(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أن أبا هريرة قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( من رآني في المنام فسيراني في اليقظة ولا يتمثل الشيطان بي )
হযতর আবূ হুরায়রা রাঃ বলেনঃ রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নযোগে দেখল, সে যেন আমাকে বাস্তবেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।
{সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৫৯২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬০৫৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬০৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০২৫ , সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২১৩৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৩৯০৫, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২২৭৬}
,
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে স্বপ্নযোগে দেখলে তার উপর জাহান্নাম হারাম হবে,এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।
,
وأما الحديث الثاني: من رآني حرمت عليه النار فهذا لا أصل له، وليس بصحيح
সারমর্মঃ এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।
وقال الشيخ عبد العزيز بن باز رحمه الله :
" وأما الحديث : ( من رآني فقد حرمت عليه النار ) فهذا لا أصل له ، وليس بصحيح " انتهى. باختصار.
" فتاوى الشيخ ابن باز " ( 4 / 445 ) و ( 25 / 126 ) .
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ কে দেখলে তার উপর জাহান্নাম হারাম হবে,এমন কথার কোনো ভিত্তি নেই।
,
তবে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে কেহ জীবদ্দশায় সামনা সামনি দেখলে, অথবা রাসুলুল্লাহ সাঃ কে যারা দেখেছে,তাদের দেখলে জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবেনা মর্মে হাদীস আছে।
,
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تَمَسُّ النَّارُ مُسْلِمًا رَآنِي أَوْ رَأَى مَنْ رَآنِي " .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ জাহান্নামের আগুন এমন মুসলিম লোককে ছুবে না যে আমাকে দেখেছে অথবা আমার দর্শনলাভকারীকে দেখেছে।
তিরমিজি শরীফ ৩৮৫৮,মিশকাত, তাহকীক ছানী (৬০০৪)
,
এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে কিছু বুযুর্গানে দ্বীন প্রশ্নে উল্লেখিত কথাকে সাপোর্ট করে।
আল্লাহই ভালো জানেন।
,
(০২)
কষ্টের পর সুখ আসে।
এমনটি কল্পনা করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
আল্লাহ তাআলার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা-
سَيَجْعَلُ اللَّهُ بَعْدَ عُسْرٍ يُسْرًا
‘আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।’ [সুরা তালাক : ৭]
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
‘নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।’ [সুরা ইনশিরাহ : ৬]
وَ لَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَیْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَ الْجُوْعِ وَ نَقْصٍ مِّنَ الْاَمْوَالِ وَ الْاَنْفُسِ وَ الثَّمَرٰتِ وَ بَشِّرِ الصّٰبِرِیْنَ.
আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব (কখনও) ভয়-ভীতি, (কখনও) ক্ষুধা দ্বারা এবং (কখনও) জানমাল ও ফলফসলের ক্ষয়-ক্ষতি দ্বারা, আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। -সূরা বাকারা (২) : ১৫৫
আরেক আয়াতে মহান রাব্বুল আলামিনের ঘোষণা-
لَتُبْلَوُنَّ فِیْۤ اَمْوَالِكُمْ وَ اَنْفُسِكُمْ وَ لَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَ مِنَ الَّذِیْنَ اَشْرَكُوْۤا اَذًی كَثِیْرًا وَ اِنْ تَصْبِرُوْا وَ تَتَّقُوْا فَاِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ.
তোমরা তোমাদের জান-মালের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষার মুখোমুখি হবে আর তোমরা আহলে কিতাব ও মুশরিকদের পক্ষ থেকে অনেক পীড়াদায়ক কথা শুনবে। তোমরা যদি সবর ও তাকওয়া অবলম্বন কর, তাহলে অবশ্যই তা বড় হিম্মতের কাজ। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৮৬
যদি তাহা শরীয়তের অকাট্য ভাবে প্রমানীত কোনো বিধান না হয়,তাহলে শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
বুখারী শরীফের ২৬৮ নং হাদীসে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَدُورُ عَلَى نِسَائِهِ فِي السَّاعَةِ الْوَاحِدَةِ مِنَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَهُنَّ إِحْدَى عَشْرَةَ. قَالَ قُلْتُ لأَنَسٍ أَوَكَانَ يُطِيقُهُ قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ أَنَّهُ أُعْطِيَ قُوَّةَ ثَلاَثِينَ. وَقَالَ سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ إِنَّ أَنَسًا حَدَّثَهُمْ تِسْعُ نِسْوَةٍ.
আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
,