আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in সালাত(Prayer) by (22 points)

১) তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)

প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “আওনুল বারী” (১/৫২০) তে লিখেছেন-“উল্লেখিত হাদিসটি সকল ইমামদের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসেবে পেশ করায় যোগ্য”।

মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আমীর ইয়ামানী “সুবুলুস সালাম” শরহু বুলুগিল মারাম” গ্রন্থে (১/৩৫১-৩৫২) এই হাদিসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে পুরুষ ও মহিলার সেজদার পার্থক্য করেছেন।

 

>>>উস্তাদ, উক্ত হাদিস কি সহিহ? একটি সন্দেহ প্রবেশ করেছে মনে যে, মহানবী সা, নারীদের সামনে দিয়ে কেন যাতায়াত করবেন। অথবা তারা কিভাবে নামাজ পড়ছে সেগুলো সবাইক কেন দেখতে পারবে? আর মসজিদ হলে তারা কি পেছনের সারিতে নামাজ পড়তো না? তাহলে পাশ দিয়ে কিভাবে যাচ্ছিলেন? মহানবী সঃ তাকিয়ে দেখেছেন আর অন্য সাহাবিরাও দেখলো। বিষয়টা কেমন জানি মনে হচ্ছে। আর পর্দার বিঁধান ছিলো, তাহলে তারা কেন প্রকাশে নামাজ পড়ছিলেন?? এই জন্যে হাদিস নিয়ে চিন্তা আসছে। 

২) নামাজ ৭টি অঙ্গের সেজদা করতে হয়। এখন নারীপুরুষের নামাজ আলাদা হলে, নারীরা ঐরকম করে নামাজ পড়লে তাদের তো ৭টি অঙ্গের সিজদা হচ্ছে না। তাহলে এই স্থানেতো বেমিল হয়ে গেলো। 
এই রকম আরো নানা যুক্তি প্রদান করেন। এর উত্তর কি হবে?

৩) আরেকটি কথা, তারা বলে যে এটা সহিহ হাদিস না, সেটা সহিহ হাদিস না, এই কথা গুলোর ভিত্তি কি? কার মতে সহিহ হাদিস না। সবার পক্ষে তো আর হাদিস বিশারদ হাওয়া সম্ভব না। এখন উনারা বলে দিচ্ছি আমাদের গুলো সহিহ না কিন্তু তাদের গুলো সহিহ, এই সহিহ না বা সহিহ, এটা আসলে কার মতে সহিহ না বা কার মতে সহিহ? 

1 Answer

0 votes
by (667,050 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) উক্ত হাদিস আমলযোগ্য। ইসলামের প্রাথমিক সময়ে নারীদের মসজিদে এসে নামায পড়ার নিয়ম ছিলো। তখন মহিলা সাহাবীগণ মসজিদে এসে নামায পড়তেন। সুতরাং এই হাদীস নিয়ে সংশয় প্রকাশ অমূলক। 

(২) নামাজ ৭টি অঙ্গের মাধ্যমেই সেজদা করা হয়। পুরুষদের ন্যায় নারীদেরও সাতটি অঙ্গ সিজদা করে। সুতরাং এখানে তো কোনো পার্থক্য মনে হচ্ছে না।

(৩) সনদ সহীহ কি না? সেটাও অধিকাংশ মতামতের উপর এবং দলীল প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে। এগুলো জনসাধারণের জন্য বুঝা মুশকিল বিষয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 539 views
...