আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
ডাক্তার বলেছে আমি কখনো মা হতে পারবো না, এক্ষেত্রে কি আমার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত হবে? কিন্তু বিয়ে তো অর্ধেক দ্বীন । আবার এমন একটা মেয়ে কে কোনো ছেলে কেন বিয়ে করবে যেহেতু ইসলামে বলা আছে অধিক সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীকে বিয়ে করার কথা। আবার আমার জন্য সারাজীবন একা থাকে অনেক বেশি কষ্টকর যেহেতু আমি একটু ঘরোয়া টাইপ এর মেয়ে আর আমার কোনো ভাই ও নাই যে ভবিষ্যতে আমার দায়িত্ব নিবে । এই সমস্যার কারণে ফ্যামিলি থেকে বলে নিজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য, অথচ আমার ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আগ্ৰহ ছিল না, সবসময় স্বপ্ন ছিল ফুলটাইম হাউজ ওয়াইফ এবং একজন আদর্শ স্ত্রী ও মা হওয়ার। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? আমি কি সারাজীবন অবিবাহিত থাকবো ? ইসলাম এর দৃষ্টিতে এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
ago by
আপু নেক হালাল যে কোনো বিষয়ের জন্য নিম্নোক্ত আমলের মাধ্যমে ইন শা আল্লাহ আল্লাহর কাছে চাইতে পারেন। আল্লাহ চাইলে ইন শা আল্লাহ সবই সম্ভব। ডাক্তার না বললেও সন্তান চাইলে হতেও পারে যদি আল্লাহ চান তাহলে ইন শা আল্লাহ। 
...
এক দ্বীনি ভাই৷ তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া আল্লাহর নুসরতের তরতাজা কাহিনী শুনালেন

বাবা অসুস্থ৷ একমাত্র ব্যবসাটা নেই৷ অনেক জায়গায় সিভি দিয়েও চাকরি হচ্ছে না৷ এদিকে বাসা ভাড়া জমা হয়ে গেছে কয়েকমাসের৷ ধারদেনা করে কোনো মতে পরিবার নিয়ে চলছেন৷ লক্ষাধিক টাকার ঋণের বোঝা মাথায়৷ চোখে অন্ধকার দেখছেন৷

এক বুযুর্গের বয়ানে শুনেছেন লাগাতার ৪০দিন তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ দিবেন৷ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললেন৷ আল্লাহওয়ালা মানুষের কথা৷ তার দিলে বিশ্বাস জন্মেছে৷

ক্যালেন্ডার ধরে তাহাজ্জুদ শুরু করেছেন৷ একমাসের মাথায় সিলেটের নামকরা প্রতিষ্ঠানে চাকরি হয়ে গেছে৷ ৪০ দিনের মাথায় আরেক ভাই স্বেচ্ছায় তার বাসা ভাড়ার সব টাকা কর্জে হাসানা হিসেবে দিয়ে দিছেন৷ 

চাওয়ার মতো চাইতে হবে৷ সাথে ইয়াকিন রাখতে হবে পরিপূর্ণ৷ অপরদিকে আসবাবও তথা ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা যতটুকু করার, তাও করতে হবে৷ সাহায্য আসবেই৷ আজ হোক কিংবা কাল৷ হতাশার কিছু নেই৷

© মুফতি জিয়াউর রহমান

1 Answer

0 votes
by (637,860 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের পূর্ব পাত্র পাত্রীর এমন রোগ যাহা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরের হক আদায়ে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,বা যার চিকিৎসা খুবই কঠিন। 
তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রোগ গোপন করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রোগটি গোপন করলে এটি ধোকা দেওয়া হবে,যাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত,

عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★আর যদি রোগটি হালকা হয়,সেক্ষেত্রে সেই রোগ গোপন করা যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া অনুচিত হবেনা।
বরং বিবাহের সিদ্ধান্ত নেয়াই উচিত হবে। 
এক্ষেত্রে পাত্রকে আগেই বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে। 

ইনশাআল্লাহ আল্লাহর কাছে দোয়ার পাশাপাশি পারিবারিকভাবে বিবাহের চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে পাত্র পাওয়া যাবে। 

পাত্র চাইলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে পাত্রকে স্বাধীনতা দিতে পারেন যে চাইলে তিনি ২য় বিবাহও করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...