরো ইসলাম ধর্মটি বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং সমস্ত মুসলমান কাফের এবং মুশরিক হয়ে গিয়ে। সুৎরাং প্রচলিত ইসলামটি আসল ইসলাম নয় বরং আল্লাহর প্রেরিত ইসলামের বিপরিত এটা।
অথচ দলীল-প্রমাণ ছাড়া কোনো একজন মুসলমানকে কাফের বলার ব্যাপারেও কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারিত হয়েছে। রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন–
مَنْ رَمَى مُؤْمِنًا بِكُفْرٍ فَهُوَ كَقَتْلِه.
কোনো মুমিনকে কুফুরীর অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য। –সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১০৫
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন–
أَيُّمَا امْرِئٍ قَالَ لِأخِيْهِ: يَا كَافِرُ، فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا، إِنْ كَانَ كَمَا قَالَ، وَإِلّا رَجَعَتْ عَلَيْهِ.
যে কেউ তার ভাইকে কাফের বলবে, সেটা তাদের দুজনের কোনো একজনের ওপর বর্তাবে। যদি সে যা বলেছে তা বাস্তব হয় তবে তো হল। অন্যথায় তার নিজের ওপরই তা বর্তাবে। –সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬০
★টুপি, দাড়ী,পাগড়ি,জুব্বা এগুলোর সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জোর দাবী তুলেছেন তারা।
অথচ বিধর্মীদের মত দাড়ীতে তারা ষ্টাইল করা রুচিসম্মত কাজ মনে করে থাকেন।
★তাদের দাবী হলো “হেযবুত তওহীদ’ই হলো আল্লাহর পাঠানো আসল দ্বীনুল হক।তাদের এমামুযযামান খ্যাত বায়াজীদ খান পন্নীকে নাকি আল্লাহ পাক মো’জেজার মাধ্যমে বলেছেন যে,”হেযবুত তওহীদ” এ দলটি দিয়ে পুরো বিশ্বে সহীহ ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।
এজন্য তারা ঘোষণা দিয়ে তাদের বইয়ের মধ্যে লিখেছে-
“যারা হেযবুত তওহীদ করবে তাদের জন্য নিশ্চিত জান্নাত। এনকি যদি কেউ হেযবুত তওহীদে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাহলে সে দুই শহিদের মর্যাদা পাবে।আর যারা পন্নী সাহেবের মোজেজা বিশ্বাস করবে না তারা মোনাফেক। তাদের কোনো মুক্তি নাই।তারা জাহান্নামী।”[লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।]