আসসালামু আলাইকুম। কয়েকটি প্রশ্ন ছিল
১) মসজিদে হারামের সীমানা, বনাম মীকাতের সীমানার পার্থক্য কি? বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একজন হজ্বযাত্রী যদি মক্কায় থাকেন, তাহলে তার জন্য কি হারামের সীমানা অতিক্রম করে আবার হারামের সীমানায় পুনঃপ্রবেশের জন্য ইহরাম করা জরুরি হবে? নাকি মীকাতের সীমানা অতিক্রম করে হারামের সীমানায় পুনঃপ্রবেশের জন্য ইহরাম করা জরুরি হবে?
(২) একজন হজ্বের বিদায়ী তাওয়াফ ছাড়া সব কাজ সম্পন্ন করেছে। বিদায়ী তাওয়াফের আগে যিয়ারাহ করতে সে তায়েফে যায়। তায়েফ থেকে ফেরার সময় মাসআলা না জানার কারণে সে ইহরাম করে আসেনি, এভাবেই সে ইহরাম ছাড়া মক্কায় চলে আসে। এরপর সে জানতে পারে তায়েফ শহর মীকাতের বাইরে অবস্থিত তাই তায়েফ থেকে মক্কায় ফিরার পথে, ইহরাম করে মক্কায় এসে উমরাহ আদায় জরুরি ছিল। পরেরদিন সকালে সে মসজিদে আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা) থেকে ইহরাম করে উমরাহ আদায় করে। কিন্তু এরপর আবার সে জানতে পারে যে, ইহরাম ব্যতীত তায়েফে চলে আসার পরে ভুল সংশোধনের জন্য তাকে যে কোন একটি মিকাত থেকেই ইহরাম করে আসা জরুরি ছিল, এবং মসজিদে আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা) থেকে ইহরাম করে উমরাহ আদায় করা সঠিক হয়নি।
এক্ষেত্রে এখন তার করণীয় কী?
(৩) পরের সপ্তাহে সে মদিনা মুনাওয়ারায় চলে যাবে ইনশাআল্লাহ এবং সেখানে কয়েকদিন বসবাস শেষে থেকে জেদ্দা বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় ফিরবে। জেদ্দা কি হারামের সীমানা আর মীকাতের সীমানা উভয়েরই ভিতরে, নাকি শুধু মীকাতের সীমানার ভিতরে? মদিনা থেকে ঢাকায় ফেরার উদ্দেশ্যে জেদ্দা বিমানবন্দরে গেলেও কি পুনরায় ইহরাম করতে হবে?