আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।

আমার  এক মামা উনি জুয়ায় আসক্ত, বিগতদিনে নেশা করতো এখন করে কিনা জানা নেই।  নানুমনিকে অনেক নির্যাতন করেছে। বিয়ে করেছে একটা বাচ্চা আছে। বাচ্চা মেয়েটা মাদ্রাসায় পরে। তাদের পরিবারকে আমার নানুমনি ভরনপোষণ দেয়।
১.আমার মামা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিথ্যা বলে আমাদের থেকে টাকা নেয় ই টাকা নিয়ে যদি সে গুনাহর কাজ করে সেক্ষেত্রে কি আমাদের গুনাহ হবে?

২.তাকে সাদাকাহ,যাকাত এর নিয়তে টাকা দেয়া যাবে কি?

৩. তার মেয়ে এবং মামিকে কি সাদাকাহ করা যাবে। সেটা কি সাদাকাহ হিসেবে গন্য হবে?


উস্তাদ মামার জন্য অনেক অনেক দোয়া চাই। আমাদের পরিবার টা তার কারনে ধংস হয়ে যাচ্ছে, রোজকার অশান্তি লেগে থাকে? মাঝেমধ্যে অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে চলে যায়।তাবলীগ এ গিয়েছিল  ১০ দিন থেকে চলে এসেছে। তার জন্য দোয়া করবেন। মামির দিকেও কোনো নজর রাখে না না আমার  বোনটার দিকে।

মামার কি জীন-যাদু গত কোনো সমস্যা থাকতে পারে?
জানাবেন মিন ফাদ্বলিক

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
গুনাহের কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,গুনাহের কাজে সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা গুনাহ করারই নামান্তর। 
বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى هُدًى إِلَّا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ اتَّبَعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَا مِنْ دَاعٍ يَدْعُو إِلَى ضَلَالَةٍ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ أَوْزَارِهِمْ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِهِمْ شَيْئًا

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইয়াছেনঃ যেকোন আহবানকারী হিদায়াতের দিকে আহবান করিবে তবে তাহাকে তাহার অনুসরণকারীদের সমান পুণ্য দেওয়া হইবে। অনুসরণকারীদের পুণ্য হইতে বিন্দুমাত্র কম করা হইবে না। আর যেকোন আহবানকারী পথভ্রষ্টতার দিকে আহবান করিবে, তবে তাহার উপর অনুসরণকারীদের পাপসমূহের সমান পাপ বৰ্তাইবে। তাহাতে অনুসরণকারীদের পাপসমূহের এতটুকুও কম করা হইবে না।
(মুয়াত্তা মালিক ৪৯৬)

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের যেহেতু প্রবল ধারণা যে এই টাকা নিয়ে সে গুনাহের কাজ করবে,আর বাস্তবে করছেও তাই,সুতরাং এমতাবস্থায় তাকে টাকা দিলে এক্ষেত্রে গুনাহের কাজে সহযোগিতার গুনাহ আপনাদের হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
তিনি যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হোন, সেক্ষেত্রে তাকে সদকাহ/যাকাত এর  টাকা দেওয়া যাবে।

তবে যদি সেই টাকা দিয়ে গুনাহের কাজ করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বলে আপনারা মনে করেন, সেক্ষেত্রে তাকে টাকা দিবেন না।

(০৩)
আপনার মামি যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হোন, সেক্ষেত্রে তাকে সদকাহ/যাকাত এর  টাকা দেওয়া যাবে।

তার মেয়ে যদি বালেগাহ হয়,সেক্ষেত্রে তার মেয়ে যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হোন, সেক্ষেত্রে তাকে সদকাহ/যাকাত এর  টাকা দেওয়া যাবে।

আর যদি তার মেয়ে নাবালেগাহ হয়,সেক্ষেত্রে আপনার মামা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হলে, সেক্ষেত্রে তার মেয়েকে সদকাহ/যাকাত এর  টাকা দেওয়া যাবে।

আর যদি আপনার আপনার মামা নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে, সেক্ষেত্রে তার নাবালেগাহ মেয়েকে সদকাহ/যাকাত এর টাকা দেওয়া যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...