আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমাকে আমার বান্ধবীর স্টুডেন্ট ও আমার এক বোন প্র্যাক্টিকাল খাতা লিখে দিতে বলছে আর তারা এর বদলে আমাকে টাকা পে করবে।টাকা আমার অবশ্য এই সিচুয়েশনে দরকার আমি হঠাৎ কিছু না ভেবে যাচাই না করে হে বলে ওদের থেকে নিয়ে নিয়েছি খাতা।এখন লিখতে বসতে গিয়ে আমার হঠাৎ এই কথাটা মাথায় আসলো।এভাবে খাতা লিখে টাকা নেওয়া কি জায়েজ হবে?আর যে কয়টা খাতা লেখা হয়েছে আর কলেজ লাইফেও অনেকে এমনি লিখে নিয়েছে তখন বিষয়টা মাথায় ছিলো না।আর একজায়গায় প্র্যক্টিকাল খাতা লিখে দেওয়ার কর্মচারী হিসেবে কিছুদিন ছিলাম।ঐ খানে কিছু টাকা ওনারা পে করেছিলেন।যদি জায়েজ না হয় তবে আগের করা কাজ আর বর্তমান করা কয়েকটা খাতা কি করবো।এমনিতে আমি নিয়ত করেছি জায়েজ না হলে তাদের খাতা ফেরত দিয়ে দিবো একজনের টা দিয়ে দিয়েছি।কিন্তু যে কয়টা লিখেছি তার জন্য কোন টাকা নিবো না।এখন আগের করা কাজের জন্য কি কোন কাফফারা দিতে হবে না শুধু খাস দিলে তওবা করে এ কাজ থেকে বিরত থাকলে হবে ইন শা আল্লহ?এখন আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

প্র্যাক্টিক্যাল খাতা যাহা শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকে,তা শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই ইত্যাদির জন্য নির্ধারণ করা হয়,বিষয়টা যখন এমন তাই সেটি স্টুডেন্টরা নিজেরাই করবে।

অন্য কোথাও থেকে তা লেখিয়ে আনা যাবে না।কোথাও থেকে কপি করা যাবে না।
এটি স্পষ্ট ধোকার শামিল।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গুনাহ হবে।
উক্ত প্র্যাক্টিক্যাল খাতা তাদেরকেই লিখতে হবে। আপনার লিখে দেয়া ধোকার শামিল হওয়ায় জায়েজ হবেনা।

এক্ষেত্রে টাকা ইনকাম হালাল হয়নি।
এমতাবস্থায় প্র্যাক্টিকাল খাতা লিখে দিয়ে পূর্বে যত টাকা উপার্জন করেছেন,আর বর্তমান টাকা উপার্জন করেছেন,সবই মালিকদের ফেরত দিবেন।

ফেরত দেয়া অসম্ভব হলে সেক্ষেত্রে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদের মাঝে দান করে দিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...