আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর
হুজুর আমি একটা মাসালা জানার জন্য আপনাকে নক করেছি
হুজুর আমার হাসবেন্ড প্রবাসে থাকেন আমি আমার শুশুর বাড়িতে আমার বেড রুমে আমি একা ঘুমাই আমার হাসবেন্ড প্রতিদিনের মতো ২ দিন আগে আমাকে ভিডিও কল দিয়েছেন আমার সাথে নরমাল কথা হয় কোনো ঝগড়াঝাটি হয় নি আমার হাসবেন্ড কথা বলার মধ্যে আমাকে বলছেন তুমি ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে রুম দেখাও পরে আমি রুম দেখাই পরে আমি বললাম আপনি কি আমাকে সন্দেহ করছেন পরে উনি আমাকে বলছেন আমি বিয়ের দিন তোমাকে বলেছি যদি সন্দেহ কর,পাপ কাজ কর তাহলে আমারা জামাই বউ নয়।তারপর আমি বললাম আপনি কি কোনো ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক শারিরীক সম্পর্কের কথা বলছেন উনি বলছেন সব ধরনের পাপ কাজ করলে তুমি আলাদা আমি আলাদা। তারপর আমি বললাম আমি তো মানুষ আমি তো পাপ করতেই পারি মনে করেন আমি পরপুরুষের সামনে গেলাম আমার মাথার কাপড় পড়ল ধরেন আমি মিথ্যা কথা বললাম তাহলে গুনাহ হবে আমি আবার বললাম আপনি কি কোনো ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক বা শারীরিক সম্পর্কের কথা বলছেন উনি পরে বলেন যে তুমি আলাদা করে কেন জানতে চাচ্ছ তুমি কি কোনো ছেলের সাথে প্রেম কর আমি বললাম আমি কোনো ছেলের সাথে প্রেম করার কথা কখনোই চিন্তা করি না পরে উনি বলছেন যদি আমাকে তুমি ঠকাও আল্লাহ কাছে জাবাব দিতে হবে পরে উনি বলেছেন যার প্রতি মায়া বেশি তার প্রতি সন্দেহ বেশি হয় (আমার হাসবেন্ড বিয়ের দিন আমাকে কোন শর্ত দেন নি উনি শুধু আমাকে বলেছেন কোন সময় আমাদের মধ্যে সন্দেহ জিনিস টা আনবেন না এই কথা বলেছেন বিয়ের এক মাস পর আমার হাসবেন্ড আমাকে বলেছে তুমি যদি কোনে ছেলের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করো তাহলে তুমি তালাক)

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে হুজুর :-
১।আমার হুাসবেন্ড যে বললেন সন্দেহ করলে পাপ কাজ করলে আমারা জামাই বউ নয় এখন যদি হুজুর আমার হুাসবেন্ড কে কোনো মেয়েকে নিয়ে সন্দেহ করলে কি আমাদের তালাক হবে?? না একসাথে সন্দেহ প্লাস পাপ কাজ করলে আমাদের তালাক হবে??প্লিজ জানাবেন হুজুর।
২।হুজুর যেকোনো পাপ কাজ করলে কি তালাক হবে?? না শুধু অবৈধ সম্পর্ক করলে তালাক হবে প্লিজ জানবেন হুজুর??

1 Answer

0 votes
by (658,410 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার উপর এক তালাক পতিত হবে। 
আপনি এরপর উক্ত স্বামীর কাছে শরীয়তের বিধান মেনে ফিরিয়ে যাওয়ার পর উক্ত শর্ত আবার পাওয়া গেলেও আর তালাক পতিত হবেনা।
তাই আপনি নির্ভয়ে স্বামীকে ফোন মেসেজ দিতে পারবেন। 
ভয়ের কোনো কারন নেই।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরত রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি যদি গায়রে মাহরাম কাহারো সাথে প্রেম করেন,শারীরিক সম্পর্ক করেন,গায়রে মাহরাম কাহারো সাথে গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়েন,সেক্ষেত্রে আপনার উপর এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...