বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তালাক শব্দ লিখার দ্বারা হয়ে যাবে।মূখে উচ্ছারণের প্রয়োজন নেই।
ﺛُﻢَّ اﻟْﻤَﺮْﺳُﻮﻣَﺔُ ﻻَ ﺗَﺨْﻠُﻮ ﺇﻣَّﺎ ﺃَﻥْ ﺃَﺭْﺳَﻞَ اﻟﻄَّﻼَﻕَ ﺑِﺄَﻥْ ﻛَﺘَﺐَ: ﺃَﻣَّﺎ ﺑَﻌْﺪُ ﻓَﺄَﻧْﺖِ ﻃَﺎﻟِﻖٌ، ﻓَﻜَﻤَﺎ ﻛَﺘَﺐَ ﻫَﺬَا ﻳَﻘَﻊُ اﻟﻄَّﻼَﻕُ ﻭَﺗَﻠْﺰَﻣُﻬَﺎ اﻟْﻌِﺪَّﺓُ ﻣِﻦْ ﻭَﻗْﺖِ اﻟْﻜِﺘَﺎﺑَﺔِ.
লিখা কয়েক ধরণের হয়ে থাকে।যদি কাগজে সে তার স্ত্রীকে এভাবে লিখে যে,
পরসমাচার!তুমি তালাক।যখনই সে তালাক শব্দ লিখবে সাথে সাথেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।এবং লিখার সময় হতে স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে।
নির্ভরযোগ্য ফাতাওয়া গ্রন্থ ফাতাওয়ায়ে বাযযাযিয়্যায় বর্ণিত রয়েছে-
كتب غير الزوج كتاب الطلاق و قرأه على الزوج ،فأخذه وختم عليه،أو قال لرجل ابعث هذا الكتاب اليها، فهذا بمنزلة كتابة بنفسه،
(الفتاوى البزٌَازيٌَة على هامش الفتاوى الهندية ،ج ٤ـ ص١٨٥ـ مكتبة رشيدية، كتاب الطلاق ،نوع في التوكيل و كتابته)
ভাবার্থ: যদি স্বামী ব্যতীত অন্য কেউ তালাক নামা প্রস্তুত করে, এবং তা স্বামীকে পড়ে শুনায়, অতঃপর স্বামী উক্ত তালাক নামাকে হাতে নিয়ে তাতে সাক্ষর করে বা কাউকে উদ্দেশ্য করে বলে যে, উক্ত তালাক নামা তাকে(স্ত্রীকে) পৌছিয়ে দাও,তাহলে এমতাবস্থায় তালাক পতিত হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে বাযযাযিয়্যাহ;৪/১৮৫)
- লিখিত তালাক পতিত হয়ে যায়।মূখে বলার প্রয়োজন নেই।(ফাতাওয়ায়ে দারুলউলুম ৫/৫৩) আরো বর্ণিত রয়েছে- ফাতাওয়ায়ে (মাহমুদিয়্যাহ-১২/৬৪৫)
"عن حماد قال: إذا کتب الرجل إلی امرأته -إلی- أمابعد! فأنت طالق فهي طالق، وقال ابن شبرمة: هي طالق". (المصنف لابن أبي شیبة، کتاب الطلاق، باب في الرجل یکتب طلاق امرأته بیده، مؤسسة علوم القرآن ۹/۵۶۲، رقم: ۱۸۳۰۴)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনার বিবরণ অনুযায়ী আপনার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে গেছে।ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক শেষ পর্যন্ত আপনি তাতে সাক্ষর করেছেন।তালাক নামায় সাক্ষর করা মানে মূখে তালাক প্রদাণ করা।
তালাক নামায় যদি তিন তালাকের উল্লেখ থাকে তাহলে আপনারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।এখন পূনরায় সংসার বাধার আর সাধারণ কোনো নিয়ম বা রাস্তা নেই। তবে যদি ঘটনাক্রমে তালাকপ্রাপ্ত ঐ স্ত্রীর অন্য কোথাও বিয়ে হয়।এবং সে স্বামীর সাথে সংসার করার পর বা কমপক্ষে প্রথম সহবাস হওয়ার পর সংসার ভেঙ্গে যায়।তাহলে আপনি পূনরায় আবার তাকে বিয়ে করতে পারবেন। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।