আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
recategorized by
আসসালামু আলাইকুম, আমি একটু দ্বিধায় আছি তাই এইখানে পোস্ট করছি।আমাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে সহোযোগিতা করবেন ইনশাআল্লাহ। আমার স্বামীর সাথে ২০২৩ সাল থেকে নানা বিষয়ে ঝামেলা হচ্ছে।যার কারণে সে আমাকে কোনো হাত খরচ দেয় না।২০২৩ সালে আমি আমার বাবার বাসায় ছিলাম বাবু পেটে ছিলো তাই।কোনো খরচ তখন সে বহন করেনি কিন্তু বাবা মা ভাই বোনের জন্য সমস্ত খরচ করেছে।এরপর নির্লজ্জ এর মত তার সংসার করতে থাকি কিন্তু সে আমাকে কোনো হাত খরচ দিত না।বলতো আমাকে খাওয়াচ্ছে, কাপড় কিনে দিছে এটাই যথেষ্ট।বাবার বাড়ি গেলে শুধু আসা ও যাওয়ার ভাড়া দিত এর বেশি কিছু দিত না।এখন আমি আবারো সন্তান সম্বভা।এখনো আমাকে কোনো খরচ দেয়নি।আমি ৬ মাসের গর্ভাবস্থায় শহর থেকে গ্রামে আসি কোরবানির উদ্দেশ্য। এসে শুনি আমার স্বামী একা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কোরবানি দিসে।অথচ আমাকে একটাকা ও খরচ দেয়নি।আমার সন্তানের জন্য একটা জামা কেনার টাকাও সে দেয় নি।সে দেশের বাইরে থাকে।তার ইনকাম প্রায় ৫ লাখ টাকার মত।এখন কি তার কোরবানি কি হবে? এ কোরবানির মাংস খাওয়া কি আমার উচিত হবে? পরে আমাকে শুধু হাত খরচের জন্য নাকি ৫ হাজার টাকা দিসে।এই টাকা আমার শ্বশুর আমার হাতে দিয়েছে। আমি কি নেয়া উচিত হভে? নাকি ফেরত দিব? ইসলামে আমার হক আগে নাকি বাবা মায়ের হক।আজকে জানতে পারলাম সে তার বাবাকে গত মাসে ৪ লাখের মত দিয়েছে আর এ মাসে মাকে খাট বানিয়ে দেয়ার জন্য ৮০ হাজার টাকার মত দিয়েছে।এসব শুনে তার প্রতি খুব বদ্দোয়া আসে।আমার রুহের হায় কি তার উপর পড়ে যাবে যদি এসব বিষয় নিয়ে নামাজে কান্নাকাটি করি

1 Answer

0 votes
by (670,170 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্ত্রীর উপর স্বামীর কিছু অধিকারও হক্ব দান করেছেন যেমনঃ-চাহিবামাত্র স্বামীকে সঙ্গ দেয়া ও স্বামীর সন্তানকে গর্ভে ধারণ করা এবং লালন-পালন করা ইত্যদি স্ত্রীর উপর স্বামীর অধিকার ও হক্ব। তদরূপ স্বামীর উপর স্ত্রীরও কিছু অধিকার ও হক্ব রয়েছে যেমন, বিয়ের পর স্ত্রীর ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষা করে স্ত্রীকে একটি বাসস্থান ও খাদ্য এবং বস্র দান করা।এটা স্বামীর উপর  স্ত্রীর অধিকার ওহক্ব এবং শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব। এ সম্পর্কে কোরআনের ঘোষনা হলঃ
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

হাকীম ইবনু মু‘আবিয়াহ আল-কুশাইরী (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
وعَنْ مُعَاوِيَةَ الْقُشَيْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : " قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ زَوْجَةِ أَحَدِنَا عَلَيْهِ ؟ قَالَ : ( أَنْ تُطْعِمَهَا إِذَا طَعِمْتَ ، وَتَكْسُوَهَا إِذَا اكْتَسَيْتَ ، وَلَا تَضْرِبْ الْوَجْهَ ، وَلَا تُقَبِّحْ ، وَلَا تَهْجُرْ إِلَّا فِي الْبَيْتِ)
তিনি বলেন, একদা আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কারো উপর তার স্ত্রীর কি হক রয়েছে? তিনি বললেনঃ তুমি যখন আহার করবে তাকেও আহার করাবে। তুমি পোশাক পরিধান করলে তাকেও পোশাক দিবে। তার মুখমন্ডলে মারবে না, তাকে গালমন্দ করবে না এবং পৃথক রাখতে হলে ঘরের মধ্যেই রাখবে।(আবু দাউদ-২১৪২,ইবনে মা'জা-১৮৫০)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14190

স্বামী তার স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করলে এবং স্ত্রীকে সঙ্গ না দিলে,স্ত্রী যদি কাযী সাহেবের নিকট বিচার দায়ের করে,তাহলে কাযী সাহেব উক্ত বিবাহকে ভঙ্গ করে দেয়ার অধিকার রাখেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৩/১০০)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5139

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামীর উপর প্রথম ও উল্লেখযোগ্য ফরয বিধান হল, স্ত্রীর ভরণপোষণ দেওয়া। স্ত্রী ধনী হলেও স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামীর উপর ওয়াজিব। তবে পিতা মাতা ধনী হলে, পিতা মাতার ভরণপোষণ স্বামীর ওয়াজিব না।
স্ত্রীর ভরণপোষণ না দেওয়ার কারণে স্বামীর গোনাহ হবে। আল্লাহর সামনে তাকে অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে। আপনি তাকে বদদোয়া না দিয়ে তার হেদায়তের জন্য দু'আ করুন। সবকিছুর পরও সে আপনার সন্তানের পিতা এবং আপনার স্বামী।

তার কুরাবনি তো আদায় হবে, তবে স্ত্রীর ভরণপোষণ আদায় না করার জন্য অবশ্যই স্বামীর গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...