আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
closed by

https://youtu.be/EjxKVfrk9YI?si=H1v_P5_zvPbb_4NR

দৃশ্যটা এরকম। সাউন্ড অফ করে রাখবেন অনুগ্রহ করে।

এখানে মূল চরিত্রের শক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারটা এরকম। চরিত্রটি একটি মূর্তির সামনে গেলে সেখানে pray লেখাটি ভেসে ওঠে। A বাটনে চাপ দিলে এরপরের দৃশ্যগুলো চালু হয়। যেখানে দেখা যায় চরিত্রটির শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে। 

আমার প্রশ্ন হল---এ কারণে কি ব্যক্তি কাফের হয়ে যাচ্ছে? গেইমটিতে চরিত্রটির আরো কিছু ব্যাপার বৃদ্ধি করা যায়। যেমন তার পকেটে কতগুলো জিনিস ধরবে, তার যন্ত্রের ব্যাটারির সক্ষমতা এসব। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো মূর্তি সম্পর্কিত নয়। সেগুলোতে pray লেখাও ভেসে ওঠে না। talk লেখা ভেসে ওঠে। সেগুলোতে রোবটের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। স্বাভাবিক সব কথা থাকে। 

শক্তি বৃদ্ধি, ব্যাটারি বা পকেটের সংখ্যা বাড়ানো---এগুলো নির্দিষ্ট কিছু আইটেমের (যেমন গাছের বীজ বা পাথর) বিনিময়ে হয়। গেইমের কোড চেক করে দেখে যে ওই আইটেম পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে কিনা। তারপর থাকলে সেই আইটেম কমিয়ে তার পরিবর্তে যা বাড়ানো হচ্ছে সেটা বাড়িয়ে দেয়। ব্যাটারি বা পকেটের সাথে শক্তি বৃদ্ধির মূল কনসেপ্টে পার্থক্য নেই। কিন্তু চিত্রায়নে পার্থক্য আছে। ব্যাটারি বা পকেটের ক্ষেত্রে শিরকের কোনো চিত্রায়ন নেই। শক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শিরকের চিত্রায়ন আছে যা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে (pray লেখা এবং পরবর্তী কিছু টেক্সট)

আমার প্রশ্ন হল---এতে কি আমার ঈমান চলে গেছে? আবার নতুন করে ঈমান আনতে হবে? 

closed

1 Answer

+1 vote
by (636,510 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 
যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
আল্লাহর কাছে সবচে’ ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হল শিরক। 

কুরআন মাজীদে পুত্রের প্রতি লুকমান হাকীমের ওসিয়তগুলো বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে তিনি নিজ পুত্রকে ওসিয়ত করে বলেন-

وَ اِذْ قَالَ لُقْمٰنُ لِابْنِهٖ وَ هُوَ یَعِظُهٗ یٰبُنَیَّ لَا تُشْرِكْ بِاللهِ  اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِیْمٌ.

স্মরণ কর, যখন লুকমান উপদেশচ্ছলে নিজ পুত্রকে বলেছিল, বৎস! তুমি আল্লাহর সাথে শরীক করো না। কেননা র্শিক নিশ্চয় মারাত্মক অবিচার ও পাপ। -সূরা লুকমান (৩১) : ১৩

আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-
وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যায়নি। আবার নতুন করে ঈমান আনয়ন করা আবশ্যক নয়।

তবে এক্ষেত্রে আপনার কবিরা গুনাহ হবে, কোনোক্রমেই গেইম খেলা জায়েজ হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...