আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (14 points)
আসসালামু আ'লাইকুম। খাওয়া নিয়ে নবীজি(সা.) এর একটি হাদীস আছে পেটের দুইভাগ খাবার ও পানি, বাকিটুকু খালি রাখতে৷ এবং সবচেয়ে ভালো হয় শুধু চলার মত অল্পকিছু খেলে।
যেহেতু আমি ছোটবেলা থেকে প্রায় বেদ্বীন পরিবারে ছিলাম, আমি জানতাম পুরো পেটভরে না খেলে, পেট খালি থাকলে সমস্যা হয়৷ এদিকে আমি পেটভরে খেলেও অদরকারী খাবার খাওয়ার জন্য ছোট থেকেই আমার এসিড গ্যাসের প্রচুর সমস্যা এবং পুষ্টিঘাটতি।
এখন আমি ইসলামের পথে আসলেও কখনো এই হাদীসগুলোর উপরে আমল করিনি৷ দেখা যায়, খুধা লাগলে আমার মাথা কাজ করা কমে যায় শরীর অনেক দূর্বল হয়। আর ক্ষুধার সময় যদি কম খেয়ে উঠে যাই তখন দেখা যায় সাথেসাথে আবার ক্ষুধা লেগে যায়। এজন্য আমি প্রায় সবসময়ই পেটভরেই খাই৷ যদিও ভাত বা আমিষ কম খেয়ে পানিযুক্ত সবজি বেশি খাই। আর অন্য অনেক খাবারও খাই পুষ্টিঘাটতি পূরণের জন্য। আমার প্রশ্নটা হল-
এই হাদীসটা কি সবরকমের মানুষের জন্য, নাকী শুধু সুস্থ মানুষের জন্য? আর এত অল্প খেয়ে নবীজি(সা.) এবং সাহাবীরা পুষ্টিঘাটতি কীভাবে পূরণ করেছিলেন? তখনকার খাবারগুলো ভেজালমুক্ত হওয়ার কারণে কি এটা সম্ভব হয়? নাকী আমার ইমানি দূর্বলতার জন্য আমাকে এত খাবার খেতে হচ্ছে, ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকলে আমিও অল্প খাবারেই সুস্থ থাকতে পারব? আর এই হাদীসগুলোর প্রেক্ষাপট মেজাজ বলা যাবে? এমনকিছু কি এখানে আছে যেটা আমি জানিনা?

1 Answer

0 votes
ago by (666,480 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
খাদ্য গ্রহণ কয়েকভাবে হতে পারে।
(১) ফরয: 
ঐ পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা ফরয, যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করলে শারিরিক ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। যদি কেউ এই পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকে , যেজন্য সে ধংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায়, তাহলে সে যেন নাফরমানিতে লিপ্ত হল।তবে যদি কেউ প্রফুল্লতার সাথে ইবাদত তথা নামায রোযা পালন করার জন্য এত্থেকেও বেশী খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে সে এজন্য সওয়াব পাবে।

(২) মুবাহ:
উপরে বর্ণিত খাদ্যর চেয়ে অতিরিক্ত এমন খাদ্য যা পরিতৃপ্তির কাছাকাছি থাকে, এ পর্যায়ের খাদ্য গ্রহণ করা মুবাহ। এ প্রকারের খাদ্যে কোনো লাভও নাই এবং লোকশানও নাই। হালাল থেকে পরিতৃপ্তি পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করলে হালকা পাতলা হিসেব নেওয়া হতে পারে।

(৩) হারাম:
পরিতৃপ্তিরও অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। তবে যদি আগামি দিনের রোযা রাখার ইচ্ছা হয়, অথবা মেহমানের সাথে খাদ্য গ্রহণ করতে যেয়ে মেহমানকে খাদ্য গ্রহণের সুযোগ দিতে গিয়ে পরিতৃপ্তির চেয়েও বেশী খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা হারাম হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনি রোগা হন । তাহলে পরিমিত প্রয়োজন অনুসারে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন।এবং পরিমিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে বেশী খাদ্য গ্রহণ স্বাস্থ্যর জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। আপনি সুস্থ সবল হিসেবে বেঁচে থাকতে কি পরিমাণ খাবেন? সেটা হচ্ছে তাই, যা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলে দিয়েছেন। তাছাড়া বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার দাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (14 points)
অসংখ্য ধন্যবাদ হুজুর৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান৷ এত সুন্দর নিয়ম! মাশআল্লাহ নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়বিচারক

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...