১) তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “আওনুল বারী” (১/৫২০) তে লিখেছেন-“উল্লেখিত হাদিসটি সকল ইমামদের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসেবে পেশ করায় যোগ্য”।
মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আমীর ইয়ামানী “সুবুলুস সালাম” শরহু বুলুগিল মারাম” গ্রন্থে (১/৩৫১-৩৫২) এই হাদিসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে পুরুষ ও মহিলার সেজদার পার্থক্য করেছেন।
>>>উস্তাদ, উক্ত হাদিস কি সহিহ? একটি সন্দেহ প্রবেশ করেছে মনে যে, মহানবী সা, নারীদের সামনে দিয়ে কেন যাতায়াত করবেন। অথবা তারা কিভাবে নামাজ পড়ছে সেগুলো সবাইক কেন দেখতে পারবে? আর মসজিদ হলে তারা কি পেছনের সারিতে নামাজ পড়তো না? তাহলে পাশ দিয়ে কিভাবে যাচ্ছিলেন? মহানবী সঃ তাকিয়ে দেখেছেন আর অন্য সাহাবিরাও দেখলো। বিষয়টা কেমন জানি মনে হচ্ছে। আর পর্দার বিঁধান ছিলো, তাহলে তারা কেন প্রকাশে নামাজ পড়ছিলেন?? এই জন্যে হাদিস নিয়ে চিন্তা আসছে।
২) নামাজ ৭টি অঙ্গের সেজদা করতে হয়। এখন নারীপুরুষের নামাজ আলাদা হলে, নারীরা ঐরকম করে নামাজ পড়লে তাদের তো ৭টি অঙ্গের সিজদা হচ্ছে না। তাহলে এই স্থানেতো বেমিল হয়ে গেলো।
এই রকম আরো নানা যুক্তি প্রদান করেন। এর উত্তর কি হবে?
৩) আরেকটি কথা, তারা বলে যে এটা সহিহ হাদিস না, সেটা সহিহ হাদিস না, এই কথা গুলোর ভিত্তি কি? কার মতে সহিহ হাদিস না। সবার পক্ষে তো আর হাদিস বিশারদ হাওয়া সম্ভব না। এখন উনারা বলে দিচ্ছি আমাদের গুলো সহিহ না কিন্তু তাদের গুলো সহিহ, এই সহিহ না বা সহিহ, এটা আসলে কার মতে সহিহ না বা কার মতে সহিহ?