বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বিতীয় বিয়ে করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া। আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বহু বিবাহ করা কুরআন সমর্থিত একটি বিষয় , তাই বহু বিবাহ অস্থিত্বকে অস্বীকার করা বা বহু বিবাহের অস্থিত্বকে খাটো করে দেখা, এর অর্থ হল, কুরআনকে অবমাননা করা। আর কুরআন অবমাননা করলে যে কেউ কাফির হয়ে যায়, সুতরাং এমন বিদ্রুপাত্বক ব্যক্তি অবশ্যই কাফির বলে বিবেচিত হবে। তবে যদি কেউ বহু বিবাহ করার কিছু কিছু কু-ফল কে নিয়ে আলোচনা করে, অর্থা অনেকে বহু বিবাহ করার পর ইনসাফ করে না, এ সম্পর্কে কুরআনও সতর্ক করেছে, তাই ইনসাফ না হওয়ার আলোচনা করলে ঐ ব্যক্তি কাফির হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আর্থিক সামর্থ্য থাকাবস্থায় ইনসাফ বজায় রাখার শর্তে একাধিক বিয়েকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত মনে করা যাবে। তবে এটা সুন্নতে যায়েদা। কেউ যদি একাধিক বিয়ে করতে চায় বউ যদি করতে না দেয়, তাহলে বউয়ের গুনাহ হবে না। তাছাড়া বিয়ের আগে যদি কনে শর্ত দিয়ে দেয় যে, একাধিক বিয়ে করা যাবে না, তাহলে এতেও কনের গোনাহ হবে না। কেননা একের অধিক বিয়ে ফরয কিংবা ওয়াজিব নয়, তাই একের অধিক বিয়ে করা বা না করার অধিকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের থাকবে।