আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং করে হালাল উপার্জন করার চেষ্টা করছি। আমি এমন একটি পেশা খুঁজছি যেটা একদিকে স্কিলভিত্তিক, অন্যদিকে ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী হালাল।
সম্প্রতি আমি “ইথিক্যাল হ্যাকিং” (Ethical Hacking) বা “বাগ হান্টিং” (Bug Hunting) সম্পর্কে জানতে পারি। এই পেশাটির মূল উদ্দেশ্য হলো – বিভিন্ন কোম্পানি, ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তা দুর্বলতা (vulnerability) খুঁজে বের করে রিপোর্ট করা এবং তাদের সিস্টেম আরও নিরাপদ করতে সাহায্য করা। এটা একটা প্রযুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তা পেশা (Cyber Security Profession), যেটা অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠানে আইনত স্বীকৃত ও সম্মানজনক।
তবে আমার একটি দ্বিধা হচ্ছে — এই কাজ করার সময় প্রায়শই বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যারে প্রবেশ করতে হয়, যেখানে অনেক সময় অশ্লীল ছবি, অনাবৃত নারীর ছবি, হারাম প্রোডাক্ট (যেমন: অ্যালকোহল, সুদভিত্তিক ব্যাংক, জুয়া, ডেটিং সাইট, বা ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইত্যাদি) বা ইসলামবিরোধী কনটেন্ট থাকতে পারে। যদিও আমি এসব কিছু দেখা বা ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কাজ করি না, কিন্তু vulnerability test বা penetration test করতে গেলে এগুলো অনিচ্ছাকৃতভাবে চোখে পড়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় আমার কিছু প্রশ্ন:
1. এই ধরনের কাজ, যেখানে মূল উদ্দেশ্য নিরাপত্তা প্রদান, কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে হারাম কনটেন্ট চোখে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে — এটা কি হালাল হবে?
2. ইথিক্যাল হ্যাকিং কি ইসলামি দৃষ্টিতে একটি গ্রহণযোগ্য (জায়েয) পেশা?
3. যদি আমি শুধুমাত্র ইসলামসম্মত বা পরিষ্কার ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি (যেমন: মুসলিম কোম্পানি, ইসলামি প্রতিষ্ঠান, নিরাপদ ও সাধারণ কনটেন্ট), তাহলে কি এটা পুরোপুরি হালাল হবে?
4. এই কাজ থেকে উপার্জন কি ‘তাযকিয়া’ (পরিশুদ্ধ উপার্জন) হিসেবে গণ্য হবে, যদি নিয়ত থাকে হালাল পথে চলা?
আমি একান্তভাবে চাই, আমার প্রতিটি কাজ যেন হালাল হয়, এবং আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির মাধ্যমে আমার রিজিক আসে। তাই আপনাদের নিকট সঠিক শরয়ি দিকনির্দেশনা কামনা করছি — যেন দ্বিধাহীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।
আল্লাহ্‌ আপনাদের কাজকে কবুল করুন এবং আমাদের সবাইকে হালাল পথে থাকার তাওফিক দান করুন।