আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
46 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। কয়েকটি প্রশ্ন ছিল
১) মসজিদে হারামের সীমানা, বনাম মীকাতের সীমানার পার্থক্য কি? বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একজন হজ্বযাত্রী যদি মক্কায় থাকেন, তাহলে তার জন্য কি হারামের সীমানা অতিক্রম করে আবার হারামের সীমানায় পুনঃপ্রবেশের জন্য ইহরাম করা জরুরি হবে? নাকি মীকাতের সীমানা অতিক্রম করে হারামের সীমানায় পুনঃপ্রবেশের জন্য ইহরাম করা জরুরি হবে?

(২) একজন হজ্বের বিদায়ী তাওয়াফ ছাড়া সব কাজ সম্পন্ন করেছে। বিদায়ী তাওয়াফের আগে যিয়ারাহ করতে সে তায়েফে যায়। তায়েফ থেকে ফেরার সময় মাসআলা না জানার কারণে সে ইহরাম করে আসেনি, এভাবেই সে ইহরাম ছাড়া মক্কায় চলে আসে। এরপর সে জানতে পারে তায়েফ শহর মীকাতের বাইরে অবস্থিত তাই তায়েফ থেকে মক্কায় ফিরার পথে, ইহরাম করে মক্কায় এসে উমরাহ আদায় জরুরি ছিল। পরেরদিন সকালে সে মসজিদে আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা) থেকে ইহরাম করে উমরাহ আদায় করে। কিন্তু এরপর আবার সে জানতে পারে যে, তায়েফ থেকে মক্কায় ফেরার পথে ইহরাম ব্যতীত মক্কায় চলে আসার পরে ভুল সংশোধনের জন্য তাকে যে কোন একটি মিকাত থেকেই ইহরাম করে আসা জরুরি ছিল, এবং মসজিদে আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা) থেকে ইহরাম করে উমরাহ আদায় করা সঠিক হয়নি।
এক্ষেত্রে এখন তার করণীয় কী?
(৩) পরের সপ্তাহে সে মদিনা মুনাওয়ারায় চলে যাবে ইনশাআল্লাহ এবং সেখানে কয়েকদিন বসবাস শেষে থেকে জেদ্দা বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় ফিরবে। জেদ্দা কি হারামের সীমানা আর মীকাতের সীমানা উভয়েরই ভিতরে, নাকি শুধু মীকাতের সীমানার ভিতরে? মদিনা থেকে ঢাকায় ফেরার উদ্দেশ্যে জেদ্দা বিমানবন্দরে গেলেও কি পুনরায় ইহরাম করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (668,070 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করলে,এর জন্য গোনাহ হব ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব যে,সে আবার মীকাতে এসে ইহরাম বেধে তারপর হজ্বের নিয়ত করবে।ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করার দরুণ তার উপর দম ওয়াজিব হবে।

সময় কম বা সাথীদের হারানোর ভয় ব্যতিত যদি কেউ আবার মীকাতে না আসে,তাহলে তার দুইটি গোনাহ হবে।ইহরাম ব্যতিত মীকাত অতিক্রম করার গোনাহ, এবং আবার মীকাতে না যাওয়ার গোনাহ।
(কিতাবুন নাওয়াযিল-৭/৩৩৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102737

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মসজিদে হারামের সীমানা মীকাতের সীমানার অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ মীকাতের সীমানা মসজিদে হারামের সীমানার আরো অনেক দূর থেকে শুরু হয়। আপনি সম্ভবত মূল বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত নন। ইহরাম পরিহিত অবস্থায় মীকাতের সীমানার বাহিরে গিয়ে আবার মীকাতের ভিতরে আসতে চাইলে কোনো সমস্যা নেই। ইহরাম ব্যতিত আসলে দম ওয়াজিব হবে।


(২)  মসজিদে আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা) থেকে ইহরাম করে আসাটা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সঠিক হয়েছে। 

(৩) জেদ্দা হারামের সীমানা আর মীকাতের সীমানা উভয়েরই ভিতরে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
edited by
 আসসালামু আলাইকুম। শাইখ ২ নং প্রশ্নের ব্যাপারে উক্ত ব্যক্তি মাসিক আল কাউসারের রেফারেন্সে এমন বুঝেছেন যে— “তায়েফ থেকে আসার পর মীকাতে না গিয়ে হিল থেকে ইহরাম করে উমরা আদায় করে নিলে তার উপর দম দেওয়া অপরিহার্য হয়ে যায় এবং এরপর কোনো মীকাত থেকে ইহরাম করে আসার দ্বারা তার উক্ত দম মাফ হয় না। এক্ষেত্রে তাকে হেরেমের এলাকায় একটি পশু জবাই করার মাধ্যমে উক্ত দম আদায় করতে হবে”। তিনি আল কাউসারের লিংকটি দিয়েছেন https://www.alkawsar.com/bn/qa/answers/detail/4156/


বিষয়টি স্পষ্ট করলে খুব উপকার হতো। 



৩ নং প্রশ্নের ব্যাপারেঃ যেহেতু উক্ত ব্যক্তি মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়ার পরে, আর মক্কায় ফিরবেন না বরং মদিনায় কয়েকদিন থাকার পরে জেদ্দা এয়ারপোর্টে যাবেন ও সেখান থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে উঠবেন। তাহলে তাকে কি মদিনা থেকে জেদ্দায় যাওয়ার পথে ইহরাম করে যেতে হবে? যদি সেক্ষেত্রে ইহরাম করে যেতে হয় তাহলে সেই ইহরাম খোলার উপায় কি হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...