জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
শরীয়তের বিধান হলোঃ
কসর নামাজের কাজা মুকিম অবস্থায় আদায় করলে কসর করেই কাজা আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো শরয়ী সফরের দূরত্বে কোন স্থানে গিয়ে সেখানে যদি কমপক্ষে পনের দিন থাকার নিয়ত না করে, তাহলে কসর পড়তে হবে। ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে কসর করতে পারবে না।
৭৮ কিলোমিটার হল সফরের দূরত্ব। এর কম নয়। সুতরাং কেউ যদি ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হয় কেবল সেই ব্যক্তি কসর পড়তে পারে। এরচে’কম দূরত্বের সফরের জন্য কসর পড়া জায়েজ নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★৭৮ কিলোমিটার দূরত্বের সফরের নিয়তে বের হলে সেক্ষেত্রে সফর কালে কসর নামাজ আদায় করবে।
(০৩)
তায়াম্মুম করাও সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে নামাজ আদায় না করে গন্তব্য স্থলে এসে কাজা আদায় করবেন।
আল্লাহর কাছে তওবা করবেন।
এমন সময় সফর করা ঠিক নয় যাতে নামাজ কাজা হয়ে যায়।
এজন্য সবচেয়ে ভালো হয় এশার নামাজ আওয়াল ওয়াক্তে আদায় করে সফরে বের হওয়া অথবা ফজরের নামাজ আওয়াল ওয়াক্তে আদায় করে সফরে বের হওয়া।
(০৪)
অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
এক্ষেত্রে সেই রোযার কাজা আদায় করতে হবেনা।
ইচ্ছাকৃত ভাবে বমি করলে মুখ ভরে হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এমতাবস্থায় সেই রোযার কাজা আদায় করতে হবেনা।
মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
ইচ্ছাকৃত হল মুখে আঙ্গুল দিয়ে এভাবে কোন পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে না হলে রোযা ভাঙ্গবে না।
(০৫)
এক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি কথা বলা বন্ধ করা জায়েজ হবেনা সামনাসামনি দেখা হলে বা ফোন দিলে কমপক্ষে সালাম বিনিময় করতে হবে।