আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (39 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।

১। আমি ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য CRO শিখছি। আমার কাজ হলো ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটের এমন সব পরিবর্তন করা যাতে তার ওয়েবসাইটে ইনকাম বৃদ্ধি পায়। আমার কাজ (CRO) এর মধ্যে রয়েছে SEO, UI/UX, Tracking ইত্যাদি এর মিশ্রণ, কিন্তু ছবি নিয়ে কোনো কাজ নেই।

আমি যদি এমন ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করি যেখানে পণ্য নিজে হালাল, কিন্তু কার কাছে বিক্রি করবে বিক্রেতা, তার ওপর নির্ভর করে বিক্রি করাটা হালাল হবে কি হারাম, এমনটা হলে কি এই ওয়েবসাইটের থেকে আয় হালাল হবে? যেমন কোনো ওয়েবসাইটে যদি ছোট কাপড় বিক্রি করা হয়, এইসব কাপড় যদি স্ত্রী তার স্বামীর জন্য কিনে, যতটুক জানি তা হালাল হবে। কিন্তু বিদেশের ক্লায়েন্ট এতো কিছু দেখবে না, যে আসবে তার কাছে বিক্রি করে ফেলবে।
যেমন - ইউরোপ আমেরিকায় মেয়েদের কাপড়ের দোকানে ছোট কাপড়ের কালেকশন থাকে। তারা নরমাল কাপড়ের পাশাপাশি এগুলোও বিক্রি করে।

ব্যপারটা অনেকটা এমন যে বিক্রেতা আসলে কার কাছে ছুরি বিক্রি করছে।

আমার প্রশ্ন মূলতঃ বিক্রেতা পণ্য কার কাছে বিক্রি করবে আর না করবে, তার সেই বিক্রির কারণে কি আমার কাজ হারাম হবে নাকি যেহেতু আমি তার ওয়েবসাইটে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যারা SEO করে, তারাও কিন্তু ওই একই কারণে করে, ওয়েবসাইটের বিক্রি বাড়ানোর জন্য। ঠিক তেমনি আমি ও ওয়েবসাইটের কিছু পরিবর্তন করবো যাতে বিক্রি বাড়ে। কিন্তু সরাসরি কিছু আমি বিক্রি করছি না, ক্লায়েন্ট বা তার লোকজন এইসব দেখবে।

২। যদি ওয়েবসাইটে এইসব কাপড় পরা মেয়েদের ছবি থাকে, তাহলে কি আমার আয় হারাম হবে?

৩। যদি কাপড় এমনিতে ভালো হয়, কিন্তু কাপড়ে প্রাণীর ছবি আছে, এমন কাপড় ওয়েবসাইটে বিক্রি করে, তাহলে কি আমার ওয়েবসাইটে কাজ করে প্রাপ্ত আয় হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (674,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সন্দেহজনক হলে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
(২) ইনকাম হারাম হবে না।
(৩) আপনার ইনকাম হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...